১৭ মার্কিন গুপ্তচর আটকের দাবি ইরানের

সন্দেহভাজন ১৭ মার্কিন গুপ্তচরকে আটক করার দাবি করেছে ইরান। আটককৃতরা মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) হয়ে কাজ করছিলেন বলে জানিয়েছে তেহরান। গত সোমবার ইরানের গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন। এদিকে আটকৃত গোয়েন্দাদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুদন্ড ও ইতোমধ্যেই কার্যকর করা হয়েছে বলে ইরানি গণমাধ্যমের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সিএনএন, রয়টার্স, পার্স টুডে।

এমন এক সময়ে ইরান মার্কিন গুপ্তচরদের গ্রেফতারের এ ঘোষণা দিল যখন তেহরানের সঙ্গে বিদ্যমান উত্তেজনার মধ্যেই সৌদিতে নতুন করে আরও সেনাসদস্য এবং সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যেই এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এদিকে ইরানের গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রণালয় সোমবার জানিয়েছে, তারা সিআইএ’র একটি সক্রিয় চক্রকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। এ চক্রটি সমন্বিতভাবে ইরানে তৎপর ছিল। মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আটককৃত গুপ্তচরদের মধ্যে কয়েকজনকে মৃত্যুদন্ড ও দেয়া হতে পারে। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়ের গুপ্তচরবিরোধী দফতরের পরিচালক। তিনি বলেন, সিআইএ’র হয়ে কাজ করা ১৭ পেশাদার গুপ্তচরকে গত ১৮ জুন আটক করা হয়েছে। এসব গুপ্তচর সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও বেসরকারি সেক্টরে কর্মরত ছিল যাদের সঙ্গে কয়েকটি কেন্দ্রের যোগাযোগ রয়েছে। আটক ১৭ ব্যক্তি আলাদাভাবে কাজ করছিল। তাদের একজনের সঙ্গে অন্যজনের কোন যোগাযোগ নেই। এর মধ্যে কাউকে কাউকে ভিসার ফাঁদে ফেলে সিআইএ গুপ্তচরবৃত্তিতে বাধ্য করেছে। কাউকে কাউকে সরাসরি বলা হয়েছে, মার্কিন ভিসা পেতে হলে গুপ্তচরবৃত্তি করতে হবে। সিআইএ কর্মকর্তারা নিজেদের মার্কিন গোয়েন্দা হিসেবে পরিচয় দিয়ে ব্যক্তিগত মেইল অথবা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বার্তা পাঠিয়ে লোকজনকে গুপ্তচরবৃত্তিতে আহ্বান জানানোর মতো ঘটনাও ঘটেছে। অপরদিকে তেহরানের গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনের বরাতে রয়টার্স জানায়, ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা সিআইএ’র গুপ্তচর চক্র উদ্ঘাটন করে ১৭ সন্দেহভাজনকে আটক করেছে। শনাক্ত করা গুপ্তচররা তাদেও দেশের অর্থনৈতিক, পরমাণু, অবকাঠামোগত, সামরিক ও সাইবার এলাকার মতো স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ বেসরকারি খাতে চাকরি করতো। সেখান থেকে তারা গোপনীয় তথ্য সংগ্রহ করছিল’ বলে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

গত ১৯ জুলাই সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ জানায়, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জোরদারে বাড়তি মার্কিন সামরিক উপস্থিতি নিশ্চিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ সামরিক উপস্থিতির অংশ হিসেবে সৌদির প্রিন্স সুলতান ঘাঁটিতে অত্যাধুনিক মার্কিন প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের কথা শোনা যাচ্ছে। এছাড়া সেখানে এফ-২২ জঙ্গিবিমানের একটি স্কোয়াড্রন পাঠানো হতে পারে। থাকছে বাড়তি মার্কিন সেনা সমাবেশ। এরমধ্যেই সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কথা বলতে বৃহস্পতিবার সৌদিতে আগে থেকেই মোতায়েন থাকা মার্কিন সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল কেনেথ ম্যাককেনজি।

মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০১৯ , ৮ শ্রাবন ১৪২৫, ১৯ জিলকদ ১৪৪০

১৭ মার্কিন গুপ্তচর আটকের দাবি ইরানের

সংবাদ ডেস্ক

সন্দেহভাজন ১৭ মার্কিন গুপ্তচরকে আটক করার দাবি করেছে ইরান। আটককৃতরা মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) হয়ে কাজ করছিলেন বলে জানিয়েছে তেহরান। গত সোমবার ইরানের গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন। এদিকে আটকৃত গোয়েন্দাদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুদন্ড ও ইতোমধ্যেই কার্যকর করা হয়েছে বলে ইরানি গণমাধ্যমের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সিএনএন, রয়টার্স, পার্স টুডে।

এমন এক সময়ে ইরান মার্কিন গুপ্তচরদের গ্রেফতারের এ ঘোষণা দিল যখন তেহরানের সঙ্গে বিদ্যমান উত্তেজনার মধ্যেই সৌদিতে নতুন করে আরও সেনাসদস্য এবং সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যেই এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এদিকে ইরানের গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রণালয় সোমবার জানিয়েছে, তারা সিআইএ’র একটি সক্রিয় চক্রকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। এ চক্রটি সমন্বিতভাবে ইরানে তৎপর ছিল। মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আটককৃত গুপ্তচরদের মধ্যে কয়েকজনকে মৃত্যুদন্ড ও দেয়া হতে পারে। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়ের গুপ্তচরবিরোধী দফতরের পরিচালক। তিনি বলেন, সিআইএ’র হয়ে কাজ করা ১৭ পেশাদার গুপ্তচরকে গত ১৮ জুন আটক করা হয়েছে। এসব গুপ্তচর সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও বেসরকারি সেক্টরে কর্মরত ছিল যাদের সঙ্গে কয়েকটি কেন্দ্রের যোগাযোগ রয়েছে। আটক ১৭ ব্যক্তি আলাদাভাবে কাজ করছিল। তাদের একজনের সঙ্গে অন্যজনের কোন যোগাযোগ নেই। এর মধ্যে কাউকে কাউকে ভিসার ফাঁদে ফেলে সিআইএ গুপ্তচরবৃত্তিতে বাধ্য করেছে। কাউকে কাউকে সরাসরি বলা হয়েছে, মার্কিন ভিসা পেতে হলে গুপ্তচরবৃত্তি করতে হবে। সিআইএ কর্মকর্তারা নিজেদের মার্কিন গোয়েন্দা হিসেবে পরিচয় দিয়ে ব্যক্তিগত মেইল অথবা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বার্তা পাঠিয়ে লোকজনকে গুপ্তচরবৃত্তিতে আহ্বান জানানোর মতো ঘটনাও ঘটেছে। অপরদিকে তেহরানের গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনের বরাতে রয়টার্স জানায়, ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা সিআইএ’র গুপ্তচর চক্র উদ্ঘাটন করে ১৭ সন্দেহভাজনকে আটক করেছে। শনাক্ত করা গুপ্তচররা তাদেও দেশের অর্থনৈতিক, পরমাণু, অবকাঠামোগত, সামরিক ও সাইবার এলাকার মতো স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ বেসরকারি খাতে চাকরি করতো। সেখান থেকে তারা গোপনীয় তথ্য সংগ্রহ করছিল’ বলে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

গত ১৯ জুলাই সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ জানায়, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জোরদারে বাড়তি মার্কিন সামরিক উপস্থিতি নিশ্চিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ সামরিক উপস্থিতির অংশ হিসেবে সৌদির প্রিন্স সুলতান ঘাঁটিতে অত্যাধুনিক মার্কিন প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের কথা শোনা যাচ্ছে। এছাড়া সেখানে এফ-২২ জঙ্গিবিমানের একটি স্কোয়াড্রন পাঠানো হতে পারে। থাকছে বাড়তি মার্কিন সেনা সমাবেশ। এরমধ্যেই সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কথা বলতে বৃহস্পতিবার সৌদিতে আগে থেকেই মোতায়েন থাকা মার্কিন সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল কেনেথ ম্যাককেনজি।