পৃথক হামলা

আফগানিস্তানে নিহত ১৮কাবুল ও কান্দাহারে আহত ১০৭

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথের বাইরে বোমার বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়াও এতে আহত হয়েছেন অন্তত ২৭ জন। এদিকে দেশটির কান্দাহার নগরীর পুলিশ সদর দপ্তরের গেইটে ২টি গাড়িবোমা হামলা চালিয়েছে আফগান সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামরত বিদ্রোহীগোষ্ঠী তালেবান। এতে ১২ জন নিহত ও ৮০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

গত শুক্রবার স্থানীয় সময় সকালে দক্ষিণ এশীয় দেশটির রাজধানীতে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনের বরাতে এ তথ্য জানা গেছে। আফগানিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াহিদ মেয়ার বিস্ফোরণের পর ছয়জনের মৃতদেহ ও আহত ২৭ জনকে হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলায় আহত ২৭ জনের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠীই এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানান, পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার অপেক্ষা করছিল, তখনই ওই বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। আপরদিকে কান্দাহারের পুলিশ প্রধান তাদিন খান জানান, নগরীর পুলিশ সদর দপ্তরের বিস্ফোরণের পর বন্দুকধারী জঙ্গিরা কাছাকাছি একটি অবস্থান থেকে গুলি ছুড়তে শুরু করলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের বন্দুকযুদ্ধ হয়। হামলাকারীরা পুলিশ বাহিনীর মাদকবিরোধী শাখাকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে বলে জানান তিনি। পুলিশ হামলাস্থলটি ঘিরে রেখেছে। প্রাদেশিক গভর্নরের মুখপাত্র বহির আহমাদি মৃতের সংখ্যা জানিয়ে বলেছেন, নিহতদের মধ্যে পুলিশ এবং বেসামরিক নাগরিকও আছে। কান্দাহারের প্রাদেশিক হাসপাতালে দায়িত্বরত এক চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে ৮৩ জন আহতকে আনা হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

২০০১ সালে মার্কিন আগ্রাসনে আফগানিস্তানে উৎখাত হয় তালেবান সরকার। তারপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের সমর্থিত বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। দীর্ঘ যুদ্ধ অবসানে গত বছরের জুনে কাতারে তালেবান বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘ ১৮ বছরের যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে শান্তির রোডম্যাপে সম্মত হয়েছে তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এরপরও দেশটিতে সহিংসতার ঘটনা ঘটেই চলেছে।

শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯ , ৫ শ্রাবন ১৪২৫, ১৬ জিলকদ ১৪৪০

পৃথক হামলা

আফগানিস্তানে নিহত ১৮কাবুল ও কান্দাহারে আহত ১০৭

সংবাদ ডেস্ক

image

কান্দাহার নগরীর পুলিশ সদর দফতরের গেইটে তালেবানের হামলার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর তৎপরতা -রয়টার্স

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথের বাইরে বোমার বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়াও এতে আহত হয়েছেন অন্তত ২৭ জন। এদিকে দেশটির কান্দাহার নগরীর পুলিশ সদর দপ্তরের গেইটে ২টি গাড়িবোমা হামলা চালিয়েছে আফগান সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামরত বিদ্রোহীগোষ্ঠী তালেবান। এতে ১২ জন নিহত ও ৮০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

গত শুক্রবার স্থানীয় সময় সকালে দক্ষিণ এশীয় দেশটির রাজধানীতে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনের বরাতে এ তথ্য জানা গেছে। আফগানিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াহিদ মেয়ার বিস্ফোরণের পর ছয়জনের মৃতদেহ ও আহত ২৭ জনকে হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলায় আহত ২৭ জনের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠীই এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানান, পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার অপেক্ষা করছিল, তখনই ওই বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। আপরদিকে কান্দাহারের পুলিশ প্রধান তাদিন খান জানান, নগরীর পুলিশ সদর দপ্তরের বিস্ফোরণের পর বন্দুকধারী জঙ্গিরা কাছাকাছি একটি অবস্থান থেকে গুলি ছুড়তে শুরু করলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের বন্দুকযুদ্ধ হয়। হামলাকারীরা পুলিশ বাহিনীর মাদকবিরোধী শাখাকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে বলে জানান তিনি। পুলিশ হামলাস্থলটি ঘিরে রেখেছে। প্রাদেশিক গভর্নরের মুখপাত্র বহির আহমাদি মৃতের সংখ্যা জানিয়ে বলেছেন, নিহতদের মধ্যে পুলিশ এবং বেসামরিক নাগরিকও আছে। কান্দাহারের প্রাদেশিক হাসপাতালে দায়িত্বরত এক চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে ৮৩ জন আহতকে আনা হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

২০০১ সালে মার্কিন আগ্রাসনে আফগানিস্তানে উৎখাত হয় তালেবান সরকার। তারপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের সমর্থিত বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। দীর্ঘ যুদ্ধ অবসানে গত বছরের জুনে কাতারে তালেবান বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘ ১৮ বছরের যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে শান্তির রোডম্যাপে সম্মত হয়েছে তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এরপরও দেশটিতে সহিংসতার ঘটনা ঘটেই চলেছে।