রংপুর মেডিকেল কলেজ

চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনায় লুটপাট

তথ্য অধিকার আইনে পাওয়া তথ্য নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

রংপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা সরঞ্জামসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনার নামে হরিলুট করা হয়েছে। টেন্ডার আহ্বানে অসচ্ছতা রয়েছে; কার্যাদেশ দেবার তিন দিনের মধ্যে কোন মালামাল গ্রহণ না করেই ৪ কোটি ৯৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা বিল প্রদান করা হয়েছে। বাজার মূল্য থেকে ৫০ থেকে একশ গুণ বেশি দামে কেনা দেখিয়ে প্রায় চার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। মেডিকেল কলেজটিকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করা হয়েছে বলে অডিট রিপোর্টেও অভিযোগ ওঠেছে। তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে দীর্ঘ ১০ মাস পর পাওয়া তথ্য নিয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির এ চিত্র।

অনুসন্ধানে জানা গেছে- মেডিকেল কলেজের চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও এসিসহ বিভিন্ন মালামাল ক্রয়ের জন্য ২০১৮ সালের ২৩ জুন দরপত্র আহ্বান করেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নুর ইসলাম। পছন্দের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেবার জন্য টেন্ডার আহ্বান করার সময়ই নজিরবিহিন অনিয়ম করা হয়। টেন্ডারে অংশ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের দাখিল করা টেন্ডারের দেয়া দর এবং পছন্দের প্রতিষ্ঠান ঢাকার সেগুনবাগিচার বেঙ্গল সার্জিকাল কোম্পানির দেয়া দর অনেক বেশি হলেও টেন্ডার খোলার পর ওপেনিং শিটে ব্যাপক কাটাকাটি করে ঐ প্রতিষ্ঠানকে সর্বনিম্ন দরপত্র দাতা দেখানো হয়। বিষয়টিতে একমত না হওয়ায় টেন্ডার কমিটির সদস্য হিসেবে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার অতিশদর্শী চাকমা ওপেনিং সিএসএ স্বাক্ষর করেননি। শুধু তাই নয় দাখিল করা টেন্ডারগুলোর যে ওপেনিং সিএস করা হয়েছিল তার কপি চেয়ে না পেয়ে রংপুর জেলা প্রশাসক এনামুল হাবিব একই বছরের ৮ জুলাই অধ্যক্ষ বরাবর চিঠি দিয়ে টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্ত ও রেজুলেশনের কপি চান। যার স্মারক নম্বর ৫৭৬/তারিখ ৮.০৭.২০১৮। কিন্তু চিঠির কোন উত্তর অধ্যক্ষ দেননি বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এনামুল হাবিব।

অধ্যক্ষ ২০১৮ সালের ২৩ জুন তার পছন্দের প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়িন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিকালকে ৪ কোটি ৯৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকার বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী ও মালামাল সরবরাহ করার কার্যাদেশ প্রদান করেন। যার কার্যাদেশ-এর স্মারক নম্বর ১৮০৯/ তারিখ ২৩.০৬.২০১৮ইং। মজার ব্যাপার কোন মালামাল গ্রহণ না করলেও মাত্র তিন দিনের মাথায় ২০১৮ সালের ২৭ জুন টেন্ডারের সমুদয় বিল প্রদান করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে সব মালামাল ও চিকিৎসা সামগ্রী কেনার জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছিল সবগুলোই বিদেশি হওয়ায় কমপক্ষে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগার কথা। আরও অভিযোগ, টেন্ডার আহ্বানের নামে কার্যাদেশ ও প্রায় ৫ কোটি টাকার বিল মূলতঃ একদিনেই দেয়া হলেও কার্যাদেশ দেয়ার সময় তিন দিন আগের তারিখ দেখানো হয়েছে।

এদিকে বাজার দর কমিটি গঠনের নামেও চরম জ্বালিয়াতি করে প্রতিটি চিকিৎসা সামগ্রী ও মালামালের মূল্য ৫০ থেকে একশ গুণ বেশি দাম দেখানো হয়েছে। যেমন দুই টন এসি কেনা দেখানো হয়েছে ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা দরে। অথচ এর বাজার দর ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। এতে করে শুধু ৩২টি এসির দাম ৫৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বেশি দেখানো হয়েছে। একইভাবে ইলেকট্রিক এনালাইজারের বাজার মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হলেও দেখানো হয়েছে ৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। বায়োলজিকাল মাইক্রোস্কোপের বাজার মূল্য ৫০ হাজার টাকা হলেও কেনা হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। শর্টওয়েভ মেশিন ফর ফিজোথেরাপি বাজার মূল্য যেখানে ১২ লাখ টাকা; দেখানো হয়েছে ৬১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এ যন্ত্রটি বাজার মূল্যের চেয়ে ৪৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা বেশি দেখানো হয়েছে। আলট্রাসাউন্ড মেশিন ফর ফিজিওথেরাপি মেশিনের বাজার মূল্য ৪ লাখ টাকা; কেনা দেখানো হয়েছে ১৪ লাখ ৬৬ হাজার ৫শ টাকা। ভিডিও অ্যানড্রসকপ মেশিনের বাজার মূল্য ৩৫ লাখ টাকা হলেও কেনা দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এমুনাজারি এনালাইজারের বাজার মূল্য ২০ লাখ টাকা; দেখানো হয়েছে এক কোটি টাকা। এই যন্ত্র কেনার নামে ৮০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। বায়োকেমিস্ট্রি এনালাইজার মেশিনের বাজার মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা; কেনা দেখানো হয়েছে ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৫শ টাকা।

অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে. প্রকৃত প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মালামাল কেনা হলে এমনিতেই প্রায় তিন কোটি টাকা সাশ্রয় হতো। কিন্তু পুরো টাকা হাতিয়ে নেবার জন্য একটি অখ্যাত কোম্পানিকে কাজ দিয়ে মালামাল না নিয়েই প্রায় ৫ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।

যে সব মালামাল কেনার কথা বলা হয়েছে এর বেশিরভাগ মালামাল আদৌ কেনা হয়েছে কিনা তারও কোন সদুত্তোর অধ্যক্ষ দিতে পারেননি। তবে কয়েকটি এসি ছাড়া আর অন্য চিকিৎসা সামগ্রীর কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় প্যাথলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, ফিজিক্যাল মেডিসিনসহ অন্যান্য বিভাগের জন্য ওই সব মালামাল ক্রয় করা হলেও সেই বিভাগের কোন প্রতিনিধিকে টেন্ডার কমিটিতে কিংবা মালামাল যাচাই বাছাই কমিটিতেই রাখা হয়নি। অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নুর ইসলাম ও কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক ডা. সারোয়াত হোসেন এই অপকর্ম করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। টেন্ডার কমিটি, বাজার দর যাচাই কমিটি, দরপত্র ওপেনিং কমিটি এবং সার্ভে কমিটি চার কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে ডা. সারোয়াত হোসেনকে। এর মাধ্যমে রংপুর মেডিকেল কলেজকে কলঙ্কিত ও বিতর্কিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কলেজের অনেক শিক্ষক।

সার্বিক বিষয়ে জানতে ডা. সারোয়াত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ সম্পর্কে কোন কথাই বলতে রাজি হননি।

অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নুর ইসলামের টেন্ডার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ বলে দাবি করে বলেন, কোন অনিয়ম হয়নি। তবে ৫ কোটি টাকার মালামাল কোথায় জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তোর দিতে পারেননি।

রবিবার, ২১ জুলাই ২০১৯ , ৬ শ্রাবন ১৪২৫, ১৭ জিলকদ ১৪৪০

রংপুর মেডিকেল কলেজ

চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনায় লুটপাট

তথ্য অধিকার আইনে পাওয়া তথ্য নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর

image

লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর

রংপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা সরঞ্জামসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনার নামে হরিলুট করা হয়েছে। টেন্ডার আহ্বানে অসচ্ছতা রয়েছে; কার্যাদেশ দেবার তিন দিনের মধ্যে কোন মালামাল গ্রহণ না করেই ৪ কোটি ৯৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা বিল প্রদান করা হয়েছে। বাজার মূল্য থেকে ৫০ থেকে একশ গুণ বেশি দামে কেনা দেখিয়ে প্রায় চার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। মেডিকেল কলেজটিকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করা হয়েছে বলে অডিট রিপোর্টেও অভিযোগ ওঠেছে। তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে দীর্ঘ ১০ মাস পর পাওয়া তথ্য নিয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির এ চিত্র।

অনুসন্ধানে জানা গেছে- মেডিকেল কলেজের চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও এসিসহ বিভিন্ন মালামাল ক্রয়ের জন্য ২০১৮ সালের ২৩ জুন দরপত্র আহ্বান করেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নুর ইসলাম। পছন্দের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেবার জন্য টেন্ডার আহ্বান করার সময়ই নজিরবিহিন অনিয়ম করা হয়। টেন্ডারে অংশ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের দাখিল করা টেন্ডারের দেয়া দর এবং পছন্দের প্রতিষ্ঠান ঢাকার সেগুনবাগিচার বেঙ্গল সার্জিকাল কোম্পানির দেয়া দর অনেক বেশি হলেও টেন্ডার খোলার পর ওপেনিং শিটে ব্যাপক কাটাকাটি করে ঐ প্রতিষ্ঠানকে সর্বনিম্ন দরপত্র দাতা দেখানো হয়। বিষয়টিতে একমত না হওয়ায় টেন্ডার কমিটির সদস্য হিসেবে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার অতিশদর্শী চাকমা ওপেনিং সিএসএ স্বাক্ষর করেননি। শুধু তাই নয় দাখিল করা টেন্ডারগুলোর যে ওপেনিং সিএস করা হয়েছিল তার কপি চেয়ে না পেয়ে রংপুর জেলা প্রশাসক এনামুল হাবিব একই বছরের ৮ জুলাই অধ্যক্ষ বরাবর চিঠি দিয়ে টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্ত ও রেজুলেশনের কপি চান। যার স্মারক নম্বর ৫৭৬/তারিখ ৮.০৭.২০১৮। কিন্তু চিঠির কোন উত্তর অধ্যক্ষ দেননি বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এনামুল হাবিব।

