সমালোচনায় আরও বেপরোয়া ট্রাম্প

রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয় চার কংগ্রেস আইন প্রণেতার

বিদেশিদের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘বিদ্বেষমূলক টুইটের’ নিন্দা জানিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করবেন ডেমোক্র্যাটরা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টুইটারের মাধ্যমে ‘বর্ণবাদী’ মন্তব্য করে কংগ্রেসের বিরোধী দলীয় চার নারী আইন প্রণেতাকে (কংগ্রেস উইমেন) আক্রমণ করেন গত রোববার। এরই জেরে সোমবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওই উগ্র বক্তব্যকে প্রত্যাখান করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ‘দ্য স্কোয়াড’ হিসেবে পরিচিত ওই আইন প্রণেতারা। এদিকে কংগ্রেসের এ আইন প্রণেতাদের জোরালো আক্রমণ করায় দেশ ও দেশের বাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ।

এই চার জন কংগ্রেস আইন প্রণেতা হলেন- নিউইয়র্কের আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কার্তেজ, মিশিগানের রাশিদা তালিব, ম্যাসাচুসেটসের আইয়ানা প্রেসলি ও মিনেসোটার ইলহান ওমর। তাদের মধ্যে কেবলমাত্র ইলহান ওমরের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে। তার জন্ম সোমালিয়ায়। বাকি তিন কংগ্রেস সদস্যের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে। সোমবারের ওই যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওই বর্ণবাদী বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান বাম আদর্শে উজ্জীবিত এ চার আইনপ্রণেতা। এ সময় তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্যকে বিদ্বেষমূলক, হিংসাত্মক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, উসকানিমূলক ও বর্ণবাদী বলে আখ্যা দেন। একইসঙ্গে, এসব মতাদর্শের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দেশবাসীর প্রতিও আহ্বান জানান এই চার প্রগতিশীল আইন প্রণেতারা। যৌথ ওই বার্তায় তারা বলেন, ‘আমাদের বৈচিত্র্যই আমাদের শক্তি এবং আমাদের একতাই আমাদের ক্ষমতা।’ এদিকে, নিজের মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়া ট্রাম্প গত সোমবার ‘বর্ণবাদী’ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে কংগ্রেসের ওই নারীদের আক্রমণ করে নানা মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে, সমালোচকদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ওই সম্মেলনে এ চার আইনপ্রণেতা বলেন, ট্রাম্প বিভক্তির বীজ বপন করছেন এবং অভিবাসন, স্বাস্থ্য ও কর বিষয়ক ব্যর্থ নীতি থেকে মানুষের দৃষ্টিকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন।

অন্যদিকে একইদিন (সোমবার) হোয়াইট হাউসে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে দেয়া এক বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেন, ‘আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে সন্তুষ্ট না হন, যদি সবসময়ই অভিযোগ করতে থাকেন, খুবই সোজা, আপনি চলে যেতে পারেন। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের এ বক্তব্যের সময় বিচ্ছিন্নভাবে কাউকে কাউকে হাততালি দিতেও দেখা গেছে। ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে বামপন্থী হিসেবে পরিচিত চার আইন প্রণেতার নাম উল্লেখ না করে রোববার ধারাবাহিক একাধিক টুইটে ট্রাম্প এসব মন্তব্য করেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওই চার আইনপ্রণেতাকে উদ্দেশ্য করে টুইটার বার্তায় লেখেন, ‘এরা এমন সব দেশ থেকে এসেছে, যাদের সরকার ব্যর্থ। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার কীভাবে পরিচালনা করতে হবে, সে পরামর্শ দেয়ার বদলে তাদের উচিত হবে যার যার দেশে ফিরে যাওয়া।’

অন্যদিকে প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যে বিরোধী ডেমোক্র্যাটদের পাশাপাশি দেশটির সাংবাদিক-পেশাজীবী অনেকেই ট্রাম্পের এ মন্তব্যকে ‘বর্ণবাদী’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। ভিন্নদেশ থেকে আসা মানুষদের প্রতি প্রেসিডেন্টের ‘বিদ্বেষমূলক টুইটের’ নিন্দা জানিয়ে ডেমোক্র্যাটরা নিম্নকক্ষে একটি প্রস্তাবও আনতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের (প্রতিনিধি পরিষদ) স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তবে বরাবরের মতোই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার মন্তব্যকে ‘মোটেও বর্ণবাদী নয়’ দাবি করছেন। শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের সঙ্গে মতের মিলকেও আমলে নিচ্ছেন না তিনি। ট্রাম্পের মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে আনা প্রস্তাবটি আজ (মঙ্গলবার) আলোচনার জন্য নিম্নকক্ষে উপস্থান করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রতিনিধি পরিষদের প্রভাবশালী ডেমোক্র্যাট সদস্য স্টেনি হোয়ের। তবে এ ধরনের প্রস্তাব প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান সদস্যদের জন্য ‘বিব্রতকর’ হতে পারে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের। এমন একটা বিষয়ে প্রেসিডেন্টের বিরোধিতা কিংবা পক্ষ অবলম্বন, দুটোর যেকোনটিই তাদের জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে। ওই চার কংগ্রেস আইন প্রণেতার প্রতি ট্রাম্পের ‘আক্রমণ’ নিয়ে অনেক রিপাবলিকান চুপ থাকলেও বেশ কয়েকজন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছেন। প্রতিনিধি পরিষদের একমাত্র আফ্রিকান-আমেরিকান রিপাবলিকান প্রতিনিধি উইল হার্ড সিএনএনে দেয়া মন্তব্যে ট্রাম্পের টুইটকে ‘বর্ণবাদী’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন। উচ্চকক্ষ সিনেটের একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ রিপাবলিকানও টুইটারে প্রেসিডেন্টের মন্তব্যকে ‘জাতিগতভাবে আক্রমণাত্মক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

ট্রাম্পের সমালোচনায় থেরেসা মে

এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট দলীয় কয়েকজন নারী আইন প্রণেতাকে ‘নিজ দেশে ফিরে যাওয়া’র পরামর্শ দেয়ায় এর তীব্র সমালোচনা করেছেন বিদায়ী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ট্রাম্পের বক্তব্য একেবারেই মেনে নেয়া যায় না’। বিশেষ করে ওই নারী সদস্যদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে ট্রাম্প যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা ‘গ্রহণযোগ্য নয়’ বলেই মে মন্তব্য করেন। সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন তার কার্যালয়ের মুখপাত্র।

image

ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন কংগ্রেস সদস্য রাশিদা তালিব, ইলহান ওমর, আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কার্তেজ ও আইয়ানা প্রেসলি (বাম থেকে ডানে) -রয়টার্স

আরও খবর
থাইল্যান্ডে ৫ বছরের সামরিক শাসনের অবসান
পরমাণু চুক্তি ব্যর্থ হলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে মধ্যপ্রাচ্য
ওয়াশিংটন-তেহরান উত্তেজনা নিরসনের ফ্রান্সের উদ্যোগ
মার্কিন কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার হুমকি চীনের
আফগানিস্তানে ১০ শিশুসহ নিহত ২২
‘২০২০ সালের এপ্রিলের মধ্যেই তুরস্কে এস-৪০০ মোতায়েন’
আংশিকভাবে সিরিয়া ছাড়ার ঘোষণা হিজবুল্লাহর
বেসামরিক বিমান চলাচলের জন্য আকাশপথ খুলে দিয়েছে পাকিস্তান

বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯ , ৩ শ্রাবন ১৪২৫, ১৩ জিলকদ ১৪৪০

সমালোচনায় আরও বেপরোয়া ট্রাম্প

রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয় চার কংগ্রেস আইন প্রণেতার

বিদেশিদের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘বিদ্বেষমূলক টুইটের’ নিন্দা জানিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করবেন ডেমোক্র্যাটরা

সংবাদ ডেস্ক

image

ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন কংগ্রেস সদস্য রাশিদা তালিব, ইলহান ওমর, আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কার্তেজ ও আইয়ানা প্রেসলি (বাম থেকে ডানে) -রয়টার্স

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টুইটারের মাধ্যমে ‘বর্ণবাদী’ মন্তব্য করে কংগ্রেসের বিরোধী দলীয় চার নারী আইন প্রণেতাকে (কংগ্রেস উইমেন) আক্রমণ করেন গত রোববার। এরই জেরে সোমবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওই উগ্র বক্তব্যকে প্রত্যাখান করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ‘দ্য স্কোয়াড’ হিসেবে পরিচিত ওই আইন প্রণেতারা। এদিকে কংগ্রেসের এ আইন প্রণেতাদের জোরালো আক্রমণ করায় দেশ ও দেশের বাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ।

