ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের কায়রোগামী ফ্লাইট বন্ধ ৭ দিন

নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে হঠাৎ করেই ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ও লুফথানসা তাদের কায়রোগামী ফ্লাইট স্থগিত করেছে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের কায়রোগামী ফ্লাইট গত শনিবার থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহ বন্ধ থাকবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সংস্থাটি। অপরদিকে গত শনিবার মিউনিখ ও ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে কায়রোগামী ফ্লাইটগুলো বাতিলের ঘোষণা দিয়ে গতকাল থেকে ফ্লাইট আবার চলার কথা জানিয়েছে লুফথানসা। কিন্তু কী কারণে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে সংস্থা দুটি বিস্তারিত কিছু বলেনি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা নিয়মিতভাবে বিশ্বব্যাপী আমাদের সব বিমানবন্দরগুলোতে আমাদের নিরাপত্তা আয়োজন পর্যালোচনা করে দেখি, আরও মূল্যায়নের জন্য পূর্ব সতর্কতা হিসেবে কায়রোগামী ফ্লাইট সাত দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে।’ ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ আরও জানিয়েছে, নিরাপদ বিবেচিত না হলে তারা কখনোই কোন উড়োজাহাজ পরিচালনা করে না। রয়টার্স জানিয়েছে, কেন ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে এবং এয়ারলাইনটি কী নিরাপত্তা আয়োজন পর্যালোচনা করছে সে বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে চাইলে এক মুখপাত্র জবাব দেন, ‘আমরা কখনোই নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করি না।’ গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ কর্মীরা কায়রো বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষা করে দেখেছে বলে তিনটি মিসরীয় বিমানবন্দর নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে জানালেও তারা বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি।

গত শনিবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের সিদ্ধান্ত সংযুক্ত করে তাদের ভ্রমণ সংক্রান্ত পরামর্শ আপডেট করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ভ্রমণকারীদের এয়ারলাইনটির সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়। শনিবার রাতে মিসরের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, তারা কায়রোর ব্রিটিশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে জেনেছে ফ্লাইট স্থগিত করার সিদ্ধান্তটি ব্রিটিশ পরিবহন বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নেয়নি। মিসরীয় মন্ত্রণালয়টি আরও জানায়, এই সময়ে যাত্রীদের বহন করার জন্য তারা কায়রো থেকে লন্ডনের পথে রোববার থেকে অতিরিক্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করবে। ২০১৫ সালে মিসরের অবকাশযাপন শহর শারম আল শেখ থেকে রওনা হওয়ার পর রাশিয়ার একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বোমা হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছিল। তারপর থেকে মিসরের ওই শহরটি সঙ্গে সব ধরনের বিমান চলাচলের বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার সতর্কতা জারি করলেও কায়রো সঙ্গে বিমান চলাচলের বিষয়ে এ ধরনের কোন সতর্কতা জারি করেনি।

সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৯ , ৭ শ্রাবন ১৪২৫, ১৮ জিলকদ ১৪৪০

ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের কায়রোগামী ফ্লাইট বন্ধ ৭ দিন

সংবাদ ডেস্ক

নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে হঠাৎ করেই ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ও লুফথানসা তাদের কায়রোগামী ফ্লাইট স্থগিত করেছে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের কায়রোগামী ফ্লাইট গত শনিবার থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহ বন্ধ থাকবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সংস্থাটি। অপরদিকে গত শনিবার মিউনিখ ও ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে কায়রোগামী ফ্লাইটগুলো বাতিলের ঘোষণা দিয়ে গতকাল থেকে ফ্লাইট আবার চলার কথা জানিয়েছে লুফথানসা। কিন্তু কী কারণে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে সংস্থা দুটি বিস্তারিত কিছু বলেনি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা নিয়মিতভাবে বিশ্বব্যাপী আমাদের সব বিমানবন্দরগুলোতে আমাদের নিরাপত্তা আয়োজন পর্যালোচনা করে দেখি, আরও মূল্যায়নের জন্য পূর্ব সতর্কতা হিসেবে কায়রোগামী ফ্লাইট সাত দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে।’ ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ আরও জানিয়েছে, নিরাপদ বিবেচিত না হলে তারা কখনোই কোন উড়োজাহাজ পরিচালনা করে না। রয়টার্স জানিয়েছে, কেন ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে এবং এয়ারলাইনটি কী নিরাপত্তা আয়োজন পর্যালোচনা করছে সে বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে চাইলে এক মুখপাত্র জবাব দেন, ‘আমরা কখনোই নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করি না।’ গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ কর্মীরা কায়রো বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষা করে দেখেছে বলে তিনটি মিসরীয় বিমানবন্দর নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে জানালেও তারা বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি।

গত শনিবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের সিদ্ধান্ত সংযুক্ত করে তাদের ভ্রমণ সংক্রান্ত পরামর্শ আপডেট করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ভ্রমণকারীদের এয়ারলাইনটির সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়। শনিবার রাতে মিসরের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, তারা কায়রোর ব্রিটিশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে জেনেছে ফ্লাইট স্থগিত করার সিদ্ধান্তটি ব্রিটিশ পরিবহন বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নেয়নি। মিসরীয় মন্ত্রণালয়টি আরও জানায়, এই সময়ে যাত্রীদের বহন করার জন্য তারা কায়রো থেকে লন্ডনের পথে রোববার থেকে অতিরিক্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করবে। ২০১৫ সালে মিসরের অবকাশযাপন শহর শারম আল শেখ থেকে রওনা হওয়ার পর রাশিয়ার একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বোমা হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছিল। তারপর থেকে মিসরের ওই শহরটি সঙ্গে সব ধরনের বিমান চলাচলের বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার সতর্কতা জারি করলেও কায়রো সঙ্গে বিমান চলাচলের বিষয়ে এ ধরনের কোন সতর্কতা জারি করেনি।