হংকংয়ে কর্মশালায় যোগ দিচ্ছেন লাভলী

আগামী ২২ জুলাই থেকে হংকং সিসিসিডি (Center For Community Cultural Development) আয়োজন করতে যাচ্ছে মাসব্যাপী ‘ডান্স এ্যাবিলিটি’ কর্মশালা। কর্মশালাটি পরিচালনা করবেন ডান্স অ্যাবিলিটির উদ্ভাবক ও আমেরিকার প্রখ্যাত কোরিওগ্রাফার মি. এলিটো এলিচ্ছি। আন্তর্জাতিক এই কর্মশালায় অংশ নিবেন বিভিন্ন দেশের ডান্স এবং থিয়েটার অঙ্গনের ট্রেইনাররা। নতুনধারার এই নৃত্যকৌশল রপ্ত করার প্রয়াসে এ কর্মশালায় অংশ নিতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের তারুণ্যদীপ্ত নাট্যশিল্পী শামীমা শওকত লাভলী। মাসব্যাপী এ কর্মশালায় অংশ নিতে গতকাল ১৮ জুলাই তিনি হংকংয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন। এ বিষয়ে লাভলী বলেন, ‘যেহেতু আমি বৃত্তি পেয়ে কর্মশালায় যোগ দিতে যাচ্ছি তাই কর্মশালার ফী বাবদ ১৬০০ ডলার ছাড়াও হংকং-এ থাকা, খাওয়া, লোকাল যাতায়াত খরচ বহন করবে সংগঠনটি। তবে ঢাকা থেকে হংকং যাওয়ার প্লেন টিকিট স্পন্সর করছে একটি ব্যাংক। এ জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এ ক্ষেত্রে আমাদের নাট্যাঙ্গনের একজন শ্রদ্ধেয় গুণী নাট্যজন আন্তরিকভাবে সাহায়তা করেছেন তার প্রতিও অশেষ কৃতজ্ঞতা। একইভাবে আমি কৃতজ্ঞ আমার দল আরণ্যকের প্রতি; যার সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে আমি বেড়ে উঠি।’

তিনি বলেন, ‘যেহেতু নিজের দেশে আমি বিভিন্ন কর্মশালা পরিচালনা করি। নাটক নির্দেশনা এবং কোরিওগ্রাফির কাজ করি, ফলে এ ‘ডান্স এ্যাবিলিটি’ কর্মশালাটি আমাকে সমৃদ্ধ করবে এবং দেশে ফিরে আমি আমার দল এবং দলের বাইরের নাট্যকর্মীদেরও এ বিষয়ে ধারণা দিতে পারবো বলে আশা করছি।’

প্রসঙ্গত, শামীমা শওকত লাভলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। আরণ্যক নাট্যদলের নিবেদিত এ নাট্যশিল্পী ১৯৯৩ সাল থেকে দলের নন্দিত প্রযোজনা ‘জয় জয়ন্তী’, ‘ওরা কদম আলী’, ‘ইবলিশ’, ‘সংক্রান্তি’, ‘এবং বিদ্যাসাগর’, ‘স্বপ্ন পথিক’ এবং ‘রাঢ়াং’সহ বিভিন্ন প্রযোজনায় পোশাক পরিকল্পনা, কোরিওগ্রাফি এবং নানা ক্ষেত্রে নির্দেশনার কাজ করে থাকেন।

শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯ , ৫ শ্রাবন ১৪২৫, ১৬ জিলকদ ১৪৪০

হংকংয়ে কর্মশালায় যোগ দিচ্ছেন লাভলী

বিনোদন প্রতিবেদক

image

আগামী ২২ জুলাই থেকে হংকং সিসিসিডি (Center For Community Cultural Development) আয়োজন করতে যাচ্ছে মাসব্যাপী ‘ডান্স এ্যাবিলিটি’ কর্মশালা। কর্মশালাটি পরিচালনা করবেন ডান্স অ্যাবিলিটির উদ্ভাবক ও আমেরিকার প্রখ্যাত কোরিওগ্রাফার মি. এলিটো এলিচ্ছি। আন্তর্জাতিক এই কর্মশালায় অংশ নিবেন বিভিন্ন দেশের ডান্স এবং থিয়েটার অঙ্গনের ট্রেইনাররা। নতুনধারার এই নৃত্যকৌশল রপ্ত করার প্রয়াসে এ কর্মশালায় অংশ নিতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের তারুণ্যদীপ্ত নাট্যশিল্পী শামীমা শওকত লাভলী। মাসব্যাপী এ কর্মশালায় অংশ নিতে গতকাল ১৮ জুলাই তিনি হংকংয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন। এ বিষয়ে লাভলী বলেন, ‘যেহেতু আমি বৃত্তি পেয়ে কর্মশালায় যোগ দিতে যাচ্ছি তাই কর্মশালার ফী বাবদ ১৬০০ ডলার ছাড়াও হংকং-এ থাকা, খাওয়া, লোকাল যাতায়াত খরচ বহন করবে সংগঠনটি। তবে ঢাকা থেকে হংকং যাওয়ার প্লেন টিকিট স্পন্সর করছে একটি ব্যাংক। এ জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এ ক্ষেত্রে আমাদের নাট্যাঙ্গনের একজন শ্রদ্ধেয় গুণী নাট্যজন আন্তরিকভাবে সাহায়তা করেছেন তার প্রতিও অশেষ কৃতজ্ঞতা। একইভাবে আমি কৃতজ্ঞ আমার দল আরণ্যকের প্রতি; যার সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে আমি বেড়ে উঠি।’

তিনি বলেন, ‘যেহেতু নিজের দেশে আমি বিভিন্ন কর্মশালা পরিচালনা করি। নাটক নির্দেশনা এবং কোরিওগ্রাফির কাজ করি, ফলে এ ‘ডান্স এ্যাবিলিটি’ কর্মশালাটি আমাকে সমৃদ্ধ করবে এবং দেশে ফিরে আমি আমার দল এবং দলের বাইরের নাট্যকর্মীদেরও এ বিষয়ে ধারণা দিতে পারবো বলে আশা করছি।’

প্রসঙ্গত, শামীমা শওকত লাভলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। আরণ্যক নাট্যদলের নিবেদিত এ নাট্যশিল্পী ১৯৯৩ সাল থেকে দলের নন্দিত প্রযোজনা ‘জয় জয়ন্তী’, ‘ওরা কদম আলী’, ‘ইবলিশ’, ‘সংক্রান্তি’, ‘এবং বিদ্যাসাগর’, ‘স্বপ্ন পথিক’ এবং ‘রাঢ়াং’সহ বিভিন্ন প্রযোজনায় পোশাক পরিকল্পনা, কোরিওগ্রাফি এবং নানা ক্ষেত্রে নির্দেশনার কাজ করে থাকেন।