এই চার জন কংগ্রেস আইন প্রণেতা হলেন- নিউইয়র্কের আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কার্তেজ, মিশিগানের রাশিদা তালিব, ম্যাসাচুসেটসের আইয়ানা প্রেসলি ও মিনেসোটার ইলহান ওমর। তাদের মধ্যে কেবলমাত্র ইলহান ওমরের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে। তার জন্ম সোমালিয়ায়। বাকি তিন কংগ্রেস সদস্যের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে। সোমবারের ওই যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওই বর্ণবাদী বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান বাম আদর্শে উজ্জীবিত এ চার আইনপ্রণেতা। এ সময় তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্যকে বিদ্বেষমূলক, হিংসাত্মক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, উসকানিমূলক ও বর্ণবাদী বলে আখ্যা দেন। একইসঙ্গে, এসব মতাদর্শের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দেশবাসীর প্রতিও আহ্বান জানান এই চার প্রগতিশীল আইন প্রণেতারা। যৌথ ওই বার্তায় তারা বলেন, ‘আমাদের বৈচিত্র্যই আমাদের শক্তি এবং আমাদের একতাই আমাদের ক্ষমতা।’ এদিকে, নিজের মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়া ট্রাম্প গত সোমবার ‘বর্ণবাদী’ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে কংগ্রেসের ওই নারীদের আক্রমণ করে নানা মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে, সমালোচকদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ওই সম্মেলনে এ চার আইনপ্রণেতা বলেন, ট্রাম্প বিভক্তির বীজ বপন করছেন এবং অভিবাসন, স্বাস্থ্য ও কর বিষয়ক ব্যর্থ নীতি থেকে মানুষের দৃষ্টিকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন।

অন্যদিকে একইদিন (সোমবার) হোয়াইট হাউসে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে দেয়া এক বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেন, ‘আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে সন্তুষ্ট না হন, যদি সবসময়ই অভিযোগ করতে থাকেন, খুবই সোজা, আপনি চলে যেতে পারেন। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের এ বক্তব্যের সময় বিচ্ছিন্নভাবে কাউকে কাউকে হাততালি দিতেও দেখা গেছে। ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে বামপন্থী হিসেবে পরিচিত চার আইন প্রণেতার নাম উল্লেখ না করে রোববার ধারাবাহিক একাধিক টুইটে ট্রাম্প এসব মন্তব্য করেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওই চার আইনপ্রণেতাকে উদ্দেশ্য করে টুইটার বার্তায় লেখেন, ‘এরা এমন সব দেশ থেকে এসেছে, যাদের সরকার ব্যর্থ। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার কীভাবে পরিচালনা করতে হবে, সে পরামর্শ দেয়ার বদলে তাদের উচিত হবে যার যার দেশে ফিরে যাওয়া।’

অন্যদিকে প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যে বিরোধী ডেমোক্র্যাটদের পাশাপাশি দেশটির সাংবাদিক-পেশাজীবী অনেকেই ট্রাম্পের এ মন্তব্যকে ‘বর্ণবাদী’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। ভিন্নদেশ থেকে আসা মানুষদের প্রতি প্রেসিডেন্টের ‘বিদ্বেষমূলক টুইটের’ নিন্দা জানিয়ে ডেমোক্র্যাটরা নিম্নকক্ষে একটি প্রস্তাবও আনতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের (প্রতিনিধি পরিষদ) স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তবে বরাবরের মতোই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার মন্তব্যকে ‘মোটেও বর্ণবাদী নয়’ দাবি করছেন। শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের সঙ্গে মতের মিলকেও আমলে নিচ্ছেন না তিনি। ট্রাম্পের মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে আনা প্রস্তাবটি আজ (মঙ্গলবার) আলোচনার জন্য নিম্নকক্ষে উপস্থান করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রতিনিধি পরিষদের প্রভাবশালী ডেমোক্র্যাট সদস্য স্টেনি হোয়ের। তবে এ ধরনের প্রস্তাব প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান সদস্যদের জন্য ‘বিব্রতকর’ হতে পারে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের। এমন একটা বিষয়ে প্রেসিডেন্টের বিরোধিতা কিংবা পক্ষ অবলম্বন, দুটোর যেকোনটিই তাদের জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে। ওই চার কংগ্রেস আইন প্রণেতার প্রতি ট্রাম্পের ‘আক্রমণ’ নিয়ে অনেক রিপাবলিকান চুপ থাকলেও বেশ কয়েকজন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছেন। প্রতিনিধি পরিষদের একমাত্র আফ্রিকান-আমেরিকান রিপাবলিকান প্রতিনিধি উইল হার্ড সিএনএনে দেয়া মন্তব্যে ট্রাম্পের টুইটকে ‘বর্ণবাদী’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন। উচ্চকক্ষ সিনেটের একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ রিপাবলিকানও টুইটারে প্রেসিডেন্টের মন্তব্যকে ‘জাতিগতভাবে আক্রমণাত্মক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

ট্রাম্পের সমালোচনায় থেরেসা মে

এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট দলীয় কয়েকজন নারী আইন প্রণেতাকে ‘নিজ দেশে ফিরে যাওয়া’র পরামর্শ দেয়ায় এর তীব্র সমালোচনা করেছেন বিদায়ী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ট্রাম্পের বক্তব্য একেবারেই মেনে নেয়া যায় না’। বিশেষ করে ওই নারী সদস্যদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে ট্রাম্প যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা ‘গ্রহণযোগ্য নয়’ বলেই মে মন্তব্য করেন। সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন তার কার্যালয়ের মুখপাত্র।