ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে

  • ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২১৭
  • এ পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু

ডেঙ্গুজ্বর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২১৭ জন। চলতি বছরের গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ১৬৬ জন। এ ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে বিভিন্ন স্থানে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। ঘরে ঘরে শিশুদের নিয়ে পরিবার টেনশনে দিন কাটছে। তবে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক অ্যাডিস মশা দমনে এখনও জনসচেতনতা বাড়েনি। তাই মশার উপদ্রব কমেনি। অনেকের বাসা-বাড়ি ও ঘরের আঙিনা, ফুলের টবে এখনও বৃষ্টির পানি জমছে। সেখানে মশা বংশবিস্তার ঘটছে।

মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জুলাইয়ের গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮১ জন। তাদের মধ্যে ১ জন মারা গেছেন। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন জুনে ১ হাজার ৭৬১ ও মৃত্যু ২, মে মাসে ১৯৩, এপ্রিলে ৫৮ ও মৃত্যু ২ জন। এখনও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ১ হাজার ১১৬ জন।

রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে আক্রান্ত ৬ ও খুলনা বিভাগে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রোল রুম থেকে এসব তথ্য জানা গেলেও অনেক আক্রান্ত ও মৃত্যুর খবর কন্ট্রোল রুম পর্যন্ত পৌঁছায় না। সব তথ্য জানা গেলে এ সংখ্যা আরও হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে নির্মাণাধীন বিভিন্ন ভবনের ছাদে জমে থাকা পরিষ্কার স্বচ্ছ পানিতে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক অ্যাডিস মশার প্রজনন ও বিস্তার ঘটে। বাসাবাড়ির আঙিনায় জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক অ্যাডিস মশা ডিম পাড়ে ও বংশবিস্তার ঘটে। অপরদিকে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোন মশা কামড় দিলে এবং ওই মশা অন্যজনকে কামড় দিলে তিনিও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। এভাবে মশার মাধ্যমে দিন দিন এর বিস্তার ঘটছে।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০১৯ , ৪ শ্রাবন ১৪২৫, ১৪ জিলকদ ১৪৪০

ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

  • ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২১৭
  • এ পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু

ডেঙ্গুজ্বর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২১৭ জন। চলতি বছরের গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ১৬৬ জন। এ ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে বিভিন্ন স্থানে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। ঘরে ঘরে শিশুদের নিয়ে পরিবার টেনশনে দিন কাটছে। তবে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক অ্যাডিস মশা দমনে এখনও জনসচেতনতা বাড়েনি। তাই মশার উপদ্রব কমেনি। অনেকের বাসা-বাড়ি ও ঘরের আঙিনা, ফুলের টবে এখনও বৃষ্টির পানি জমছে। সেখানে মশা বংশবিস্তার ঘটছে।

মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জুলাইয়ের গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮১ জন। তাদের মধ্যে ১ জন মারা গেছেন। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন জুনে ১ হাজার ৭৬১ ও মৃত্যু ২, মে মাসে ১৯৩, এপ্রিলে ৫৮ ও মৃত্যু ২ জন। এখনও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ১ হাজার ১১৬ জন।

রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে আক্রান্ত ৬ ও খুলনা বিভাগে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রোল রুম থেকে এসব তথ্য জানা গেলেও অনেক আক্রান্ত ও মৃত্যুর খবর কন্ট্রোল রুম পর্যন্ত পৌঁছায় না। সব তথ্য জানা গেলে এ সংখ্যা আরও হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে নির্মাণাধীন বিভিন্ন ভবনের ছাদে জমে থাকা পরিষ্কার স্বচ্ছ পানিতে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক অ্যাডিস মশার প্রজনন ও বিস্তার ঘটে। বাসাবাড়ির আঙিনায় জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক অ্যাডিস মশা ডিম পাড়ে ও বংশবিস্তার ঘটে। অপরদিকে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোন মশা কামড় দিলে এবং ওই মশা অন্যজনকে কামড় দিলে তিনিও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। এভাবে মশার মাধ্যমে দিন দিন এর বিস্তার ঘটছে।