রাজধানী ঢাকা এবং দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলের মধ্যে চলাচলের জন্য নতুন আন্তঃনগর ট্রেন বেনাপোল এক্সপ্রেস আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে। বাসস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পতাকা নেড়ে হুইসেল বাজিয়ে এই নতুন ট্রেন উদ্বোধন করেন। একই অনুষ্ঠানে তিনি ঢাকা-রাজশাহী রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর বিরতিহীন ট্রেন ‘বনলতা এক্সপ্রেস’-এর যাত্রাপথ চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত বর্ধিত করেন। এর আগে ২৫ এপ্রিল ঢাকা-রাজশাহী রুটে আন্তঃনগর বিরতিহীন ‘বনলতা এক্সপ্রেস’র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এবং এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আবাসিক প্রতিনিধি মনমোহন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জল হোসেন পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে রেলখাতের সার্বিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফােেরন্সের মাধ্যমে বেনাপোল এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রান্তের জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রতিদিন ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’-এর এক জোড়া ট্রেন ঢাকা-বেনাপোল রুটে চলাচল করবে। এর মধ্যে যাত্রাপথে ঈশ্বরদী, যশোর এবং ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে ট্রেনটি যাত্রাবিরতির কথা রয়েছে।
৮৯৬টি আসন এবং ১২টি কম্পার্টমেন্ট সমৃদ্ধ ট্রেনটি প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১১টায় বেনাপোল থেকে ছেড়ে এসে সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকায় পৌঁছবে এবং রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে সকাল ৮টা নাগাদ বেনাপোল গিয়ে পৌঁছবে।
ট্রেনের টিকিট শোভন চেয়ার শ্রেণীর জন্য ৫শ’ টাকা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আসনের জন্য এক হাজার টাকা এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিনের জন্য ১২শ’ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ট্রেনের কম্পার্টমেন্টগুলো ইন্দোনেশিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, জনগণ তাদের ঈদের সময় এই ট্রেনে ভ্রমণের সুবিধা নিতে পারবে।
এ উপলক্ষে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। প্ল্যাটফর্মের ওপরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। হরেক রকম ফুল দিয়ে ট্রেনটি সাজানো হয় নান্দনিক সাজে।
বেনাপোলে ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান, যশোর-১ আসনের এমপি শেখ আফিল উদ্দীন ও যশোর-২ আসনের এমপি মেজর জেনারেল (অব) মো. নাসির উদ্দীন।
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার মো. সাইদুজ্জামান বলেন, গতকাল প্রথম পাঁচ ঘণ্টায় এই স্টেশন থেকে শোভন চেয়ারের ১৪টি ও এসি চেয়ারের ১৮টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া অনলাইনের এই ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে ২২ জুলাই থেকে।
৮৯৬টি আসনের এই ট্রেন প্রতিদিন বেলা সোয়া ১টায় বেনাপোল রেলস্টেশন ছেড়ে যাবে। যশোর রেলওয়ে জংশনে পৌঁছে ১৫ মিনিট বিরতি নেবে। সেখানে যাত্রী ওঠানোর পাশাপাশি রেলের ইঞ্জিন ঢাকামুখী ঘোরানো হবে। এরপর ঈশ্বরদী গিয়ে ট্রেনের চালকসহ অন্যান্য কর্মী বদলের জন্য আরও ১৫ মিনিটের বিরতি থাকবে, ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রী নামানোর জন্য কিছুক্ষণ ট্রেনটি থামানো হবে এবং পরে ট্রেনটি ঢাকা কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে শেষ হবে।
দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন ১০-১২ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে যাতায়াত করে থাকে। বেনাপোল থেকে ঢাকায় আসা আধুনিক এই ট্রেনের বগি ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা হয়েছে। এ ট্রেনে বিমানের মতো বায়ো-টয়লেট সুবিধা রয়েছে। আসনগুলোও আধুনিক। প্রতিদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা থেকে ট্রেনটি বেনাপোলের উদ্দেশে ছেড়ে আসবে।
বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০১৯ , ৪ শ্রাবন ১৪২৫, ১৪ জিলকদ ১৪৪০
রাজধানী ঢাকা এবং দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলের মধ্যে চলাচলের জন্য নতুন আন্তঃনগর ট্রেন বেনাপোল এক্সপ্রেস আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে। বাসস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পতাকা নেড়ে হুইসেল বাজিয়ে এই নতুন ট্রেন উদ্বোধন করেন। একই অনুষ্ঠানে তিনি ঢাকা-রাজশাহী রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর বিরতিহীন ট্রেন ‘বনলতা এক্সপ্রেস’-এর যাত্রাপথ চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত বর্ধিত করেন। এর আগে ২৫ এপ্রিল ঢাকা-রাজশাহী রুটে আন্তঃনগর বিরতিহীন ‘বনলতা এক্সপ্রেস’র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এবং এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আবাসিক প্রতিনিধি মনমোহন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জল হোসেন পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে রেলখাতের সার্বিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফােেরন্সের মাধ্যমে বেনাপোল এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রান্তের জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রতিদিন ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’-এর এক জোড়া ট্রেন ঢাকা-বেনাপোল রুটে চলাচল করবে। এর মধ্যে যাত্রাপথে ঈশ্বরদী, যশোর এবং ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে ট্রেনটি যাত্রাবিরতির কথা রয়েছে।
৮৯৬টি আসন এবং ১২টি কম্পার্টমেন্ট সমৃদ্ধ ট্রেনটি প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১১টায় বেনাপোল থেকে ছেড়ে এসে সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকায় পৌঁছবে এবং রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে সকাল ৮টা নাগাদ বেনাপোল গিয়ে পৌঁছবে।
ট্রেনের টিকিট শোভন চেয়ার শ্রেণীর জন্য ৫শ’ টাকা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আসনের জন্য এক হাজার টাকা এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিনের জন্য ১২শ’ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ট্রেনের কম্পার্টমেন্টগুলো ইন্দোনেশিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, জনগণ তাদের ঈদের সময় এই ট্রেনে ভ্রমণের সুবিধা নিতে পারবে।
এ উপলক্ষে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। প্ল্যাটফর্মের ওপরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। হরেক রকম ফুল দিয়ে ট্রেনটি সাজানো হয় নান্দনিক সাজে।
বেনাপোলে ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান, যশোর-১ আসনের এমপি শেখ আফিল উদ্দীন ও যশোর-২ আসনের এমপি মেজর জেনারেল (অব) মো. নাসির উদ্দীন।
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার মো. সাইদুজ্জামান বলেন, গতকাল প্রথম পাঁচ ঘণ্টায় এই স্টেশন থেকে শোভন চেয়ারের ১৪টি ও এসি চেয়ারের ১৮টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া অনলাইনের এই ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে ২২ জুলাই থেকে।
৮৯৬টি আসনের এই ট্রেন প্রতিদিন বেলা সোয়া ১টায় বেনাপোল রেলস্টেশন ছেড়ে যাবে। যশোর রেলওয়ে জংশনে পৌঁছে ১৫ মিনিট বিরতি নেবে। সেখানে যাত্রী ওঠানোর পাশাপাশি রেলের ইঞ্জিন ঢাকামুখী ঘোরানো হবে। এরপর ঈশ্বরদী গিয়ে ট্রেনের চালকসহ অন্যান্য কর্মী বদলের জন্য আরও ১৫ মিনিটের বিরতি থাকবে, ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রী নামানোর জন্য কিছুক্ষণ ট্রেনটি থামানো হবে এবং পরে ট্রেনটি ঢাকা কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে শেষ হবে।
দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন ১০-১২ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে যাতায়াত করে থাকে। বেনাপোল থেকে ঢাকায় আসা আধুনিক এই ট্রেনের বগি ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা হয়েছে। এ ট্রেনে বিমানের মতো বায়ো-টয়লেট সুবিধা রয়েছে। আসনগুলোও আধুনিক। প্রতিদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা থেকে ট্রেনটি বেনাপোলের উদ্দেশে ছেড়ে আসবে।