নীলক্ষেতে

৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৭ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা সাড়ে তিন ঘণ্টা রাজধানীর নিউমার্কেট মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভের ফলে গতকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত নিউমার্কেট মোড় হয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে আশপাশের সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের দাবির কথা জানিয়ে আসেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, খাতা যথাযথভাবে মূল্যায়ন না করায় ২০১৭-১৮ সেশনের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীরা গণহারে অকৃতকার্য হয়েছেন। নির্দিষ্ট গ্রেড পয়েন্ট না পাওয়ায় তাদের দ্বিতীয়বর্ষে উত্তীর্ণ করা হচ্ছে না। ঢাকা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, তাদের প্রথমবর্ষের সমাপনী পরীক্ষার পর আট মাস পেরিয়ে গেলেও অধিকাংশ বিভাগের ফলাফল এখনো দেয়া হয়নি। যে কয়েকটি বিভাগের ফল দেয়া হয়েছে তাতে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ে ফেল করেছেন।

অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের এখন পুনরায় ভর্তি ফি দিয়ে প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে হবে। এ কারণে আন্দোলনে নেমেছেন বলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান। তারা বলছেন, আগে তাদের কলেজে সর্বোচ্চ তিনটি বিষয়ে অকৃতকার্য হলেও পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হয়ে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ সেই নিয়ম পরিবর্তন করেছে। এখন পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হতে শিক্ষার্থীদের গড়ে দুই গ্রেড পয়েন্ট থাকতে হয়। এর আগে সেশনজট নিরসন, অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশসহ পাঁচ দফা দাবিতে কয়েকবার আন্দোলনে নেমেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের আশ্বাসে পরে তারা আন্দোলন স্থগিত করে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষার্থীরা। প্রক্টরের সঙ্গে বৈঠক শেষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আবু বকর বলেন, আমাদের মূল দাবি ছিল মূলত একটি। ২০১৭-২০১৮ সেশনের শিক্ষার্থীরা গণহারে ফেল করেছে। সেখানে অনুত্তীর্ণ হওয়ার সংখ্যা বেশি। আমরা বৈঠকে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছিলাম যারা অনুত্তীর্ণ হয়েছে, তাদের জন্য যেন একটি বিশেষ পরীক্ষা নেয়া হয়। যাতে তারা একটি বছর পিছিয়ে না পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানীর বরাত দিয়ে এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, স্যার আমাদের দাবি মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন শিক্ষার্থীদের কোন সেশনজট হবে না এবং এটি সম্পর্কে অতিদ্রুত নোটিশবোর্ডে জানিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন। তাই আমরা আন্দোলন থেকে সরে যাচ্ছি। তবে সঠিক সময়ে দাবি আদায় না হলে আবারও আন্দোলনে যাওয়ার কথাও জানান তিনি।

image

রাজধানীর নীলক্ষেতে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের গ্রেড পয়েন্টের দাবিতে বিক্ষোভ -সংবাদ

আরও খবর
একনেকে ৫১৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ প্রকল্প অনুমোদন
কাবিননামার পাঁচ নম্বর বিধি কেন অবৈধ নয়
বাংলাদেশ নারী ক্ষমতায়নের প্রকৃষ্ট উদাহরণ
২৫-৩১ জুলাই পর্যন্ত মশক নিধন সপ্তাহ
রংপুরেই সাবেক স্বৈরশাসক এরশাদের লাশ দাফন
২০২১ সালের মধ্যে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ৬ হাজার কোটি ডলার
চীনা ডেমো ট্রেন আর কিনবে না সরকার
দেশজুড়ে গুম খুন-ধর্ষণ মহামারী
জঙ্গি সংগঠন ধ্বংস করেছি, মতাদর্শ রয়ে গেছে
চার বছর পর পলাতক আসামি গ্রেফতার
সাংবাদিক শিমুল হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর
রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ১০ বছর পর মুক্তি পেলেন আজমত আলী
খুলনায় ক্ষুদের খাল খননে হরিলুট
কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় আহত পুলিশ সার্জেন্ট কিবরিয়ার মৃত্যু
বিয়ের আনন্দবাড়ি বিষাদে পরিণত

বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯ , ৩ শ্রাবন ১৪২৫, ১৩ জিলকদ ১৪৪০

নীলক্ষেতে

৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

রাজধানীর নীলক্ষেতে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের গ্রেড পয়েন্টের দাবিতে বিক্ষোভ -সংবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৭ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা সাড়ে তিন ঘণ্টা রাজধানীর নিউমার্কেট মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভের ফলে গতকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত নিউমার্কেট মোড় হয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে আশপাশের সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের দাবির কথা জানিয়ে আসেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, খাতা যথাযথভাবে মূল্যায়ন না করায় ২০১৭-১৮ সেশনের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীরা গণহারে অকৃতকার্য হয়েছেন। নির্দিষ্ট গ্রেড পয়েন্ট না পাওয়ায় তাদের দ্বিতীয়বর্ষে উত্তীর্ণ করা হচ্ছে না। ঢাকা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, তাদের প্রথমবর্ষের সমাপনী পরীক্ষার পর আট মাস পেরিয়ে গেলেও অধিকাংশ বিভাগের ফলাফল এখনো দেয়া হয়নি। যে কয়েকটি বিভাগের ফল দেয়া হয়েছে তাতে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ে ফেল করেছেন।

অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের এখন পুনরায় ভর্তি ফি দিয়ে প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে হবে। এ কারণে আন্দোলনে নেমেছেন বলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান। তারা বলছেন, আগে তাদের কলেজে সর্বোচ্চ তিনটি বিষয়ে অকৃতকার্য হলেও পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হয়ে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ সেই নিয়ম পরিবর্তন করেছে। এখন পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হতে শিক্ষার্থীদের গড়ে দুই গ্রেড পয়েন্ট থাকতে হয়। এর আগে সেশনজট নিরসন, অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশসহ পাঁচ দফা দাবিতে কয়েকবার আন্দোলনে নেমেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের আশ্বাসে পরে তারা আন্দোলন স্থগিত করে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষার্থীরা। প্রক্টরের সঙ্গে বৈঠক শেষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আবু বকর বলেন, আমাদের মূল দাবি ছিল মূলত একটি। ২০১৭-২০১৮ সেশনের শিক্ষার্থীরা গণহারে ফেল করেছে। সেখানে অনুত্তীর্ণ হওয়ার সংখ্যা বেশি। আমরা বৈঠকে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছিলাম যারা অনুত্তীর্ণ হয়েছে, তাদের জন্য যেন একটি বিশেষ পরীক্ষা নেয়া হয়। যাতে তারা একটি বছর পিছিয়ে না পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানীর বরাত দিয়ে এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, স্যার আমাদের দাবি মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন শিক্ষার্থীদের কোন সেশনজট হবে না এবং এটি সম্পর্কে অতিদ্রুত নোটিশবোর্ডে জানিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন। তাই আমরা আন্দোলন থেকে সরে যাচ্ছি। তবে সঠিক সময়ে দাবি আদায় না হলে আবারও আন্দোলনে যাওয়ার কথাও জানান তিনি।