শেয়ারবাজারে আবারও বড় পতন দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা

শেয়ারবাজারে আবারও বড় পতন হয়েছে। গতকাল সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৭৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হয়েছে। এর ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ৯৬ পয়েন্ট। এ পতনের কারণে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এই সূচকটি কমে আড়াই বছর আগের অবস্থানে নেমে গেছে । শেয়ারবাজারের দরপতন হচ্ছে গত কয়েক মাস ধরেই। তবে দুই সপ্তাহ ধরে দরপতনের মাত্রা বেড়েছে। গত ১১ কার্যদিবসের মধ্যে ৯ কার্যদিবসই দরপতন হয়েছে। বাজারের এমন দুরবস্থায় প্রতিনিয়ত পুঁজি হারাচ্ছেন লাখ লাখ বিনিয়োগকারী। ফলে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা এখন দিশেহারা।

এদিকে বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা, যা আগের কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ছিল ৩ লাখ ৮২ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। একদিনের ব্যবধানেই বাজার থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা হাওয়া হয়ে গেছে। দরপতনের এ মাত্রা ভয়াবহ রূপ নিলেও এর পেছনের যৌক্তিক কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। তবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে কারসাজি চক্রকে দায়ী করা হচ্ছে। এসব কারসাজি চক্রের শাস্তির দাবিতে গত দুই সপ্তাহ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। দিনের পর দিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে শেয়ারবাজারের পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন এসব বিনিয়োগকারীরা। গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে ১৫ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা। তবে গতকাল শেয়ারবাজারের ধসে এসব বিনিয়োগকারীরা এখন দিশেহারা।

এদিকে একাধিক ব্রোকারেজ হাউজের শীর্ষ কর্মকর্তা ও বিনিয়োগকারীরা সংবাদকে বলেন, ২০১০ সালের চেয়ে বর্তমানে শেয়ারবাজারের অবস্থা ভয়াবহ খারাপ। সবার মধ্যে নীরব রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অনেকে বলছেন, কিছুদিন পরই মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। হয়তো সে কারণেই বাজার খারাপ যাচ্ছে। মুদ্রানীতিকে কেন্দ্র করে বিগত বছরগুলোতেও বাজার একটু নেতিবাচক থাকত। তাছাড়া বাজার খারাপ থাকার কোন কারণ নেই। শেয়ারবাজারে তারল্য সংকটের অজুহাত দিয়ে কারসাজি চক্ররা বাজারের এমন দুরবস্থা তৈরি করে রাখছে। ২০১০ ও ১৯৯৬ সালে যে চক্র বাজার থেকে ফায়দা লুটেছে, তারাই আবার বাজারে সক্রিয় হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বর্তমান চেয়ারম্যান দিয়ে এ বাজার ভালো করা যাবে না।

এবিষয়ে শেয়ারবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ সংবাদকে বলেন, শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতির কারনে সবাই হতাশ। বিভিন্ন কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা গত কয়েক মাস ধরে অনেক শেয়ার বিক্রি করেছে। ফলে বাজার থেকে অনেক টাকা চলে গেছে। এ কারনে বাজারে শেয়ার বাড়ছে কিন্তু নগদ টাকা বা তারল্য বাড়েনি। এটা একটা অন্যতম সমস্যা।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৯৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে সূচকটি ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বরের পর সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে যায়। প্রধান সূচকের পাশাপাশি অপর দুটি সূচকেরও বড় পতন হয়েছে। এর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৩০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৯৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর শরিয়াহ সূচক ১৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৫৭ পয়েন্টে। সব সূচকের পতনের পাশাপাশি বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৬১ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে ২৭৩টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির। মূল্য সূচক ও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি এদিন ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে ৩৬৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৯৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা। লেনদেন কমেছে ২৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

গতকাল ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ফরচুন সুজের শেয়ার। কোম্পানিটির ২০ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের ১৫ কোটি ৬৩ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর ৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স। এছাড়াও বাজারটিতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- জেএমআই সিরিঞ্জ, বেক্সিমকো, সী পার্ল বিচ রিসোর্ট, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, কন্ট্রিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স এবং প্রাইম ইন্স্যুরেন্স।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩০৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে। গতকাল বাজারটিতে হাত বদল হওয়া ২৮৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৪২টির, কমেছে ২২৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৯ , ৭ শ্রাবন ১৪২৫, ১৮ জিলকদ ১৪৪০

