জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে রংপুরে ডিআইজি অফিস ঘেরাও

গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জে বাগদা ফার্মে সন্ত্রাসীদের হামলা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, মালপত্র রুট, শ্লীলতাহানি ও তিন আদিবাসিকে গুলি করে হত্যার তিন বছরেও মামলার চার্জশিট প্রদান না করার প্রতিবাদে গতকাল শত শত আদিবাসী রংপুর রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন। এর আগে তারা গোবিন্দগঞ্জ থেকে এসে নগরীর শাপলা চত্বর হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পুলিশের ডিআইজি কার্যালয় ঘেরাও করে আড়াই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্যের কাছে তাদের দাবি সংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়, ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর সুহার মিল কর্তৃপক্ষ হামলা চালিয়ে আদিবাসীদের দুই শতাধিক বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে এবং মালপত লুট ও শ্লীলতাহানি করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে পুলিশ নির্বিচারে গুলি করে। এতে তিন আদিবাসীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর নেতৃত্ব দেন স্থানীয় এমপি আবুল কালাম আজাদ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল। এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করার পরও পুলিশ পদক্ষেপ নেয়নি। পরে হাইকোট পিবিআইকে দ্রুততম সময়ে তদন্ত করে আসামিদের গ্রেফতারসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিলেও আড়াই বছরে পিবিআই পদক্ষেপ নেয়নি। আদিবাসী নেতারা অবিলম্বে আসামিদের গ্রেফতার করা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন।

বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি জহুরুল ইসলাম প্রধান ও সাধারণ সম্পাদক ফিলিমন বাস্কে। এ সময় অন্যান্য নেতা উপস্থিত ছিলেন।

আদিবাসি নেতা ফিলিমন বাস্কে অভিযোগ করেন, পিবিআই হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে আড়াই বছর ধরে তদন্তের নামে তাদের মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। তারা এমপি আবুল কালাম আজাদ, সুগার মিলের এমডিসহ অন্যদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। অনেক দিন অপেক্ষা করেছেন তারা। আর কোন সময় দেবেন না। আগামী এক মাসের মধ্যে মামলার চার্জশিট দেয়া না হলে এবং আসামিদের গ্রেফতার না করলে কঠোর আন্দোলনে যাবেন তারা।

সংগ্রাম পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল রংপুর রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি প্রদান করে। এ সময় ডিআইজি সংগ্রাম কমিটির নেতাদের বক্তব্য শোনেন। তবে সংবাদ কর্মীদের ছবি তুলতে বারবার নিষেধ করায় তা ধারণ করা যায়নি।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০১৯ , ৪ শ্রাবন ১৪২৫, ১৪ জিলকদ ১৪৪০

তিন আদিবাসীকে হত্যায়

জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে রংপুরে ডিআইজি অফিস ঘেরাও

জেলা বার্তা পরিবেশক, রংপুর

গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জে বাগদা ফার্মে সন্ত্রাসীদের হামলা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, মালপত্র রুট, শ্লীলতাহানি ও তিন আদিবাসিকে গুলি করে হত্যার তিন বছরেও মামলার চার্জশিট প্রদান না করার প্রতিবাদে গতকাল শত শত আদিবাসী রংপুর রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন। এর আগে তারা গোবিন্দগঞ্জ থেকে এসে নগরীর শাপলা চত্বর হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পুলিশের ডিআইজি কার্যালয় ঘেরাও করে আড়াই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্যের কাছে তাদের দাবি সংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়, ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর সুহার মিল কর্তৃপক্ষ হামলা চালিয়ে আদিবাসীদের দুই শতাধিক বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে এবং মালপত লুট ও শ্লীলতাহানি করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে পুলিশ নির্বিচারে গুলি করে। এতে তিন আদিবাসীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর নেতৃত্ব দেন স্থানীয় এমপি আবুল কালাম আজাদ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল। এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করার পরও পুলিশ পদক্ষেপ নেয়নি। পরে হাইকোট পিবিআইকে দ্রুততম সময়ে তদন্ত করে আসামিদের গ্রেফতারসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিলেও আড়াই বছরে পিবিআই পদক্ষেপ নেয়নি। আদিবাসী নেতারা অবিলম্বে আসামিদের গ্রেফতার করা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন।

বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি জহুরুল ইসলাম প্রধান ও সাধারণ সম্পাদক ফিলিমন বাস্কে। এ সময় অন্যান্য নেতা উপস্থিত ছিলেন।

আদিবাসি নেতা ফিলিমন বাস্কে অভিযোগ করেন, পিবিআই হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে আড়াই বছর ধরে তদন্তের নামে তাদের মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। তারা এমপি আবুল কালাম আজাদ, সুগার মিলের এমডিসহ অন্যদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। অনেক দিন অপেক্ষা করেছেন তারা। আর কোন সময় দেবেন না। আগামী এক মাসের মধ্যে মামলার চার্জশিট দেয়া না হলে এবং আসামিদের গ্রেফতার না করলে কঠোর আন্দোলনে যাবেন তারা।

সংগ্রাম পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল রংপুর রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি প্রদান করে। এ সময় ডিআইজি সংগ্রাম কমিটির নেতাদের বক্তব্য শোনেন। তবে সংবাদ কর্মীদের ছবি তুলতে বারবার নিষেধ করায় তা ধারণ করা যায়নি।