ক্ষমতাসীন দলের ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান চলছে

দুদক চেয়ারম্যান

দুর্নীতি দমন কমিশন বর্তমানে ক্ষমতাসীন দলের ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে দুর্নীতি দমনে আইনজীবী ও বিচার বিভাগের ভূমিকা শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ এ সেমিনারের আয়োজন করে।

তিনি বলেন, ‘আমার জানামতে ক্ষমতাসীন দলের ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে বিচার ও তদন্ত চলছে।’ ক্ষমতাসীন দলের বাইরে আরেকটি দলের ১৫ জনের বিরুদ্ধে ও অন্য দলের ১২ জন রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের বাইরে ২৫ জন ব্যবসায়ী ও ১৫ জন কূটনীতিকের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির তদন্ত চলছে। ‘অনেকেই বলেন সরকারদলীয় মন্ত্রী-এমপিদের কিছু করা হয় না। ইনভেস্টিগেশনের সময় তথ্য প্রকাশ হলে সেটি বিব্রতকর হয়ে পড়ে। সেজন্য সব তথ্য জানিয়ে দেয়া একটু অসুবিধার বিষয়। এরপরও কিভাবে যেন সেই তথ্য পাচার হয়ে যায়। সেটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ, সেই দায় আমার।’

সরল বিশ্বাস’-এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার উত্তর একেবারে সহজ। একটি প্রশ্নের বিপরীতে আমি যে উত্তরটি দিয়েছিলাম, সেটির ভিডিও ক্লিপ আপনাদের কাছে আছে। সেখানে আমি দুর্নীতি শব্দ উচ্চারণ করিনি। আপনারা দেখতে পারেন। দুর্নীতি শব্দটি কিভাবে এলো আই হ্যাভ নো আইডিয়া। যারা এনেছেন সেটা তাদের দায়, আমার দায় নেই মোটেও। আমি কোন ব্যাখ্যা দিতে প্রস্তুত নই। কারণ আপনারা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন আমি বিষয়টি পরিষ্কার করেছি।

তিনি আরও বলেন, ‘দুদক আকাশ থেকে উড়ে আসেনি। এখানে যারা কাজ করেন, তারা কিন্তু বিদেশ থেকে আসেনি। আমরা সবাই এই সমাজের মানুষ। আমরা সবাই এই মাটির সন্তান। আমরা এই সমাজেরই অংশ। সমাজের অন্য জায়গায় যা হয়, আমার এখানে তা হয় না কথাটা ঠিক নয়। ছোট গাছ উপড়ে ফেলা যতটা সহজ, বট গাছ উপড়ে ফেলাটা কঠিন। তাই বলে যে, আমরা বট গাছ ধরছি না তা নয়।’ ‘দুদক আইন যারা করেছেন, তারাও যথেষ্ট চিন্তা-ভাবনা করেই করেছেন। আমার বলতে দ্বিধা নেই এমন কোন নথি আমি পাইনি যেখানে ফলস পাওয় যায় না। এখন আপনি যদি বলেন অ্যাকশন নিন। তাহলে আমার ৪৭৪ জন স্টাফের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে হবে। তাহলে তো আর প্রতিষ্ঠান থাকবে না।’

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ যারা গ্রামে বাস করে তারাই দুর্নীতি, হয়রানি কিংবা অনিয়মের সবচেয়ে বড় শিকার। এসব দুর্নীতিতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে চুনোপুঁটিরাই সম্পৃক্ত থাকেন। ফলে দেশের প্রায় এই ৮০ শতাংশ মানুষ যারা দুর্নীতির কারণে কোন না কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাদের কল্যাণেই চুনোপুঁটিদের আইন-আমলে আনতে হচ্ছে এবং তা অব্যাহত রাখা হবে। তবে এ কথা দৃঢ়ভাবে বলতে পারি শুধু চুনোপুঁটি নয়, রাঘব-বোয়ালদের আইন-আমলে আনা হচ্ছে এবং আরও আনা হবে। অনেক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, বিত্তবান ব্যবসায়ী কিংবা উচ্চ পদে আসীন অনেক আমলার বিষয়েও দুদক অনুসন্ধান, তদন্ত কিংবা প্রসিকিউসন করছে। তবে দুদকের এই অভিযাত্রায় আইনজীবী, সাংবাদিকসহ সমাজের প্রতিটি স্তর থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। আমি সবসময়ই গঠনমূলক সমালোচনাকে সাধুবাদ জানাই। আলোচনা হোক, সমালোচনা হোক তবে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ যেন প্রকাশিত হয়। ইচ্ছাকৃতভাবে কোন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে। এটা স্বীকার করতে আমি বিব্রত নই। কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে আমার কাছে যেসব নথি উপস্থাপিত হয় তার অধিকাংশেই বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হয়। পুরোপুরি সক্ষমতা থাকলে আমার পর্যায়ে যেসব নথি আসে তাতে কোন ত্রুটি থাকার কথা নয়। দুর্নীতি দমন কমিশন আইনেও দুর্নীতি প্রতিরোধকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আমি যোগদান করেই বলেছিলাম, অভিযোগের অনুসন্ধান বা তদন্তে টাইম লাইন অনুসরণ করতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য টাইম লাইন যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে না। যদিও আমরা চেষ্টা করছি। যদি তদন্তেই ত্রুটি থাকে তাহলে বিজ্ঞ আইনজীবী কিংবা সম্মানিত বিচারকদের পক্ষে অপরাধীদের আইন আমলে আনা দুরূহ হয়ে পড়ে। তাই আমরা তদন্তের গুণগত মান উন্নয়নে বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু বলেন, দুর্নীতিপরায়ণদের সাজা নিশ্চিত করা গেলেই সমাজে এই বার্তা পৌঁছে যাবে যে, দুর্নীতি করলে রক্ষা নেই। ব্যারিস্টার এম. আমির-উল ইসলাম বলেন, আইন দিয়ে দুর্নীতি বন্ধ করা কঠিন, এর সঙ্গে সমাজের নৈতিক মূল্যবোধের বিষয়াদি জড়িত।

সভাপতির বক্তব্যে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, মানুষ বিশ^াস করে দুদক চুনোপুঁটিদের ব্যাপারে কঠোর। বিরোধী রাজনীতিকদের প্রতিও তারা কঠোর। পক্ষান্তরে সরকারি দলের প্রতি তারা দুর্বল। তবে এ কথাও ঠিক বর্তমান চেয়াম্যানের নেতৃত্বাধীন কমিশনে ক্লিন সার্টিফিকেট নেয়ার প্রবণতা বন্ধ হয়েছে। সম্প্রতি দুদক চেয়ারম্যানের একটি বক্তব্য সঠিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, আমি নিজে এ সংক্রান্ত একাধিক ভিডিও ফুটেজ দেখেছি; কোথাও তিনি বলেননি সরল বিশ্বাসে দুর্নীতি করা অপরাধ নয়। এমনকি ওই বক্তব্যে দুর্নীতি শব্দটিই তিনি উচ্চারণ করেননি। তারপরও কেন বিষয়টি এভাবে প্রচার হলো? আসলে দায়বদ্ধতা সবারই থাকা উচিত। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার এম এস আজিম।

রবিবার, ২১ জুলাই ২০১৯ , ৬ শ্রাবন ১৪২৫, ১৭ জিলকদ ১৪৪০

ক্ষমতাসীন দলের ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান চলছে

দুদক চেয়ারম্যান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

দুর্নীতি দমন কমিশন বর্তমানে ক্ষমতাসীন দলের ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে দুর্নীতি দমনে আইনজীবী ও বিচার বিভাগের ভূমিকা শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ এ সেমিনারের আয়োজন করে।

তিনি বলেন, ‘আমার জানামতে ক্ষমতাসীন দলের ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে বিচার ও তদন্ত চলছে।’ ক্ষমতাসীন দলের বাইরে আরেকটি দলের ১৫ জনের বিরুদ্ধে ও অন্য দলের ১২ জন রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের বাইরে ২৫ জন ব্যবসায়ী ও ১৫ জন কূটনীতিকের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির তদন্ত চলছে। ‘অনেকেই বলেন সরকারদলীয় মন্ত্রী-এমপিদের কিছু করা হয় না। ইনভেস্টিগেশনের সময় তথ্য প্রকাশ হলে সেটি বিব্রতকর হয়ে পড়ে। সেজন্য সব তথ্য জানিয়ে দেয়া একটু অসুবিধার বিষয়। এরপরও কিভাবে যেন সেই তথ্য পাচার হয়ে যায়। সেটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ, সেই দায় আমার।’

সরল বিশ্বাস’-এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার উত্তর একেবারে সহজ। একটি প্রশ্নের বিপরীতে আমি যে উত্তরটি দিয়েছিলাম, সেটির ভিডিও ক্লিপ আপনাদের কাছে আছে। সেখানে আমি দুর্নীতি শব্দ উচ্চারণ করিনি। আপনারা দেখতে পারেন। দুর্নীতি শব্দটি কিভাবে এলো আই হ্যাভ নো আইডিয়া। যারা এনেছেন সেটা তাদের দায়, আমার দায় নেই মোটেও। আমি কোন ব্যাখ্যা দিতে প্রস্তুত নই। কারণ আপনারা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন আমি বিষয়টি পরিষ্কার করেছি।

তিনি আরও বলেন, ‘দুদক আকাশ থেকে উড়ে আসেনি। এখানে যারা কাজ করেন, তারা কিন্তু বিদেশ থেকে আসেনি। আমরা সবাই এই সমাজের মানুষ। আমরা সবাই এই মাটির সন্তান। আমরা এই সমাজেরই অংশ। সমাজের অন্য জায়গায় যা হয়, আমার এখানে তা হয় না কথাটা ঠিক নয়। ছোট গাছ উপড়ে ফেলা যতটা সহজ, বট গাছ উপড়ে ফেলাটা কঠিন। তাই বলে যে, আমরা বট গাছ ধরছি না তা নয়।’ ‘দুদক আইন যারা করেছেন, তারাও যথেষ্ট চিন্তা-ভাবনা করেই করেছেন। আমার বলতে দ্বিধা নেই এমন কোন নথি আমি পাইনি যেখানে ফলস পাওয় যায় না। এখন আপনি যদি বলেন অ্যাকশন নিন। তাহলে আমার ৪৭৪ জন স্টাফের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে হবে। তাহলে তো আর প্রতিষ্ঠান থাকবে না।’

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ যারা গ্রামে বাস করে তারাই দুর্নীতি, হয়রানি কিংবা অনিয়মের সবচেয়ে বড় শিকার। এসব দুর্নীতিতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে চুনোপুঁটিরাই সম্পৃক্ত থাকেন। ফলে দেশের প্রায় এই ৮০ শতাংশ মানুষ যারা দুর্নীতির কারণে কোন না কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাদের কল্যাণেই চুনোপুঁটিদের আইন-আমলে আনতে হচ্ছে এবং তা অব্যাহত রাখা হবে। তবে এ কথা দৃঢ়ভাবে বলতে পারি শুধু চুনোপুঁটি নয়, রাঘব-বোয়ালদের আইন-আমলে আনা হচ্ছে এবং আরও আনা হবে। অনেক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, বিত্তবান ব্যবসায়ী কিংবা উচ্চ পদে আসীন অনেক আমলার বিষয়েও দুদক অনুসন্ধান, তদন্ত কিংবা প্রসিকিউসন করছে। তবে দুদকের এই অভিযাত্রায় আইনজীবী, সাংবাদিকসহ সমাজের প্রতিটি স্তর থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। আমি সবসময়ই গঠনমূলক সমালোচনাকে সাধুবাদ জানাই। আলোচনা হোক, সমালোচনা হোক তবে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ যেন প্রকাশিত হয়। ইচ্ছাকৃতভাবে কোন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে। এটা স্বীকার করতে আমি বিব্রত নই। কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে আমার কাছে যেসব নথি উপস্থাপিত হয় তার অধিকাংশেই বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হয়। পুরোপুরি সক্ষমতা থাকলে আমার পর্যায়ে যেসব নথি আসে তাতে কোন ত্রুটি থাকার কথা নয়। দুর্নীতি দমন কমিশন আইনেও দুর্নীতি প্রতিরোধকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আমি যোগদান করেই বলেছিলাম, অভিযোগের অনুসন্ধান বা তদন্তে টাইম লাইন অনুসরণ করতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য টাইম লাইন যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে না। যদিও আমরা চেষ্টা করছি। যদি তদন্তেই ত্রুটি থাকে তাহলে বিজ্ঞ আইনজীবী কিংবা সম্মানিত বিচারকদের পক্ষে অপরাধীদের আইন আমলে আনা দুরূহ হয়ে পড়ে। তাই আমরা তদন্তের গুণগত মান উন্নয়নে বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু বলেন, দুর্নীতিপরায়ণদের সাজা নিশ্চিত করা গেলেই সমাজে এই বার্তা পৌঁছে যাবে যে, দুর্নীতি করলে রক্ষা নেই। ব্যারিস্টার এম. আমির-উল ইসলাম বলেন, আইন দিয়ে দুর্নীতি বন্ধ করা কঠিন, এর সঙ্গে সমাজের নৈতিক মূল্যবোধের বিষয়াদি জড়িত।

সভাপতির বক্তব্যে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, মানুষ বিশ^াস করে দুদক চুনোপুঁটিদের ব্যাপারে কঠোর। বিরোধী রাজনীতিকদের প্রতিও তারা কঠোর। পক্ষান্তরে সরকারি দলের প্রতি তারা দুর্বল। তবে এ কথাও ঠিক বর্তমান চেয়াম্যানের নেতৃত্বাধীন কমিশনে ক্লিন সার্টিফিকেট নেয়ার প্রবণতা বন্ধ হয়েছে। সম্প্রতি দুদক চেয়ারম্যানের একটি বক্তব্য সঠিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, আমি নিজে এ সংক্রান্ত একাধিক ভিডিও ফুটেজ দেখেছি; কোথাও তিনি বলেননি সরল বিশ্বাসে দুর্নীতি করা অপরাধ নয়। এমনকি ওই বক্তব্যে দুর্নীতি শব্দটিই তিনি উচ্চারণ করেননি। তারপরও কেন বিষয়টি এভাবে প্রচার হলো? আসলে দায়বদ্ধতা সবারই থাকা উচিত। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার এম এস আজিম।