শেয়ারবাজারে আবারও বড় পতন দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শেয়ারবাজারে আবারও বড় পতন হয়েছে। গতকাল সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৭৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হয়েছে। এর ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ৯৬ পয়েন্ট। এ পতনের কারণে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এই সূচকটি কমে আড়াই বছর আগের অবস্থানে নেমে গেছে । শেয়ারবাজারের দরপতন হচ্ছে গত কয়েক মাস ধরেই। তবে দুই সপ্তাহ ধরে দরপতনের মাত্রা বেড়েছে। গত ১১ কার্যদিবসের মধ্যে ৯ কার্যদিবসই দরপতন হয়েছে। বাজারের এমন দুরবস্থায় প্রতিনিয়ত পুঁজি হারাচ্ছেন লাখ লাখ বিনিয়োগকারী। ফলে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা এখন দিশেহারা।

এদিকে বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা, যা আগের কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ছিল ৩ লাখ ৮২ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। একদিনের ব্যবধানেই বাজার থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা হাওয়া হয়ে গেছে। দরপতনের এ মাত্রা ভয়াবহ রূপ নিলেও এর পেছনের যৌক্তিক কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। তবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে কারসাজি চক্রকে দায়ী করা হচ্ছে। এসব কারসাজি চক্রের শাস্তির দাবিতে গত দুই সপ্তাহ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। দিনের পর দিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে শেয়ারবাজারের পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন এসব বিনিয়োগকারীরা। গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে ১৫ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা। তবে গতকাল শেয়ারবাজারের ধসে এসব বিনিয়োগকারীরা এখন দিশেহারা।

এদিকে একাধিক ব্রোকারেজ হাউজের শীর্ষ কর্মকর্তা ও বিনিয়োগকারীরা সংবাদকে বলেন, ২০১০ সালের চেয়ে বর্তমানে শেয়ারবাজারের অবস্থা ভয়াবহ খারাপ। সবার মধ্যে নীরব রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অনেকে বলছেন, কিছুদিন পরই মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। হয়তো সে কারণেই বাজার খারাপ যাচ্ছে। মুদ্রানীতিকে কেন্দ্র করে বিগত বছরগুলোতেও বাজার একটু নেতিবাচক থাকত। তাছাড়া বাজার খারাপ থাকার কোন কারণ নেই। শেয়ারবাজারে তারল্য সংকটের অজুহাত দিয়ে কারসাজি চক্ররা বাজারের এমন দুরবস্থা তৈরি করে রাখছে। ২০১০ ও ১৯৯৬ সালে যে চক্র বাজার থেকে ফায়দা লুটেছে, তারাই আবার বাজারে সক্রিয় হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বর্তমান চেয়ারম্যান দিয়ে এ বাজার ভালো করা যাবে না।

এবিষয়ে শেয়ারবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ সংবাদকে বলেন, শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতির কারনে সবাই হতাশ। বিভিন্ন কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা গত কয়েক মাস ধরে অনেক শেয়ার বিক্রি করেছে। ফলে বাজার থেকে অনেক টাকা চলে গেছে। এ কারনে বাজারে শেয়ার বাড়ছে কিন্তু নগদ টাকা বা তারল্য বাড়েনি। এটা একটা অন্যতম সমস্যা।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৯৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে সূচকটি ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বরের পর সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে যায়। প্রধান সূচকের পাশাপাশি অপর দুটি সূচকেরও বড় পতন হয়েছে। এর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৩০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৯৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর শরিয়াহ সূচক ১৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৫৭ পয়েন্টে। সব সূচকের পতনের পাশাপাশি বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৬১ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে ২৭৩টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির। মূল্য সূচক ও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি এদিন ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে ৩৬৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৯৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা। লেনদেন কমেছে ২৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

গতকাল ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ফরচুন সুজের শেয়ার। কোম্পানিটির ২০ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের ১৫ কোটি ৬৩ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর ৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স। এছাড়াও বাজারটিতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- জেএমআই সিরিঞ্জ, বেক্সিমকো, সী পার্ল বিচ রিসোর্ট, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, কন্ট্রিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স এবং প্রাইম ইন্স্যুরেন্স।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩০৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে। গতকাল বাজারটিতে হাত বদল হওয়া ২৮৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৪২টির, কমেছে ২২৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা।