গত বছর জীবন রক্ষাকারী টিকা পায়নি ২ কোটি শিশু

২০১৮ সালে বিশ্বের প্রতি ১০ জন শিশুর মধ্যে একজন শিশু জীবন-রক্ষাকারী রোগের টিকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ও ইউনিসেফ। সংস্থাটি জানায়, গত বছর বিশ্বজুড়ে ২ কোটি শিশু হাম, ধনুষ্টংকার ও ডিপথেরিয়ার মতো রোগের টিকা পায়নি। ইউনিসেফের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী টিকা দানের পরিস্থিতির উন্নতি হলে আরো ১৫ লাখ মৃত্যু এড়ানো যেত।

২০১০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ডিপথেরিয়া, ধনুষ্টংকার ও পার্ঁুসিস (ডিটিপি) রোগের তিন ডোজ করে টিকা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বিশ্বের ৮৬ ভাগ অঞ্চলে হামের টিকা দেয়া হচ্ছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে বিশ্বজুড়ে ১ কোটি ৯০ লাখ ৪০ হাজার শিশু তিন ডোজের ডিটিপি টিকা নেয়নি। এই শিশুদের মধ্যে ৬০ ভাগ শিশুই অ্যাঙ্গোলা, ইথিওপিয়া, ইন্ডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামের। এই প্রতিবেদনে উঠে আসে, টিকাগ্রহণ থেকে বাদ পড়া শিশুদের মধ্যে বেশিরভাগই দরিদ্র ও সংর্ঘষপূর্ণ দেশগুলোর। এদের মধ্যে অর্ধেক শিশুই আফগানিস্তান, মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র, চাদ, কঙ্গো, ইথওিপিয়া, হাইতি, ইরাক, মালি, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সুদান, সুদান, সিরিয়া ও ইয়ামেনসহ ১৬টি দেশের।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ট্রেডোস এডহেনোম হিব্রেসোস বলেন, ‘টিকা দানের মাধ্যমে প্রতিরোধক রোগ থেকে সুরক্ষার জন্য বিশ্বের ৯৫ ভাগ অঞ্চলকে এর আওতায় আনতে হবে। বিশ্বকে নিরাপদ রাখার জন্য টিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনেরিয়েটা ফোর বলেন, ‘২০১৮ সালে বিশ্বজুড়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার হামের রেকর্ড করা হয়েছে, যা ২০১৭ সালের তুলনায় দ্বিগুণ।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০১৯ , ৪ শ্রাবন ১৪২৫, ১৪ জিলকদ ১৪৪০

গত বছর জীবন রক্ষাকারী টিকা পায়নি ২ কোটি শিশু

সংবাদ ডেস্ক

২০১৮ সালে বিশ্বের প্রতি ১০ জন শিশুর মধ্যে একজন শিশু জীবন-রক্ষাকারী রোগের টিকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ও ইউনিসেফ। সংস্থাটি জানায়, গত বছর বিশ্বজুড়ে ২ কোটি শিশু হাম, ধনুষ্টংকার ও ডিপথেরিয়ার মতো রোগের টিকা পায়নি। ইউনিসেফের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী টিকা দানের পরিস্থিতির উন্নতি হলে আরো ১৫ লাখ মৃত্যু এড়ানো যেত।

২০১০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ডিপথেরিয়া, ধনুষ্টংকার ও পার্ঁুসিস (ডিটিপি) রোগের তিন ডোজ করে টিকা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বিশ্বের ৮৬ ভাগ অঞ্চলে হামের টিকা দেয়া হচ্ছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে বিশ্বজুড়ে ১ কোটি ৯০ লাখ ৪০ হাজার শিশু তিন ডোজের ডিটিপি টিকা নেয়নি। এই শিশুদের মধ্যে ৬০ ভাগ শিশুই অ্যাঙ্গোলা, ইথিওপিয়া, ইন্ডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামের। এই প্রতিবেদনে উঠে আসে, টিকাগ্রহণ থেকে বাদ পড়া শিশুদের মধ্যে বেশিরভাগই দরিদ্র ও সংর্ঘষপূর্ণ দেশগুলোর। এদের মধ্যে অর্ধেক শিশুই আফগানিস্তান, মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র, চাদ, কঙ্গো, ইথওিপিয়া, হাইতি, ইরাক, মালি, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সুদান, সুদান, সিরিয়া ও ইয়ামেনসহ ১৬টি দেশের।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ট্রেডোস এডহেনোম হিব্রেসোস বলেন, ‘টিকা দানের মাধ্যমে প্রতিরোধক রোগ থেকে সুরক্ষার জন্য বিশ্বের ৯৫ ভাগ অঞ্চলকে এর আওতায় আনতে হবে। বিশ্বকে নিরাপদ রাখার জন্য টিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনেরিয়েটা ফোর বলেন, ‘২০১৮ সালে বিশ্বজুড়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার হামের রেকর্ড করা হয়েছে, যা ২০১৭ সালের তুলনায় দ্বিগুণ।