প্রধান শিক্ষকের ছাত্রীবিরোধী আচরণ

প্রতিনিধি, নবাবগঞ্জ (ঢাকা)

ঢাকার নবাবগঞ্জের বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্ষণের শিকার অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (১৫) স্কুল থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গতকাল সকালে স্থানীয় সাংবাদিকের কাছে ঐ শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা এ অভিযোগ করেন। এতে অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা দিতে পারছে না ওই ছাত্রী। নির্যাতিত ছাত্রী জানান, ‘বেতন, জরিমানা, কোচিং ও পরীক্ষার ফি নিলেও মেয়েকে স্কুলে থেকে বের করে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম।’

নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর মা জায়েদা বেগম আরও জানান, তাকে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। পরে প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক মোস্তফাসহ সব শিক্ষকের উপস্থিতিতে আমাকে লাইব্রেরিতে ডেকে নেয়া হয়। এ সময় মেয়েকে স্কুলে পাঠাতে নিষেধ করেন তারা।

এ ব্যাপারে বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ‘ওর এ ঘটনা আমরা জানতাম না। সহপাঠীরা খুঁনসুটি করা নিয়ে ৯ জুলাই স্কুল ফটকে ছাত্রীদের সঙ্গে মারামারি করে। অভিভাবকদের অভিযোগে ঐ ছাত্রীর মাকে ডেকে কিছুদিন স্কুলে না আসতে বলা হয়েছিল। অভিভাবকদের অভিযোগে বৃহস্পতিবার পরীক্ষার দিন (১১ জুলাই) তাই স্কুলে আসতে নিষেধ করেছিলাম। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্কুলে আসতে বলেছি।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিদ্দিক নূর আলম এ ব্যাপারে বলেন, এ বিষয়টি গতকাল সকালে শুনেছি, যদি পড়ালেখা করতে চায় তাহলে আমরা সর্বাধিক সহযোগিতা করব।

নবাবগঞ্জ থানার ওসি মো. মোস্তফা কামাল এ ব্যাপারে বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা ছিল না। ঘটনাটি অত্যন্ত অমানবিক। ওই ছাত্রীর পরিবার থানায় যোগাযোগ করুক। আমরা ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচএম সালাউদ্দিন মনজুর বলেন, বিষয়টি আমি শুনামাত্র উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছি। মেয়েটির লেখাপড়ার ব্যাপারে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

ঘটনা সূত্র, দোহারের জয়পাড়া বাজারের একটি কাপড়ের দোকানে যাতায়াতের সূত্রে স্কুলছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় কয়েকজন সেলসম্যানের। পরে গত ১৯ জুন মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে জয়পাড়ার ড্রিম চাইনিজ রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায় লম্পট ফয়সাল সিকদার। পরে লম্পটের বন্ধু শাওন ও রেস্টুরেন্টের মালিক বাবুলের সহযোগিতায় ছাত্রীকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে ফয়সাল। ধর্ষণের পর তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ব্যাপারে দোহার থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন নির্যাতিত ছাত্রীর মা।

শুক্রবার, ১৯ জুলাই ২০১৯ , ৪ শ্রাবন ১৪২৫, ১৫ জিলকদ ১৪৪০

প্রধান শিক্ষকের ছাত্রীবিরোধী আচরণ

প্রতিনিধি, নবাবগঞ্জ (ঢাকা)

ঢাকার নবাবগঞ্জের বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্ষণের শিকার অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (১৫) স্কুল থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গতকাল সকালে স্থানীয় সাংবাদিকের কাছে ঐ শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা এ অভিযোগ করেন। এতে অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা দিতে পারছে না ওই ছাত্রী। নির্যাতিত ছাত্রী জানান, ‘বেতন, জরিমানা, কোচিং ও পরীক্ষার ফি নিলেও মেয়েকে স্কুলে থেকে বের করে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম।’

নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর মা জায়েদা বেগম আরও জানান, তাকে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। পরে প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক মোস্তফাসহ সব শিক্ষকের উপস্থিতিতে আমাকে লাইব্রেরিতে ডেকে নেয়া হয়। এ সময় মেয়েকে স্কুলে পাঠাতে নিষেধ করেন তারা।

এ ব্যাপারে বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ‘ওর এ ঘটনা আমরা জানতাম না। সহপাঠীরা খুঁনসুটি করা নিয়ে ৯ জুলাই স্কুল ফটকে ছাত্রীদের সঙ্গে মারামারি করে। অভিভাবকদের অভিযোগে ঐ ছাত্রীর মাকে ডেকে কিছুদিন স্কুলে না আসতে বলা হয়েছিল। অভিভাবকদের অভিযোগে বৃহস্পতিবার পরীক্ষার দিন (১১ জুলাই) তাই স্কুলে আসতে নিষেধ করেছিলাম। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্কুলে আসতে বলেছি।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিদ্দিক নূর আলম এ ব্যাপারে বলেন, এ বিষয়টি গতকাল সকালে শুনেছি, যদি পড়ালেখা করতে চায় তাহলে আমরা সর্বাধিক সহযোগিতা করব।

নবাবগঞ্জ থানার ওসি মো. মোস্তফা কামাল এ ব্যাপারে বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা ছিল না। ঘটনাটি অত্যন্ত অমানবিক। ওই ছাত্রীর পরিবার থানায় যোগাযোগ করুক। আমরা ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচএম সালাউদ্দিন মনজুর বলেন, বিষয়টি আমি শুনামাত্র উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছি। মেয়েটির লেখাপড়ার ব্যাপারে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

ঘটনা সূত্র, দোহারের জয়পাড়া বাজারের একটি কাপড়ের দোকানে যাতায়াতের সূত্রে স্কুলছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় কয়েকজন সেলসম্যানের। পরে গত ১৯ জুন মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে জয়পাড়ার ড্রিম চাইনিজ রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায় লম্পট ফয়সাল সিকদার। পরে লম্পটের বন্ধু শাওন ও রেস্টুরেন্টের মালিক বাবুলের সহযোগিতায় ছাত্রীকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে ফয়সাল। ধর্ষণের পর তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ব্যাপারে দোহার থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন নির্যাতিত ছাত্রীর মা।