২০২১ সালের মধ্যে রপ্তানি আয় ৬ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য ঠিক করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কাক্সিক্ষত এ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে পারবেন বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির। এ জন্য রপ্তানিতে পণ্যে বৈচিত্র্য আনার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান তিনি। গতকাল মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার ৪০০ কোটির বিপরীতে আয় হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৭ কোটি ডলার। ২০১৭-১৮ সালে মোট রপ্তানি (পণ্য ও সেবা খাত) আয়ের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার। আগের বছরের তুলনায় রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হার ১৩ দশমিক শূন্য ৬ এবং লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মফিজুল ইসলাম বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের দেশভিত্তিক বিশ্লেষণে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ রপ্তানি হয়েছেÑ ৬ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার। তা গত বছরের তুলনায় ১৪ দশমিক ৯২ শতাংশ বেশি। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নে ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়েছে এবং প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ।
বাণিজ্য সচিব বলেন, এশিয়ার দেশগুলোয় রপ্তানি বাড়ছে। জাপানে ১৩৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এতে প্রবৃদ্ধির হার ২০ দশমিক ৬৬ শতাংশ। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির হার কমলেও এ খাতে মোট রপ্তানির পরিমাণ ১০২ কোটি ডলার। তিনি জানান, গত অর্থবছরে প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৪১৩ কোটি ডলার। তা দেশের মোট রপ্তানির ৮৪ দশমিক ১৮ শতাংশ।
বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯ , ৩ শ্রাবন ১৪২৫, ১৩ জিলকদ ১৪৪০
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
২০২১ সালের মধ্যে রপ্তানি আয় ৬ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য ঠিক করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কাক্সিক্ষত এ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে পারবেন বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির। এ জন্য রপ্তানিতে পণ্যে বৈচিত্র্য আনার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান তিনি। গতকাল মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার ৪০০ কোটির বিপরীতে আয় হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৭ কোটি ডলার। ২০১৭-১৮ সালে মোট রপ্তানি (পণ্য ও সেবা খাত) আয়ের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার। আগের বছরের তুলনায় রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হার ১৩ দশমিক শূন্য ৬ এবং লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মফিজুল ইসলাম বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের দেশভিত্তিক বিশ্লেষণে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ রপ্তানি হয়েছেÑ ৬ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার। তা গত বছরের তুলনায় ১৪ দশমিক ৯২ শতাংশ বেশি। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নে ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়েছে এবং প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ।
বাণিজ্য সচিব বলেন, এশিয়ার দেশগুলোয় রপ্তানি বাড়ছে। জাপানে ১৩৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এতে প্রবৃদ্ধির হার ২০ দশমিক ৬৬ শতাংশ। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির হার কমলেও এ খাতে মোট রপ্তানির পরিমাণ ১০২ কোটি ডলার। তিনি জানান, গত অর্থবছরে প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৪১৩ কোটি ডলার। তা দেশের মোট রপ্তানির ৮৪ দশমিক ১৮ শতাংশ।