দুদকের মামলায় এএসপি কারাগারে

ফরিদপুরে নির্দিষ্ট সময়ে সম্পত্তির বিবরণ না দেয়ায় দুদকের দায়ের করা মামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার বিকেলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানালে আদালতের বিচারক মো. সেলিম মিয়া সে আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম এসএম বদরুল আলম। এসএম বদরুল আলম বর্তমানে গাজীপুর জেলার হাইওয়ে পুলিশের এএসপি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ২০০৯ সালে এসএম বদরুল আলম যশোরের ঝিকরগাছা থানার ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই বছর এসএম বদরুল আলম নির্দিষ্ট সময়ে সমাপ্তির হিসাব না দেয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সম্বন্বিত ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আবুল হোসেন বাদী হয়ে ২০০৯ সালের ৮ সেপ্টম্বর দুদকের নোটিশ অমান্য করার অভিযোগে (২০০৪ (২৯) ২ ধারায়) এসএম বদরুল আলমকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। ওই মামলা দায়েরের পর এসএম বদরুল আলম হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন। হাইকোর্ট একটি বেঞ্চ গত ২০১৪ সালের ১৬ জুন এ ব্যাপারে একটি রুল জারি করে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বদরুল আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুদকের মামলার কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন। গত ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই হাইকোর্ট বদরুল আলমের দায়ের করা রুলটি খারিজ করে দেন। জেলা দুদকের আইনজীবী নারায়ণ চন্দ্র দাস জানান, হাইকোর্ট রুলনিশি খারিজ করে দিলেও বদরুল আলম সে সত্য গোপন রাখেন। অতঃপর গতকাল তিনি ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এসে আত্মসমর্পণ কওে জামিন প্রার্থনা করেন। তবে আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০১৯ , ৪ শ্রাবন ১৪২৫, ১৪ জিলকদ ১৪৪০

ফরিদপুরে

দুদকের মামলায় এএসপি কারাগারে

প্রতিনিধি, ফরিদপুর

ফরিদপুরে নির্দিষ্ট সময়ে সম্পত্তির বিবরণ না দেয়ায় দুদকের দায়ের করা মামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার বিকেলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানালে আদালতের বিচারক মো. সেলিম মিয়া সে আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম এসএম বদরুল আলম। এসএম বদরুল আলম বর্তমানে গাজীপুর জেলার হাইওয়ে পুলিশের এএসপি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ২০০৯ সালে এসএম বদরুল আলম যশোরের ঝিকরগাছা থানার ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই বছর এসএম বদরুল আলম নির্দিষ্ট সময়ে সমাপ্তির হিসাব না দেয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সম্বন্বিত ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আবুল হোসেন বাদী হয়ে ২০০৯ সালের ৮ সেপ্টম্বর দুদকের নোটিশ অমান্য করার অভিযোগে (২০০৪ (২৯) ২ ধারায়) এসএম বদরুল আলমকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। ওই মামলা দায়েরের পর এসএম বদরুল আলম হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন। হাইকোর্ট একটি বেঞ্চ গত ২০১৪ সালের ১৬ জুন এ ব্যাপারে একটি রুল জারি করে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বদরুল আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুদকের মামলার কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন। গত ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই হাইকোর্ট বদরুল আলমের দায়ের করা রুলটি খারিজ করে দেন। জেলা দুদকের আইনজীবী নারায়ণ চন্দ্র দাস জানান, হাইকোর্ট রুলনিশি খারিজ করে দিলেও বদরুল আলম সে সত্য গোপন রাখেন। অতঃপর গতকাল তিনি ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এসে আত্মসমর্পণ কওে জামিন প্রার্থনা করেন। তবে আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।