রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমার ১০ বছর পর মুক্তি পেলেন জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলা পাখিমারা গ্রামের আজমত আলী মাস্টার। গতকাল বেলা ১১টার দিকে জামালপুর কারাগার থেকে হাইকোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশে তাকে মুক্তি দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
১৯৮৭ সালে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে একটি হত্যা মামলায় ১৯৮৯ সালে জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত আজমত আলীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিলের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির কাছে আপিল করে আজমত আলীর পরিবার। ২০০৯ সালে রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় আজমত আলী মুক্তি পান। কয়েক দিন পরই পুলিশ ফের আজমত আলীকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করে। আজমত আলীর কন্যা এ ব্যাপারে হাইকোর্টে আপিল করেন। আইনি সহায়তা কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতায় গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কারাবাসী আজমত আলীকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দেন।
আজমত আলীর কন্যা বিউটি আক্তার বলেন, রাষ্ট্রপতির নির্দেশের পর আইনি জটিলতা দেখিয়ে বিনা দোষে তার বাবাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়। যে কারণে তার বাবার জীবন থেকে ১০টি বছর হারিয়ে গেল।
মুক্তি পাওয়া আজমত আলী বলেন, বিনা দোষে তাকে কারাভোগ করতে হয়েছে। তিনি বলেন মুক্তি পাওয়াটা আনন্দের। তবে এই ১০ বছর বিনা কারণে কারাগারে থাকার বিচারটি আপনাদের কাছে দিলাম।
জামালপুর কারাগারের জেল সুপার মকলেছুর রহমান বলেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশের কপি পাওয়ামাত্রই তাকে মুক্তি দেয়া হলো। তার মুক্তিতে কারা কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট।
বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯ , ৩ শ্রাবন ১৪২৫, ১৩ জিলকদ ১৪৪০
প্রতিনিধি, জামালপুর
রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমার ১০ বছর পর মুক্তি পেলেন জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলা পাখিমারা গ্রামের আজমত আলী মাস্টার। গতকাল বেলা ১১টার দিকে জামালপুর কারাগার থেকে হাইকোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশে তাকে মুক্তি দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
১৯৮৭ সালে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে একটি হত্যা মামলায় ১৯৮৯ সালে জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত আজমত আলীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিলের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির কাছে আপিল করে আজমত আলীর পরিবার। ২০০৯ সালে রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় আজমত আলী মুক্তি পান। কয়েক দিন পরই পুলিশ ফের আজমত আলীকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করে। আজমত আলীর কন্যা এ ব্যাপারে হাইকোর্টে আপিল করেন। আইনি সহায়তা কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতায় গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কারাবাসী আজমত আলীকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দেন।
আজমত আলীর কন্যা বিউটি আক্তার বলেন, রাষ্ট্রপতির নির্দেশের পর আইনি জটিলতা দেখিয়ে বিনা দোষে তার বাবাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়। যে কারণে তার বাবার জীবন থেকে ১০টি বছর হারিয়ে গেল।
মুক্তি পাওয়া আজমত আলী বলেন, বিনা দোষে তাকে কারাভোগ করতে হয়েছে। তিনি বলেন মুক্তি পাওয়াটা আনন্দের। তবে এই ১০ বছর বিনা কারণে কারাগারে থাকার বিচারটি আপনাদের কাছে দিলাম।
জামালপুর কারাগারের জেল সুপার মকলেছুর রহমান বলেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশের কপি পাওয়ামাত্রই তাকে মুক্তি দেয়া হলো। তার মুক্তিতে কারা কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট।