আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোটা ও প্লেসমেন্টে লক-ইন বেড়েছে

স্থির মূল্য (ফিক্সড প্রাইজ) এবং বুক বিল্ডিং উভয় ক্ষেত্রের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোটা বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে কমানো হয়েছে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কোটা। পাশাপাশি প্লেসমেন্ট শেয়ার বা প্রাথমিক গণপ্রস্তাব পূর্ব ইস্যু করা শেয়ারে লক-ইন দুই বছর এবং উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ারের তিন বছর লক-ইন আরোপ করা হয়ছে। আইপিও কোটা ও লক-ইনের ক্ষেত্রে এমন বিধান রেখে পাবলিক ইস্যু রুলসের সংশোধনী চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

গত মঙ্গলবার বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম. খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৬৯৩তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। ইস্যু রুলসে সংশোধনী আনার ফলে এখন থেকে বুক বিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে যোগ্য বিনিয়োগকারীর কোটা ৬০ থেকে কমে ৫০ শতাংশ হবে। সাধারণ বিনিয়োগকারীর কোটা ৩০ থেকে বেড়ে ৪০ শতাংশ হবে। অন্যদিকে স্থির মূল্যে পাবলিক ইস্যুর ক্ষেত্রে যোগ্য বিনিয়োগকারীর কোটা ৪০ থেকে কমে ৩০ শতাংশ হবে। সাধারণ বিনিয়োগকারীর কোটি (এনআরবি ব্যতীত) ৪০ থেকে বেড়ে ৫০ শতাংশ হবে। এদিকে শেয়ার লক-ইন’র ক্ষেত্রে আনা সংশোধনীর ফলে, এখন থেকে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের সাধারণ শেয়ারের ওপর লক-ইন এক্সচেঞ্জে লেনদেনের শুরুর দিন থেকে গণনা শুরু হবে।

কোম্পানির উদ্যোক্তা, পরিচালক এবং ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ারের ওপর লক-ইন তিন বছর হবে। এছাড়া চার বছর বা তার পূর্বে শেয়ার বণ্টনের মাধ্যমে প্রাপ্ত শেয়ারের ওপর এবং অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের ধারণ করা শেয়ারের ওপর লক-ইন এক বছর হবে। অন্য ক্ষেত্রে শেয়ারের লক-ইন দুই বছর।

আইপিও এবং শেয়ার লক-ইন’র ক্ষেত্রে এমন বড় পরিবর্তন আনার পাশাপাশি পাবলিক ইস্যু রুলসে আরও ১৯টি বিধান রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ১. আইপিওতে যোগ্য বিনিয়োগকারী হিসাবে কোটা সুবিধা গ্রহণ করতে হলে কমিশন কর্তৃক নির্দিষ্ট অঙ্কের সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ থাকতে হবে। এই বিনিয়োগ না থাকলে কোন যোগ্য বিনিয়োগকারী তাদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ারের কোটা সুবিধা পাবেন না। সেকেন্ডারি মার্কেটে এই বিনিয়োগের পরিমাণ কত হবে তা কমিশন প্রত্যেক পাবলিক ইস্যুর সম্মতি পত্রে উল্লেখ করবে। ২. পূর্বের ইস্যু করা মূলধনের ৮০ শতাংশ ব্যবহার না করে পাবলিক ইস্যুর প্রস্তাব করা যাবে না। ৩. স্থির মূল্য (ফিক্সড প্রাইজ) পদ্ধতিতে পাবলিক ইস্যুর ক্ষেত্রে পাবলিক ইস্যুর পরিমাণ কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকা অথবা ইস্যুয়ারের পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশ, যা বেশি সে পরিমাণ হতে হবে। তবে ইস্যু পরবর্তী মূলধন কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা হবে। ৪. স্থির মূল্য পদ্ধতিতে পাবলিক ইস্যুর ক্ষেত্রে ইস্যুয়ার কোম্পানির এক বছরের পজেটিভ নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লোর শর্তটি বাতিল করা হলো। ৫. বুক বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে পাবলিক ইস্যুর ক্ষেত্রে উত্তোলিত মূলধনের পরিমাণ কমপক্ষে ৭৫ কোটি টাকা হবে। ৬. বুক বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে পাবলিক ইস্যুর ক্ষেত্রে যোগ্য বিনিয়োগকারীর শেয়ারের কোটা বিডিং’র মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে বিক্রি না হলে সে ইস্যু বাতিল হয়ে যাবে। ৭. স্টক এক্সচেঞ্জ পাবলিক ইস্যুর তালিকাভুক্তির আবেদন পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে পাবলিক ইস্যু রুলস বা সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটিজ আইন অথবা আর্থিক প্রতিবেদনের মানের ব্যত্যয়, যদি থাকে উল্লেখ করে তাদের পর্যবেক্ষণ কমিশনে প্রেরণ করবে। এই সময়ের মধ্যে পর্যবেক্ষণ প্রদান না করলে ধরে নেয়া হবে যে স্টক এক্সচেঞ্জের এ বিষয়ে কোন পর্যবেক্ষণ নেই। ৮. বুক বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে পাবলিক ইস্যুর বিডিংয়ের সময় কোন তথ্য প্রদর্শন করা যাবে না। ৯. বুক বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে পাবলিক ইস্যুর বিডিং এ যোগ্য বিনিয়োগকারীদের তাদের বিডের ১০০ শতাংশ মূল্য যে এক্সচেঞ্জ বিডিং পরিচালনা করছে, সেই এক্সচেঞ্জে জমা দিতে হবে। ১০. বুক বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে পাবলিক ইস্যুর বিডিং এ বিডাররা যে মূল্যে এবং যে পরিমাণ শেয়ার বিড করবেন সেই মূল্যেই সেই পরিমাণ শেয়ার ক্রয় করতে হবে। ১১. বুক বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে পাবলিক ইস্যুর বিডিং এ শেয়ারের বণ্টনের সর্বোচ্চ মূল্যস্তর থেকে শুরু হবে এবং ক্রমান্বয়ে তা নিচের দিকে আসবে। যে মূল্যে শেয়ার শেষ বণ্টন হবে তা প্রান্ত সীমা মূল্য (কাট অফ প্রাইজ) হিসাবে গণ্য হবে এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সেই মূল্য থেকে ১০ শতাংশ কমে শেয়ার ক্রয় করবেন। ১২. বুক বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে পাবলিক ইস্যুর বিডিং এ যদি প্রান্ত সীমা মূল্যে একাধিক বিডারের বিড থাকে সে ক্ষেত্রে যে বিডার আগে বিড দাখিল করেছেন তাকে প্রথমে শেয়ার প্রদান করা হবে। ১৩. বিডিংয়ের চূড়ান্ত ফল, মূল্য ও বরাদ্দ করা শেয়ারের সংখ্যাসহ যারা শেয়ার পেয়েছেন তাদের ই-মেইলের মাধ্যমে প্রেরণ করা হবে এবং একইসঙ্গে ইস্যুয়ার, ইস্যু ম্যানেজার এবং এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করা হবে। ১৪. অকৃতকার্য বিডারের টাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সর্বোচ্চ ৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিডারকে ফেরত দেবে। ১৫. কৃতকার্য বিডারের টাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সর্বোচ্চ ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ইস্যুয়ারের ব্যাংক হিসাবে জামা প্রদান করবে। ১৬. বিডিংয়ের পর খসড়া প্রসপেক্টাস এবং সব কাগজপত্র প্রাপ্তি সাপেক্ষে কমিশন সাধারণ জনগণের কাছে শেয়ার বিক্রির অনুমোদন প্রদান করবে। ১৭. স্থির মূল্য পদ্ধতিতে পাবলিক ইস্যুর ক্ষেত্রে আবেদন সম্মিলিতভাবে গণপ্রস্তাবের ৬৫ শতাংশের কম হলে ইস্যু বাতিল হয়ে যাবে এবং আবেদন সম্মিলিতভাবে গণপ্রস্তাবের ৬৫ শতাংশ অথবা তার বেশি হলে কিন্তু ১০০ শতাংশের কম হলে বাকি শেয়ার আন্ডার রাইটার গ্রহণ করবে। ১৮. পাবলিক ইস্যুর আবেদনের সময় ইস্যুয়ারকে পূর্বে নগদে উত্তোলিত মূলধনের ক্ষেত্রে ব্যাংকের অথবা নিরীক্ষকের সনদ এবং ব্যাংক বিবরণী দাখিল করতে হবে। ১৯. পাবলিক ইস্যুর আবেদনের সময় ইস্যুয়ারকে পূর্বে নগদে ব্যতীত উত্তোলিত মূলধনের ক্ষেত্রে যৌথ মূলধনী কোম্পানির রেজিস্ট্রারের প্রত্যায়িত বিক্রয় চুক্তি এবং সম্পদের মালিকানা সংক্রান্ত স্বত্ব দলিল কমিশনে জমা দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০১৯ , ৪ শ্রাবন ১৪২৫, ১৪ জিলকদ ১৪৪০

আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোটা ও প্লেসমেন্টে লক-ইন বেড়েছে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

স্থির মূল্য (ফিক্সড প্রাইজ) এবং বুক বিল্ডিং উভয় ক্ষেত্রের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোটা বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে কমানো হয়েছে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কোটা। পাশাপাশি প্লেসমেন্ট শেয়ার বা প্রাথমিক গণপ্রস্তাব পূর্ব ইস্যু করা শেয়ারে লক-ইন দুই বছর এবং উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ারের তিন বছর লক-ইন আরোপ করা হয়ছে। আইপিও কোটা ও লক-ইনের ক্ষেত্রে এমন বিধান রেখে পাবলিক ইস্যু রুলসের সংশোধনী চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

গত মঙ্গলবার বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম. খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৬৯৩তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। ইস্যু রুলসে সংশোধনী আনার ফলে এখন থেকে বুক বিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে যোগ্য বিনিয়োগকারীর কোটা ৬০ থেকে কমে ৫০ শতাংশ হবে। সাধারণ বিনিয়োগকারীর কোটা ৩০ থেকে বেড়ে ৪০ শতাংশ হবে। অন্যদিকে স্থির মূল্যে পাবলিক ইস্যুর ক্ষেত্রে যোগ্য বিনিয়োগকারীর কোটা ৪০ থেকে কমে ৩০ শতাংশ হবে। সাধারণ বিনিয়োগকারীর কোটি (এনআরবি ব্যতীত) ৪০ থেকে বেড়ে ৫০ শতাংশ হবে। এদিকে শেয়ার লক-ইন’র ক্ষেত্রে আনা সংশোধনীর ফলে, এখন থেকে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের সাধারণ শেয়ারের ওপর লক-ইন এক্সচেঞ্জে লেনদেনের শুরুর দিন থেকে গণনা শুরু হবে।

কোম্পানির উদ্যোক্তা, পরিচালক এবং ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ারের ওপর লক-ইন তিন বছর হবে। এছাড়া চার বছর বা তার পূর্বে শেয়ার বণ্টনের মাধ্যমে প্রাপ্ত শেয়ারের ওপর এবং অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের ধারণ করা শেয়ারের ওপর লক-ইন এক বছর হবে। অন্য ক্ষেত্রে শেয়ারের লক-ইন দুই বছর।

আইপিও এবং শেয়ার লক-ইন’র ক্ষেত্রে এমন বড় পরিবর্তন আনার পাশাপাশি পাবলিক ইস্যু রুলসে আরও ১৯টি বিধান রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ১. আইপিওতে যোগ্য বিনিয়োগকারী হিসাবে কোটা সুবিধা গ্রহণ করতে হলে কমিশন কর্তৃক নির্দিষ্ট অঙ্কের সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ থাকতে হবে। এই বিনিয়োগ না থাকলে কোন যোগ্য বিনিয়োগকারী তাদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ারের কোটা সুবিধা পাবেন না। সেকেন্ডারি মার্কেটে এই বিনিয়োগের পরিমাণ কত হবে তা কমিশন প্রত্যেক পাবলিক ইস্যুর সম্মতি পত্রে উল্লেখ করবে। ২. পূর্বের ইস্যু করা মূলধনের ৮০ শতাংশ ব্যবহার না করে পাবলিক ইস্যুর প্রস্তাব করা যাবে না। ৩. স্থির মূল্য (ফিক্সড প্রাইজ) পদ্ধতিতে পাবলিক ইস্যুর ক্ষেত্রে পাবলিক ইস্যুর পরিমাণ কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকা অথবা ইস্যুয়ারের পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশ, যা বেশি সে পরিমাণ হতে হবে। তবে ইস্যু পরবর্তী মূলধন কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা হবে। ৪. স্থির মূল্য পদ্ধতিতে পাবলিক ইস্যুর ক্ষেত্রে ইস্যুয়ার কোম্পানির এক বছরের পজেটিভ নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লোর শর্তটি বাতিল করা হলো। ৫. বুক বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে পাবলিক ইস্যুর ক্ষেত্রে উত্তোলিত মূলধনের পরিমাণ কমপক্ষে ৭৫ কোটি টাকা হবে। ৬. বুক বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে পাবলিক ইস্যুর ক্ষেত্রে যোগ্য বিনিয়োগকারীর শেয়ারের কোটা বিডিং’র মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে বিক্রি না হলে সে ইস্যু বাতিল হয়ে যাবে। ৭. স্টক এক্সচেঞ্জ পাবলিক ইস্যুর তালিকাভুক্তির আবেদন পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে পাবলিক ইস্যু রুলস বা সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটিজ আইন অথবা আর্থিক প্রতিবেদনের মানের ব্যত্যয়, যদি থাকে উল্লেখ করে তাদের পর্যবেক্ষণ কমিশনে প্রেরণ করবে। এই সময়ের মধ্যে পর্যবেক্ষণ প্রদান না করলে ধরে নেয়া হবে যে স্টক এক্সচেঞ্জের এ বিষয়ে কোন পর্যবেক্ষণ নেই। ৮. বুক বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে পাবলিক ইস্যুর বিডিংয়ের সময় কোন তথ্য প্রদর্শন করা যাবে না। ৯. বুক বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে পাবলিক ইস্যুর বিডিং এ যোগ্য বিনিয়োগকারীদের তাদের বিডের ১০০ শতাংশ মূল্য যে এক্সচেঞ্জ বিডিং পরিচালনা করছে, সেই এক্সচেঞ্জে জমা দিতে হবে। ১০. বুক বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে পাবলিক ইস্যুর বিডিং এ বিডাররা যে মূল্যে এবং যে পরিমাণ শেয়ার বিড করবেন সেই মূল্যেই সেই পরিমাণ শেয়ার ক্রয় করতে হবে। ১১. বুক বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে পাবলিক ইস্যুর বিডিং এ শেয়ারের বণ্টনের সর্বোচ্চ মূল্যস্তর থেকে শুরু হবে এবং ক্রমান্বয়ে তা নিচের দিকে আসবে। যে মূল্যে শেয়ার শেষ বণ্টন হবে তা প্রান্ত সীমা মূল্য (কাট অফ প্রাইজ) হিসাবে গণ্য হবে এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সেই মূল্য থেকে ১০ শতাংশ কমে শেয়ার ক্রয় করবেন। ১২. বুক বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে পাবলিক ইস্যুর বিডিং এ যদি প্রান্ত সীমা মূল্যে একাধিক বিডারের বিড থাকে সে ক্ষেত্রে যে বিডার আগে বিড দাখিল করেছেন তাকে প্রথমে শেয়ার প্রদান করা হবে। ১৩. বিডিংয়ের চূড়ান্ত ফল, মূল্য ও বরাদ্দ করা শেয়ারের সংখ্যাসহ যারা শেয়ার পেয়েছেন তাদের ই-মেইলের মাধ্যমে প্রেরণ করা হবে এবং একইসঙ্গে ইস্যুয়ার, ইস্যু ম্যানেজার এবং এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করা হবে। ১৪. অকৃতকার্য বিডারের টাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সর্বোচ্চ ৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিডারকে ফেরত দেবে। ১৫. কৃতকার্য বিডারের টাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সর্বোচ্চ ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ইস্যুয়ারের ব্যাংক হিসাবে জামা প্রদান করবে। ১৬. বিডিংয়ের পর খসড়া প্রসপেক্টাস এবং সব কাগজপত্র প্রাপ্তি সাপেক্ষে কমিশন সাধারণ জনগণের কাছে শেয়ার বিক্রির অনুমোদন প্রদান করবে। ১৭. স্থির মূল্য পদ্ধতিতে পাবলিক ইস্যুর ক্ষেত্রে আবেদন সম্মিলিতভাবে গণপ্রস্তাবের ৬৫ শতাংশের কম হলে ইস্যু বাতিল হয়ে যাবে এবং আবেদন সম্মিলিতভাবে গণপ্রস্তাবের ৬৫ শতাংশ অথবা তার বেশি হলে কিন্তু ১০০ শতাংশের কম হলে বাকি শেয়ার আন্ডার রাইটার গ্রহণ করবে। ১৮. পাবলিক ইস্যুর আবেদনের সময় ইস্যুয়ারকে পূর্বে নগদে উত্তোলিত মূলধনের ক্ষেত্রে ব্যাংকের অথবা নিরীক্ষকের সনদ এবং ব্যাংক বিবরণী দাখিল করতে হবে। ১৯. পাবলিক ইস্যুর আবেদনের সময় ইস্যুয়ারকে পূর্বে নগদে ব্যতীত উত্তোলিত মূলধনের ক্ষেত্রে যৌথ মূলধনী কোম্পানির রেজিস্ট্রারের প্রত্যায়িত বিক্রয় চুক্তি এবং সম্পদের মালিকানা সংক্রান্ত স্বত্ব দলিল কমিশনে জমা দিতে হবে।