আ’লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু আজ

  • লক্ষ্য নতুন ভোটারদের দলে নেয়া
  • স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের সদস্যদের নজরে রাখা

নতুন ভোটারদের দলের সদস্য করার বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে আজ থেকে শুরু হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ অভিযান। এবার স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী পরিবারের কেউ যাতে সদস্য হতে না পারে সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে সে বিষয়টি সর্বোচ্চ নজর দেয়া হবে। পাশাপাশি ইতিপূর্বে অনুপ্রবেশকারীদের বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়েও কাজ চলবে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র বলছে, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটিতে পদ-পদবি পাওয়া স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের সদস্যদের শনাক্তকরণ ও বাদ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে ‘ডিগবাজি’ দিয়ে অন্য দল থেকে আসা সুবিধাভোগীদেরও তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। সূত্রমতে, সদস্যপদ নবায়ন না করা ও দল থেকে বাদ দেয়ার বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার। যাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এরা সুবিধা নিয়েছে, ওইসব নেতার বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেয়া হবে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সূত্র।

আগামী অক্টোবরে দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। এর অংশ হিসেবে গত ১১ মে থেকে বিভিন্ন জেলায় সাংগঠনিক সফরে বের হয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের আটটি টিম। অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসন, মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা-উপজেলা কমিটির সম্মেলন আয়োজন ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন, নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন অভিযান জোরদার করা এবং ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে দেশজুড়ে দলীয় কর্মসূচি আয়োজনসহ কয়েকটি লক্ষ্য সামনে নিয়ে এ সাংগঠনিক সফর চলছে। =

ইতিমধ্যে খুলনা মহানগর ও জেলা, যশোর, নড়াইল, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম উত্তর-দক্ষিণ জেলা, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, বরিশাল এবং ফরিদপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলায় বর্ধিত ও কর্মিসভায় যোগ দিয়েছেন নেতারা। জেলাপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

দেশব্যাপী চলমান সাংগঠনিক সফরে স্থানীয় পর্যায়ে খোঁজখবর নিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা তৈরি করছেন দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা। নানা অপকর্মে জড়িত পদ-পদবিধারী বিতর্কিত নেতাদের চিহ্নিত করে দল থেকে বের করে দেয়ার বিষয়টিও অনুসন্ধানে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। জেলায় জেলায় বর্ধিত ও কর্মিসভায় এদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করা হচ্ছে। যারা এদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথাও বলা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এক নেতা সংবাদকে বলেন, বিভিন্ন সময় অনুপ্রবেশকারী ও বিতর্কিতদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের তদন্ত হলেও চূড়ান্ত শাস্তির নজির কম। তবে এবার সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশ রয়েছে, দলের স্বার্থে কঠোরতা অবলম্বন করার। তিনি বলেন, তালিকার ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দলে ‘উড়ে এসে জুড়ে বসা’ নেতাকর্মীদের দল ও সংগঠনের সব পদ থেকে ছেঁটে ফেলা হবে। আজ থেকে শুরু হচ্ছে দলের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ অভিযান। দলের জেলা-উপজেলা কমিটিকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে কেন্দ্র থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবেন না- এটি আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় জোয়ারে অনেকেই আওয়ামী লীগ ও নৌকার পক্ষে মিছিল করেছেন। সবাইকে দল ধারণ করতে পারবে কি না, সেটা ভাবতে হবে। চিহ্নিত সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির কেউ আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না। দুষ্ট গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভালো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের সময় জোয়ারে অনেকেই আওয়ামী লীগ ও নৌকার পক্ষে মিছিল করেছেন। সবাইকে দল ধারণ করতে পারবে কি না, সেটা ভাবতে হবে। চিহ্নিত সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির কেউ আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না। দুষ্ট গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভালো। তিনি বলেন, তবে স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সদস্যরাসহ ‘হাইব্রিড’ যারা দলের মধ্যে আগেই ঢুকে পড়েছেন, তাদের সদস্যপদ কোন অবস্থায় আর নবায়ন করা হবে না। দলের তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলে দূষিত রক্তের কোন প্রয়োজন নেই, বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চার করতে হবে। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং ব্যবস্থা নিতে হবে।

আওয়ামী লীগের দফতর সূত্র জানায়, ‘তারুণ্যের শক্তি-বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ নীতির আলোকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শভিত্তিক আগামী প্রজন্ম গঠন এবং সমৃদ্ধ-বাংলাদেশ বিনির্মাণের হাতিয়ার হিসেবে তরুণ সমাজকে উন্নয়নমুখী কল্যাণকর রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করার মধ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও তরুণ দেশকর্মী গড়ে তুলতে আজ থেকে সারাদেশে একযোগে চলবে এই সদস্য সংগ্রহ অভিযান। সূত্রমতে, এবার সদস্য নবায়নের চেয়ে নতুন সদস্য সংগ্রহে গুরুত্ব দেয়া হবে। জেলা, উপজেলা শাখা নিয়মাবলি মেনে সদস্য সংগ্রহের বই করবে এবং সদস্য সংগ্রহ করবে বলে নির্দেশনা দিয়েছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২০ মে গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংগঠনের সদস্যপদ সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন করার পর থেকে সারাদেশে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সংগঠনের প্রতিটি শাখায় নতুন ভোটারদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সূত্রমতে, এবার প্রায় ২ কোটি নতুন সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে।

