বন্দুকযুদ্ধে নারীসহ তিনজন নিহত

কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি ও পুলিশের সঙ্গে কথিত পৃথক বন্দুকযুদ্ধে এক নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। বিজিবি-পুলিশের দাবি, তারা মাদক ব্যবসায়ী।

গত মঙ্গলবার রাতে টেকনাফের জাদিমুড়ার সংলগ্ন শিকলপাড়ায় বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় দু’জন ও গতকাল ভোরে একই এলাকায় দুই মাদক কারবারির মধ্যে ইয়াবা লেনদেনের ঘটনায় গোলাগুলিতে এক নারী মারা গেছে। তারা হলো জাবেদ মিয়া ( ৩৪), আসমাউল সওদাগর (৩৫) ও হামিদা (৩২)।

টেকনাফ বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান বলেন, মঙ্গলবার রাতে টেকনাফের জাদিমুড়ার সংলগ্ন শিকলপাড়া এলাকা দিয়ে মায়ানমার থেকে ইয়াবার একটি চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করছে- এমন সংবাদে বিজিবির একটি দল জাদিমুড়া এলাকায় অবস্থান করলে পাচারকারীরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। পরে তারা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে জাবেদ ও আসমাউলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার ইয়াবা, ১টি দেশীয় এলজি ও তিনটি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় বিজিবি।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, গতকাল ভোরে টেকনাফের হ্নীলা ইউপির জাদিমুড়া বাজারের পূর্বদিকে নাফ নদী সংলগ্ন খালি জায়গায় ইয়াবা লেনদেন কেন্দ্র করে দুই মাদক গ্রুপের মধ্যে গুলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ হামিদাকে? উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। ঘটনাস্থল থেকে ২টি এলজি, ৮ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১২ রাউন্ড খালি খোসা, পাঁচ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। হামিদা মাদক ব্যবসায়ী ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০১৯ , ৪ শ্রাবন ১৪২৫, ১৪ জিলকদ ১৪৪০

টেকনাফে

বন্দুকযুদ্ধে নারীসহ তিনজন নিহত

প্রতিনিধি, টেকনাফ (কক্সবাজার)

কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি ও পুলিশের সঙ্গে কথিত পৃথক বন্দুকযুদ্ধে এক নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। বিজিবি-পুলিশের দাবি, তারা মাদক ব্যবসায়ী।

গত মঙ্গলবার রাতে টেকনাফের জাদিমুড়ার সংলগ্ন শিকলপাড়ায় বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় দু’জন ও গতকাল ভোরে একই এলাকায় দুই মাদক কারবারির মধ্যে ইয়াবা লেনদেনের ঘটনায় গোলাগুলিতে এক নারী মারা গেছে। তারা হলো জাবেদ মিয়া ( ৩৪), আসমাউল সওদাগর (৩৫) ও হামিদা (৩২)।

টেকনাফ বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান বলেন, মঙ্গলবার রাতে টেকনাফের জাদিমুড়ার সংলগ্ন শিকলপাড়া এলাকা দিয়ে মায়ানমার থেকে ইয়াবার একটি চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করছে- এমন সংবাদে বিজিবির একটি দল জাদিমুড়া এলাকায় অবস্থান করলে পাচারকারীরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। পরে তারা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে জাবেদ ও আসমাউলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার ইয়াবা, ১টি দেশীয় এলজি ও তিনটি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় বিজিবি।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, গতকাল ভোরে টেকনাফের হ্নীলা ইউপির জাদিমুড়া বাজারের পূর্বদিকে নাফ নদী সংলগ্ন খালি জায়গায় ইয়াবা লেনদেন কেন্দ্র করে দুই মাদক গ্রুপের মধ্যে গুলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ হামিদাকে? উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। ঘটনাস্থল থেকে ২টি এলজি, ৮ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১২ রাউন্ড খালি খোসা, পাঁচ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। হামিদা মাদক ব্যবসায়ী ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।