ঢাবি শিক্ষার্থীদের ক্লাস পরীক্ষা বর্জনসহ বিক্ষোভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলসহ চার দফা দাবিতে টিএসসি ও শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল ঢাবি শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন ও সদস্য তানভীর হাসান সৈকত। আজ একই দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় টিএসসিসংলগ্ন সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় আশপাশের রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেন তারা। এরপর দুপুর ১২টার দিকে বিক্ষোভকারীরা শাহবাগে গিয়ে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়টি অবরোধ করেন। এ সময় আশপাশের রাস্তাগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে রাস্তায় যাতায়াতকারীসহ ভোগান্তিতে পড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, বারডেম ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অভিমুখী রোগী ও তাদের স্বজনরাও। শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলোÑ সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল, দুই মাসের মধ্যে সব ধরনের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ, ক্যাম্পাসে বহিরাগত যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম অটোমেশনের আওতায় আনা। আন্দোলনকারীরা বলছেন, অধিভুক্ত রাজধানীর বড় ৭ কলেজের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া পর্যাপ্ত লোকবলের অভাবে অতিরিক্ত চাপে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। অবরোধকারীরা এর আগে ৭ কলেজের আন্দোলনের সময় ঢাবির বাস আটকে দেয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, সাত কলেজ বাতিলের আন্দোলন আজকের নয়, অনেক দিনের আন্দোলন। যেখানে কিছু কিছু বিভাগে ঢাবি শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট সাত মাসের মধ্যেও প্রকাশ করা সম্ভব হয় না সেখানে প্রশাসন কীভাবে অতিরিক্ত দুই লাখ শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নেয়। আমি আমার অবস্থান থেকে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল চাইছি। আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র ঢাবির শাকিল আহমেদ বলেন, ২০১৮ থেকে আমরা অধিভুক্তি বাতিলের আন্দোলন করে এলেও প্রশাসন আমাদের দাবি মানছে না। ডাকসুর পক্ষ থেকে আশ্বাস পেলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই আমরা মাঠে আসতে বাধ্য হয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০১৯ , ৪ শ্রাবন ১৪২৫, ১৪ জিলকদ ১৪৪০

চার দফা দাবি

ঢাবি শিক্ষার্থীদের ক্লাস পরীক্ষা বর্জনসহ বিক্ষোভ

প্রতিনিধি, ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলসহ চার দফা দাবিতে টিএসসি ও শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল ঢাবি শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন ও সদস্য তানভীর হাসান সৈকত। আজ একই দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় টিএসসিসংলগ্ন সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় আশপাশের রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেন তারা। এরপর দুপুর ১২টার দিকে বিক্ষোভকারীরা শাহবাগে গিয়ে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়টি অবরোধ করেন। এ সময় আশপাশের রাস্তাগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে রাস্তায় যাতায়াতকারীসহ ভোগান্তিতে পড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, বারডেম ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অভিমুখী রোগী ও তাদের স্বজনরাও। শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলোÑ সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল, দুই মাসের মধ্যে সব ধরনের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ, ক্যাম্পাসে বহিরাগত যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম অটোমেশনের আওতায় আনা। আন্দোলনকারীরা বলছেন, অধিভুক্ত রাজধানীর বড় ৭ কলেজের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া পর্যাপ্ত লোকবলের অভাবে অতিরিক্ত চাপে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। অবরোধকারীরা এর আগে ৭ কলেজের আন্দোলনের সময় ঢাবির বাস আটকে দেয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, সাত কলেজ বাতিলের আন্দোলন আজকের নয়, অনেক দিনের আন্দোলন। যেখানে কিছু কিছু বিভাগে ঢাবি শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট সাত মাসের মধ্যেও প্রকাশ করা সম্ভব হয় না সেখানে প্রশাসন কীভাবে অতিরিক্ত দুই লাখ শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নেয়। আমি আমার অবস্থান থেকে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল চাইছি। আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র ঢাবির শাকিল আহমেদ বলেন, ২০১৮ থেকে আমরা অধিভুক্তি বাতিলের আন্দোলন করে এলেও প্রশাসন আমাদের দাবি মানছে না। ডাকসুর পক্ষ থেকে আশ্বাস পেলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই আমরা মাঠে আসতে বাধ্য হয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।