তিনি সরল বিশ্বাস বলতে কী বুঝিয়েছেন তা পরিষ্কার নয়

কাদের

‘করাপশন ইজ করাপশন, এর দ্বিতীয় কোন ব্যাখ্যা নেই’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান সরল বিশ্বাস বলতে কী বুঝিয়েছেন, তা পরিষ্কার নয়। বিষয়টি পরিষ্কার হতে হবে। সরকার যেকোন দুর্নীতিকে দুর্নীতি হিসেবেই দেখবে। গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের শেষ দিন গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সম্পর্কিত কার্যঅধিবেশনে অংশ নেয়ার পর দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ পাবলিক সার্ভিস অ্যাক্ট নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে ‘সরল বিশ্বাসে কৃতকর্ম’ কোন অপরাধ নয়। তবে প্রমাণ করতে হবে যে ‘সরল বিশ্বাসেই’ কাজটি হয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, দুদকের চেয়ারম্যান কী বলেছেন, আমার ঠিক জানা নেই। তবে আমি দুর্নীতিকে দুর্নীতি হিসেবেই দেখতে চাই। করাপশন ইজ করাপশন। আপনি করাপশন করবেন, অনিয়ম করবেন এটাকে করাপশন হিসেবে দেখতে হবে। করাপশনের দ্বিতীয় কোনো ব্যাখ্যা নেই। দুর্নীতি দুর্নীতিই। দুর্নীতিকে সরকার দুর্নীতি হিসেবেই দেখবে। এখন সরল বিশ্বাস বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন সেই বিষয়টি স্পষ্ট নয়। দুর্নীতি দুর্নীতিই, কারও কম দুর্নীতি, কারও বেশি।

অবশ্য অনেক সময় দুর্নীতির অভিযোগের ভেতরেও যে রাজনীতি থাকে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, করাপশন এখন সারা দুনিয়াতে হচ্ছে। কোথাও বেশি, কোথাও কম। কোথাও দুর্নীতিটাকে বেশি করে দেখানো হয়। এখানে পলিটিক্যালি মোটিভেটেড বিষয় আছে যে, আমি কাউকে পছন্দ করি না, তাই তাকে ঢালাওভাবে করাপ্ট বলে সাব্যস্ত করছি। এটা দেশে দেশে আছে, এটা ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্সের একটি ধারা।

এইচএম এরশাদ-পরবর্তী জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংসদে জাতীয় পার্টির অনেক আসন আছে। এরশাদের অবর্তমানে তাদের দলীয় রাজনীতি কেমন হবে, সেটা দলটির অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। রাজনীতিতে তারাই টিকে থাকবে, যারা সময়োপযোগী ও যুগোপযোগী রাজনীতি করবে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকার বিরোধী হিসেবে কাজ করা দলীয় নেতারা কী ধরনের শাস্তি পেতে পারেন, এই প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, এখন কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। এরপর তাদের জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে রাজনৈতিক কর্মকা- পরিচালনায় কোথাও বাধা দেয়া হচ্ছে না। বিএনপির সাংগঠনিক কাজে সরকারি বাধার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কাদের বলেন, বিএনপির কোথাও কোন সভায় পুলিশ বাধা দেয়নি। সবখানে তারা সভার অনুমতি পেয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ বিএনপির কল্পিত। দলীয় নেতাকর্মীদের বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে আমরা স্টেপ নিতে শুরু করেছি, প্রধানমন্ত্রী এয়ারপোর্টে বলে গেছেন, পানিসম্পদ, নৌপরিবহন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রীসহ যারা দায়িত্বে আছেন, তাদের নিয়ে টিম করতে হবে, সরকারিভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।

শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯ , ৫ শ্রাবন ১৪২৫, ১৬ জিলকদ ১৪৪০

তিনি সরল বিশ্বাস বলতে কী বুঝিয়েছেন তা পরিষ্কার নয়

কাদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

‘করাপশন ইজ করাপশন, এর দ্বিতীয় কোন ব্যাখ্যা নেই’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান সরল বিশ্বাস বলতে কী বুঝিয়েছেন, তা পরিষ্কার নয়। বিষয়টি পরিষ্কার হতে হবে। সরকার যেকোন দুর্নীতিকে দুর্নীতি হিসেবেই দেখবে। গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের শেষ দিন গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সম্পর্কিত কার্যঅধিবেশনে অংশ নেয়ার পর দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ পাবলিক সার্ভিস অ্যাক্ট নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে ‘সরল বিশ্বাসে কৃতকর্ম’ কোন অপরাধ নয়। তবে প্রমাণ করতে হবে যে ‘সরল বিশ্বাসেই’ কাজটি হয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, দুদকের চেয়ারম্যান কী বলেছেন, আমার ঠিক জানা নেই। তবে আমি দুর্নীতিকে দুর্নীতি হিসেবেই দেখতে চাই। করাপশন ইজ করাপশন। আপনি করাপশন করবেন, অনিয়ম করবেন এটাকে করাপশন হিসেবে দেখতে হবে। করাপশনের দ্বিতীয় কোনো ব্যাখ্যা নেই। দুর্নীতি দুর্নীতিই। দুর্নীতিকে সরকার দুর্নীতি হিসেবেই দেখবে। এখন সরল বিশ্বাস বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন সেই বিষয়টি স্পষ্ট নয়। দুর্নীতি দুর্নীতিই, কারও কম দুর্নীতি, কারও বেশি।

অবশ্য অনেক সময় দুর্নীতির অভিযোগের ভেতরেও যে রাজনীতি থাকে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, করাপশন এখন সারা দুনিয়াতে হচ্ছে। কোথাও বেশি, কোথাও কম। কোথাও দুর্নীতিটাকে বেশি করে দেখানো হয়। এখানে পলিটিক্যালি মোটিভেটেড বিষয় আছে যে, আমি কাউকে পছন্দ করি না, তাই তাকে ঢালাওভাবে করাপ্ট বলে সাব্যস্ত করছি। এটা দেশে দেশে আছে, এটা ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্সের একটি ধারা।

এইচএম এরশাদ-পরবর্তী জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংসদে জাতীয় পার্টির অনেক আসন আছে। এরশাদের অবর্তমানে তাদের দলীয় রাজনীতি কেমন হবে, সেটা দলটির অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। রাজনীতিতে তারাই টিকে থাকবে, যারা সময়োপযোগী ও যুগোপযোগী রাজনীতি করবে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকার বিরোধী হিসেবে কাজ করা দলীয় নেতারা কী ধরনের শাস্তি পেতে পারেন, এই প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, এখন কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। এরপর তাদের জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে রাজনৈতিক কর্মকা- পরিচালনায় কোথাও বাধা দেয়া হচ্ছে না। বিএনপির সাংগঠনিক কাজে সরকারি বাধার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কাদের বলেন, বিএনপির কোথাও কোন সভায় পুলিশ বাধা দেয়নি। সবখানে তারা সভার অনুমতি পেয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ বিএনপির কল্পিত। দলীয় নেতাকর্মীদের বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে আমরা স্টেপ নিতে শুরু করেছি, প্রধানমন্ত্রী এয়ারপোর্টে বলে গেছেন, পানিসম্পদ, নৌপরিবহন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রীসহ যারা দায়িত্বে আছেন, তাদের নিয়ে টিম করতে হবে, সরকারিভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।