রবিবার, ২১ জুলাই ২০১৯ , ৬ শ্রাবন ১৪২৫, ১৭ জিলকদ ১৪৪০

আ’লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু আজ

ফয়েজ আহমেদ তুষার

  • লক্ষ্য নতুন ভোটারদের দলে নেয়া
  • স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের সদস্যদের নজরে রাখা

নতুন ভোটারদের দলের সদস্য করার বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে আজ থেকে শুরু হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ অভিযান। এবার স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী পরিবারের কেউ যাতে সদস্য হতে না পারে সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে সে বিষয়টি সর্বোচ্চ নজর দেয়া হবে। পাশাপাশি ইতিপূর্বে অনুপ্রবেশকারীদের বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়েও কাজ চলবে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র বলছে, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটিতে পদ-পদবি পাওয়া স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের সদস্যদের শনাক্তকরণ ও বাদ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে ‘ডিগবাজি’ দিয়ে অন্য দল থেকে আসা সুবিধাভোগীদেরও তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। সূত্রমতে, সদস্যপদ নবায়ন না করা ও দল থেকে বাদ দেয়ার বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার। যাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এরা সুবিধা নিয়েছে, ওইসব নেতার বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেয়া হবে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সূত্র।

আগামী অক্টোবরে দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। এর অংশ হিসেবে গত ১১ মে থেকে বিভিন্ন জেলায় সাংগঠনিক সফরে বের হয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের আটটি টিম। অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসন, মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা-উপজেলা কমিটির সম্মেলন আয়োজন ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন, নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন অভিযান জোরদার করা এবং ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে দেশজুড়ে দলীয় কর্মসূচি আয়োজনসহ কয়েকটি লক্ষ্য সামনে নিয়ে এ সাংগঠনিক সফর চলছে। =

ইতিমধ্যে খুলনা মহানগর ও জেলা, যশোর, নড়াইল, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম উত্তর-দক্ষিণ জেলা, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, বরিশাল এবং ফরিদপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলায় বর্ধিত ও কর্মিসভায় যোগ দিয়েছেন নেতারা। জেলাপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

দেশব্যাপী চলমান সাংগঠনিক সফরে স্থানীয় পর্যায়ে খোঁজখবর নিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা তৈরি করছেন দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা। নানা অপকর্মে জড়িত পদ-পদবিধারী বিতর্কিত নেতাদের চিহ্নিত করে দল থেকে বের করে দেয়ার বিষয়টিও অনুসন্ধানে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। জেলায় জেলায় বর্ধিত ও কর্মিসভায় এদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করা হচ্ছে। যারা এদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথাও বলা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এক নেতা সংবাদকে বলেন, বিভিন্ন সময় অনুপ্রবেশকারী ও বিতর্কিতদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের তদন্ত হলেও চূড়ান্ত শাস্তির নজির কম। তবে এবার সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশ রয়েছে, দলের স্বার্থে কঠোরতা অবলম্বন করার। তিনি বলেন, তালিকার ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দলে ‘উড়ে এসে জুড়ে বসা’ নেতাকর্মীদের দল ও সংগঠনের সব পদ থেকে ছেঁটে ফেলা হবে। আজ থেকে শুরু হচ্ছে দলের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ অভিযান। দলের জেলা-উপজেলা কমিটিকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে কেন্দ্র থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবেন না- এটি আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় জোয়ারে অনেকেই আওয়ামী লীগ ও নৌকার পক্ষে মিছিল করেছেন। সবাইকে দল ধারণ করতে পারবে কি না, সেটা ভাবতে হবে। চিহ্নিত সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির কেউ আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না। দুষ্ট গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভালো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের সময় জোয়ারে অনেকেই আওয়ামী লীগ ও নৌকার পক্ষে মিছিল করেছেন। সবাইকে দল ধারণ করতে পারবে কি না, সেটা ভাবতে হবে। চিহ্নিত সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির কেউ আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না। দুষ্ট গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভালো। তিনি বলেন, তবে স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সদস্যরাসহ ‘হাইব্রিড’ যারা দলের মধ্যে আগেই ঢুকে পড়েছেন, তাদের সদস্যপদ কোন অবস্থায় আর নবায়ন করা হবে না। দলের তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলে দূষিত রক্তের কোন প্রয়োজন নেই, বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চার করতে হবে। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং ব্যবস্থা নিতে হবে।

আওয়ামী লীগের দফতর সূত্র জানায়, ‘তারুণ্যের শক্তি-বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ নীতির আলোকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শভিত্তিক আগামী প্রজন্ম গঠন এবং সমৃদ্ধ-বাংলাদেশ বিনির্মাণের হাতিয়ার হিসেবে তরুণ সমাজকে উন্নয়নমুখী কল্যাণকর রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করার মধ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও তরুণ দেশকর্মী গড়ে তুলতে আজ থেকে সারাদেশে একযোগে চলবে এই সদস্য সংগ্রহ অভিযান। সূত্রমতে, এবার সদস্য নবায়নের চেয়ে নতুন সদস্য সংগ্রহে গুরুত্ব দেয়া হবে। জেলা, উপজেলা শাখা নিয়মাবলি মেনে সদস্য সংগ্রহের বই করবে এবং সদস্য সংগ্রহ করবে বলে নির্দেশনা দিয়েছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২০ মে গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংগঠনের সদস্যপদ সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন করার পর থেকে সারাদেশে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সংগঠনের প্রতিটি শাখায় নতুন ভোটারদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সূত্রমতে, এবার প্রায় ২ কোটি নতুন সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে।