আসামে ‘বিদেশি’ চিহ্নিত এক লাখেরও বেশি বাসিন্দা

আসামে ১ লাখ ১৭ হাজার বাসিন্দাকে বিদেশি চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিশান রেডি। তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসাব অনুযায়ী, ১ লাখ ১৭ হাজার ১৬৪ জনকে বিদেশি হিসেবে ঘোষণা করেছে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল। কংগ্রেস সদস্য আবদুল খালেকের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে গত ৮ জানুয়ারি ভারতের লোকসভায় ‘সিটিজেনশিপ (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট ২০১৬’ পাস করা হয়েছে। এতে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে। আইনটি পাসের ফলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ‘পালাতে বাধ্য হওয়া’ হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। ইতোমধ্যে আসামের যে নাগরিকত্ব তালিকা করা হয়েছে তা থেকে বাদ পড়েছেন প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। এনআরসির সমর্থকরা মনে করে, এরা বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে আসামে গিয়েছে। রেডি বলেন, আসামের বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে ১০০টির মতো ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। মন্ত্রীর দাবি, ১৯৬৪ সালের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালস (নির্দেশিকা) অনুযায়ী চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়ার কাজ হচ্ছে। ২০১৪ সালের ১৭ ডিসেম্বরে দেয়া সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ মেনে প্রক্রিয়ার ওপর নিয়মিত নজর রাখছে গৌহাটি হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। এদিন রেড্ডি আরও জানান, ‘যদি কারও ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি থাকে, সেক্ষেত্রে তিনি উচ্চতর আদালতে যেতে পারেন। নাগরিকত্ব প্রমাণ করা একটি আইনি বিষয় এবং প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার দাবি প্রমাণ করার পূর্ণ সুযোগ দেয়া হয়।’

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০১৯ , ৪ শ্রাবন ১৪২৫, ১৪ জিলকদ ১৪৪০

আসামে ‘বিদেশি’ চিহ্নিত এক লাখেরও বেশি বাসিন্দা

সংবাদ ডেস্ক

আসামে ১ লাখ ১৭ হাজার বাসিন্দাকে বিদেশি চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিশান রেডি। তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসাব অনুযায়ী, ১ লাখ ১৭ হাজার ১৬৪ জনকে বিদেশি হিসেবে ঘোষণা করেছে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল। কংগ্রেস সদস্য আবদুল খালেকের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে গত ৮ জানুয়ারি ভারতের লোকসভায় ‘সিটিজেনশিপ (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট ২০১৬’ পাস করা হয়েছে। এতে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে। আইনটি পাসের ফলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ‘পালাতে বাধ্য হওয়া’ হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। ইতোমধ্যে আসামের যে নাগরিকত্ব তালিকা করা হয়েছে তা থেকে বাদ পড়েছেন প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। এনআরসির সমর্থকরা মনে করে, এরা বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে আসামে গিয়েছে। রেডি বলেন, আসামের বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে ১০০টির মতো ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। মন্ত্রীর দাবি, ১৯৬৪ সালের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালস (নির্দেশিকা) অনুযায়ী চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়ার কাজ হচ্ছে। ২০১৪ সালের ১৭ ডিসেম্বরে দেয়া সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ মেনে প্রক্রিয়ার ওপর নিয়মিত নজর রাখছে গৌহাটি হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। এদিন রেড্ডি আরও জানান, ‘যদি কারও ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি থাকে, সেক্ষেত্রে তিনি উচ্চতর আদালতে যেতে পারেন। নাগরিকত্ব প্রমাণ করা একটি আইনি বিষয় এবং প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার দাবি প্রমাণ করার পূর্ণ সুযোগ দেয়া হয়।’