অধ্যক্ষ ২০১৮ সালের ২৩ জুন তার পছন্দের প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়িন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিকালকে ৪ কোটি ৯৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকার বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী ও মালামাল সরবরাহ করার কার্যাদেশ প্রদান করেন। যার কার্যাদেশ-এর স্মারক নম্বর ১৮০৯/ তারিখ ২৩.০৬.২০১৮ইং। মজার ব্যাপার কোন মালামাল গ্রহণ না করলেও মাত্র তিন দিনের মাথায় ২০১৮ সালের ২৭ জুন টেন্ডারের সমুদয় বিল প্রদান করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে সব মালামাল ও চিকিৎসা সামগ্রী কেনার জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছিল সবগুলোই বিদেশি হওয়ায় কমপক্ষে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগার কথা। আরও অভিযোগ, টেন্ডার আহ্বানের নামে কার্যাদেশ ও প্রায় ৫ কোটি টাকার বিল মূলতঃ একদিনেই দেয়া হলেও কার্যাদেশ দেয়ার সময় তিন দিন আগের তারিখ দেখানো হয়েছে।

এদিকে বাজার দর কমিটি গঠনের নামেও চরম জ্বালিয়াতি করে প্রতিটি চিকিৎসা সামগ্রী ও মালামালের মূল্য ৫০ থেকে একশ গুণ বেশি দাম দেখানো হয়েছে। যেমন দুই টন এসি কেনা দেখানো হয়েছে ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা দরে। অথচ এর বাজার দর ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। এতে করে শুধু ৩২টি এসির দাম ৫৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বেশি দেখানো হয়েছে। একইভাবে ইলেকট্রিক এনালাইজারের বাজার মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হলেও দেখানো হয়েছে ৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। বায়োলজিকাল মাইক্রোস্কোপের বাজার মূল্য ৫০ হাজার টাকা হলেও কেনা হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। শর্টওয়েভ মেশিন ফর ফিজোথেরাপি বাজার মূল্য যেখানে ১২ লাখ টাকা; দেখানো হয়েছে ৬১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এ যন্ত্রটি বাজার মূল্যের চেয়ে ৪৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা বেশি দেখানো হয়েছে। আলট্রাসাউন্ড মেশিন ফর ফিজিওথেরাপি মেশিনের বাজার মূল্য ৪ লাখ টাকা; কেনা দেখানো হয়েছে ১৪ লাখ ৬৬ হাজার ৫শ টাকা। ভিডিও অ্যানড্রসকপ মেশিনের বাজার মূল্য ৩৫ লাখ টাকা হলেও কেনা দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এমুনাজারি এনালাইজারের বাজার মূল্য ২০ লাখ টাকা; দেখানো হয়েছে এক কোটি টাকা। এই যন্ত্র কেনার নামে ৮০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। বায়োকেমিস্ট্রি এনালাইজার মেশিনের বাজার মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা; কেনা দেখানো হয়েছে ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৫শ টাকা।

অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে. প্রকৃত প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মালামাল কেনা হলে এমনিতেই প্রায় তিন কোটি টাকা সাশ্রয় হতো। কিন্তু পুরো টাকা হাতিয়ে নেবার জন্য একটি অখ্যাত কোম্পানিকে কাজ দিয়ে মালামাল না নিয়েই প্রায় ৫ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।

যে সব মালামাল কেনার কথা বলা হয়েছে এর বেশিরভাগ মালামাল আদৌ কেনা হয়েছে কিনা তারও কোন সদুত্তোর অধ্যক্ষ দিতে পারেননি। তবে কয়েকটি এসি ছাড়া আর অন্য চিকিৎসা সামগ্রীর কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় প্যাথলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, ফিজিক্যাল মেডিসিনসহ অন্যান্য বিভাগের জন্য ওই সব মালামাল ক্রয় করা হলেও সেই বিভাগের কোন প্রতিনিধিকে টেন্ডার কমিটিতে কিংবা মালামাল যাচাই বাছাই কমিটিতেই রাখা হয়নি। অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নুর ইসলাম ও কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক ডা. সারোয়াত হোসেন এই অপকর্ম করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। টেন্ডার কমিটি, বাজার দর যাচাই কমিটি, দরপত্র ওপেনিং কমিটি এবং সার্ভে কমিটি চার কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে ডা. সারোয়াত হোসেনকে। এর মাধ্যমে রংপুর মেডিকেল কলেজকে কলঙ্কিত ও বিতর্কিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কলেজের অনেক শিক্ষক।

সার্বিক বিষয়ে জানতে ডা. সারোয়াত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ সম্পর্কে কোন কথাই বলতে রাজি হননি।

অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নুর ইসলামের টেন্ডার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ বলে দাবি করে বলেন, কোন অনিয়ম হয়নি। তবে ৫ কোটি টাকার মালামাল কোথায় জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তোর দিতে পারেননি।