জন্ম : ১৩ জুলাই, ১৮৮০, সিরাজগঞ্জ
মৃত্যু : ১৭ জুলাই, ১৯৩১
ইসমাইল হোসেন সিরাজীর বাবার নাম শাহ্ সৈয়দ আবদুল করিম, মায়ের নাম নুরজাহান খানম। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী, ছিলেন নিয়ম ও নীতিনিষ্ঠ।
ছোটবেলা থেকেই তিনি সাহিত্য চর্চা শুরু করেন। ১৯০৬ সালে সিরাজগঞ্জের এক জনসভায় যান সমাজ সংস্কারক মুন্সী মেহেরুল্লাহ। সেই জনসভায় ইসমাইল হোসেন সিরাজী কিছু উদ্দীপনামূলক কবিতা পড়ে সকলকে মুগ্ধ করেন। মুন্সী মেহেরুল্লাহ কবিতাগুলো নিয়ে অনলপ্রবাহ নামে একটি বই প্রকাশের ব্যবস্থা করে দেন। ব্রিটিশ সরকার বইটি বাজেয়াপ্ত করে কবিকে কারাগারে অন্তরীণ করে। বাংলা সাহিত্যের সর্বপ্রথম বাজেয়াপ্ত কাব্যগ্রন্থ অনল প্রবাহ। দু’বছর কারাভোগের পর সিরাজী মুক্তি পেয়ে এক যুদ্ধে তুরস্ককে সাহায্য করার জন্য তুরস্ক যান। তুরস্কের যুদ্ধে তিনি অসীম সাহস ও নৈপুণ্য প্রদর্শন করে তুরস্ক সরকার কর্তৃক ‘গাজী’ উপাধিতে ভূষিত হন।
তুরস্ক থেকে দেশে ফেরেন ১৯১৩ সালের ১৫ জুলাই। সারা দেশ ঘুরে ঘুরে অগ্নিঝরা বক্তৃতা দিয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে তোলেন। তার আহ্বানে সারা দেশে গড়ে উঠতে লাগলো স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, পাঠাগার প্রভৃতি জনহিতকর প্রতিষ্ঠান। ব্রিটিশ শাসকরা ৮২ বার ১৪৪ ধারা জারি করে তার সভা পন্ড করে দিয়েছিল। ১৯৩০ সালে আইন অমান্য আন্দোলন করে তিনি তিন মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত হন।
উদ্বোধন, নব-উদ্দীপনা, স্পেন বিজয় কাব্য, সঙ্গীত সঞ্জীবনী প্রভৃতি তার উল্লেখযোগ্য বই।
ইন্টারনেট
বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯ , ৩ শ্রাবন ১৪২৫, ১৩ জিলকদ ১৪৪০
জন্ম : ১৩ জুলাই, ১৮৮০, সিরাজগঞ্জ
মৃত্যু : ১৭ জুলাই, ১৯৩১
ইসমাইল হোসেন সিরাজীর বাবার নাম শাহ্ সৈয়দ আবদুল করিম, মায়ের নাম নুরজাহান খানম। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী, ছিলেন নিয়ম ও নীতিনিষ্ঠ।
ছোটবেলা থেকেই তিনি সাহিত্য চর্চা শুরু করেন। ১৯০৬ সালে সিরাজগঞ্জের এক জনসভায় যান সমাজ সংস্কারক মুন্সী মেহেরুল্লাহ। সেই জনসভায় ইসমাইল হোসেন সিরাজী কিছু উদ্দীপনামূলক কবিতা পড়ে সকলকে মুগ্ধ করেন। মুন্সী মেহেরুল্লাহ কবিতাগুলো নিয়ে অনলপ্রবাহ নামে একটি বই প্রকাশের ব্যবস্থা করে দেন। ব্রিটিশ সরকার বইটি বাজেয়াপ্ত করে কবিকে কারাগারে অন্তরীণ করে। বাংলা সাহিত্যের সর্বপ্রথম বাজেয়াপ্ত কাব্যগ্রন্থ অনল প্রবাহ। দু’বছর কারাভোগের পর সিরাজী মুক্তি পেয়ে এক যুদ্ধে তুরস্ককে সাহায্য করার জন্য তুরস্ক যান। তুরস্কের যুদ্ধে তিনি অসীম সাহস ও নৈপুণ্য প্রদর্শন করে তুরস্ক সরকার কর্তৃক ‘গাজী’ উপাধিতে ভূষিত হন।
তুরস্ক থেকে দেশে ফেরেন ১৯১৩ সালের ১৫ জুলাই। সারা দেশ ঘুরে ঘুরে অগ্নিঝরা বক্তৃতা দিয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে তোলেন। তার আহ্বানে সারা দেশে গড়ে উঠতে লাগলো স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, পাঠাগার প্রভৃতি জনহিতকর প্রতিষ্ঠান। ব্রিটিশ শাসকরা ৮২ বার ১৪৪ ধারা জারি করে তার সভা পন্ড করে দিয়েছিল। ১৯৩০ সালে আইন অমান্য আন্দোলন করে তিনি তিন মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত হন।
উদ্বোধন, নব-উদ্দীপনা, স্পেন বিজয় কাব্য, সঙ্গীত সঞ্জীবনী প্রভৃতি তার উল্লেখযোগ্য বই।
ইন্টারনেট