১১ মাসে আমদানি বেড়েছে ৬ শতাংশ

মেগা প্রকল্প ও অবকাঠামো খাতের উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশের আমদানি বাড়ছে। ১১ মাসের ব্যবধানে আমদানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৪ হাজার ৭০০ কোটি ৮৯ লাখ থেকে ৫ হাজার কোটি ৫৭ লাখ ডলারে উন্নীত হয়েছে ঋণপত্রের আবেদন।

অবকাঠামো বা বিল্ডিং তৈরির উপকরণ, পদ্মা সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও ফ্লাইওভারসহ নানা প্রকল্প বাস্তবায়নে যেসব কাঁচামাল দরকার তার প্রায় সবই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। সে করণেই এ বছর আমদানি বাড়ছে এবং আগামীতে আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কয়লা, ক্লিঙ্কার এবং জাহাজের যন্ত্রাংশের সার্বিক আমদানি বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাস পর্যন্ত ৫০০ কোটি ২৩ লাখ ডলারের এসব পণ্য আমদনি হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৩০০ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। ব্যবসায়ীরা সাধারণত জাতীয় বাজেটের দিকে লক্ষ্য রেখে মে এবং জুন মাসে ধীর নীতি অবলম্বন করেন। বাজেটে যদি কোন পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করা হয় তাহলে তাদের আমদানি খরচ বেড়ে যায়। তবে সামগ্রিক জুলাই মাসে পণ্য আমদানি সামান্য বাড়তে পারে বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা। অন্যদিকে, মূলধনী যন্ত্রপাতি ও খাদ্যশস্যের আমদানি কমেছে এ সময়ে। মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি কমেছে ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ। খাদ্যশস্য বিশেষ করে চাল ও গমের আমদানি প্রায় ৫৪ কমে ১০০ কোটি ৩৪ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ২০০ কোটি ৯০ লাখ ডলার।

রবিবার, ২১ জুলাই ২০১৯ , ৬ শ্রাবন ১৪২৫, ১৭ জিলকদ ১৪৪০

১১ মাসে আমদানি বেড়েছে ৬ শতাংশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

মেগা প্রকল্প ও অবকাঠামো খাতের উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশের আমদানি বাড়ছে। ১১ মাসের ব্যবধানে আমদানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৪ হাজার ৭০০ কোটি ৮৯ লাখ থেকে ৫ হাজার কোটি ৫৭ লাখ ডলারে উন্নীত হয়েছে ঋণপত্রের আবেদন।

অবকাঠামো বা বিল্ডিং তৈরির উপকরণ, পদ্মা সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও ফ্লাইওভারসহ নানা প্রকল্প বাস্তবায়নে যেসব কাঁচামাল দরকার তার প্রায় সবই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। সে করণেই এ বছর আমদানি বাড়ছে এবং আগামীতে আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কয়লা, ক্লিঙ্কার এবং জাহাজের যন্ত্রাংশের সার্বিক আমদানি বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাস পর্যন্ত ৫০০ কোটি ২৩ লাখ ডলারের এসব পণ্য আমদনি হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৩০০ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। ব্যবসায়ীরা সাধারণত জাতীয় বাজেটের দিকে লক্ষ্য রেখে মে এবং জুন মাসে ধীর নীতি অবলম্বন করেন। বাজেটে যদি কোন পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করা হয় তাহলে তাদের আমদানি খরচ বেড়ে যায়। তবে সামগ্রিক জুলাই মাসে পণ্য আমদানি সামান্য বাড়তে পারে বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা। অন্যদিকে, মূলধনী যন্ত্রপাতি ও খাদ্যশস্যের আমদানি কমেছে এ সময়ে। মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি কমেছে ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ। খাদ্যশস্য বিশেষ করে চাল ও গমের আমদানি প্রায় ৫৪ কমে ১০০ কোটি ৩৪ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ২০০ কোটি ৯০ লাখ ডলার।