মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী

জন্ম : ২২ জুলাই, ১৯২৬, খালিশপুর, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী

মৃত্যু : ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১

মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী মননশীল প্রবন্ধকার, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গবেষক, শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী। ১৯৪৬ সালে তিনি নন-কলেজিয়েট পরীক্ষার্থী হিসেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় অংশ নেন ও প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। এ সাফল্যের জন্য তাকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ‘সুরেন্দ্রনলিনী স্বর্ণপদক’ প্রদান করে। পরে ১৯৫৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী উপলক্ষে তাকে স্যার আশুতোষ গোল্ড মেডেল দেয়া হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম এক শ’ বছরের ইতিহাসে তার মতো এত বেশি নম্বর পেয়ে কেউ বাংলা (সম্মান)-এ ডিগ্রি অর্জন করেনি।

১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্র-ভবনের বৃত্তি লাভ করে সেখানে ফিরে যান ও ১৯৪৮ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রবীন্দ্রনাথের জীবন ও সাহিত্য নিয়ে গবেষণা করে ‘সাহিত্যভারতী’ উপাধি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ১৯৫৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

তিনি ১৯৫৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৫৭ সালে তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ-এ ভাষাবিজ্ঞান অধ্যয়নের জন্য বৃত্তি লাভ করেন। সেখানে দুই বছর গবেষণা করার পর কথ্য বাংলার শব্দের ছন্দোবিজ্ঞানের ওপর একটি অভিসন্দর্ভ লেখেন।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আল-বদর বাহিনী তাকে তার ছোট ভাই লুতফুল হায়দার চৌধুরীর বাসা থেকে অপহরণ করে। এর পর তার আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয় ঐ দিনই তাকে হত্যা করা হয়।

বাংলা বানান ও লিপি সংস্কার, রবি পরিক্রমা, সাহিত্যের নব রূপায়ণ ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য রচনা।

ইন্টারনেট

সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৯ , ৭ শ্রাবন ১৪২৫, ১৮ জিলকদ ১৪৪০

মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী

জন্ম : ২২ জুলাই, ১৯২৬, খালিশপুর, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী

মৃত্যু : ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১

মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী মননশীল প্রবন্ধকার, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গবেষক, শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী। ১৯৪৬ সালে তিনি নন-কলেজিয়েট পরীক্ষার্থী হিসেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় অংশ নেন ও প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। এ সাফল্যের জন্য তাকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ‘সুরেন্দ্রনলিনী স্বর্ণপদক’ প্রদান করে। পরে ১৯৫৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী উপলক্ষে তাকে স্যার আশুতোষ গোল্ড মেডেল দেয়া হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম এক শ’ বছরের ইতিহাসে তার মতো এত বেশি নম্বর পেয়ে কেউ বাংলা (সম্মান)-এ ডিগ্রি অর্জন করেনি।

১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্র-ভবনের বৃত্তি লাভ করে সেখানে ফিরে যান ও ১৯৪৮ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রবীন্দ্রনাথের জীবন ও সাহিত্য নিয়ে গবেষণা করে ‘সাহিত্যভারতী’ উপাধি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ১৯৫৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

তিনি ১৯৫৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৫৭ সালে তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ-এ ভাষাবিজ্ঞান অধ্যয়নের জন্য বৃত্তি লাভ করেন। সেখানে দুই বছর গবেষণা করার পর কথ্য বাংলার শব্দের ছন্দোবিজ্ঞানের ওপর একটি অভিসন্দর্ভ লেখেন।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আল-বদর বাহিনী তাকে তার ছোট ভাই লুতফুল হায়দার চৌধুরীর বাসা থেকে অপহরণ করে। এর পর তার আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয় ঐ দিনই তাকে হত্যা করা হয়।

বাংলা বানান ও লিপি সংস্কার, রবি পরিক্রমা, সাহিত্যের নব রূপায়ণ ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য রচনা।

ইন্টারনেট