প্রযুক্তিগত ত্রুটি কাটিয়ে ভারতীয় ‘চন্দ্রযান-২’ এবার মহাকাশে পাড়ি জমাল। গতকাল স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪৩ মিনিটে (আন্তর্জাতিক মান সময় ৯টা ১৩ মিনিট) এটি সফলভাবে উৎক্ষেপিত হয়। এক সপ্তাহ আগেই ছাড়ার কথা ছিল এ যানটির। তবে সে সময় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে স্থগিত হয়ে যায় এর উড্ডয়ন।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে গবেষণার জন্য সোমবার পুনরায় উৎক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রযান-২। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) বরাতে এ তথ্য জানা যায়। তিন দশমিক আট টনের ভারি মহাকাশযানটিকে বহন করে কক্ষপথে নিয়ে যেতে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট জিএসএলভি এমকে থ্রি ব্যবহার করার প্রস্তুতি নিয়েছিল। সংস্থাটি আরও বলে, ‘এটি এখন আগের থেকেও বেশি শক্তিশালী।’ বিবিসি।
চন্দ্রযান-২ এর অরবিটার, ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ ও রোভার ‘প্রজ্ঞান’ ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি, এ কারণে এ মহাকাশযাত্রার খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক কম পড়ছে। চাঁদের বুকে পা রাখতে চন্দ্রযান-২ কে ৩ দশমিক ৮৪ লাখ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির বিজ্ঞানীরা। রওনা হওয়ার দেড় মাস পর চাঁদের পিঠে ‘বিক্রম’ এর নামার কথা। এরপর এ ল্যান্ডার থেকে বেরিয়ে আসবে ২৭ কিলোগ্রাম ওজনের ‘প্রজ্ঞান’। ল্যান্ডারটি নেমে আসার সময় অরবিটারটি থেকে চন্দ্রপৃষ্ঠের দূরত্ব থাকবে মাত্র ১০০ কিলোমিটার। চাঁদে অনুসন্ধান চালানোর পর রোভার ‘প্রজ্ঞান’ সেখানেই অকেজো হয়ে পড়বে; তবে তার তথ্য চলে যাবে ভারতের মহাকাশ কেন্দ্রে। অরবিটারটি এরপরও মহাকাশে থাকবে; চাঁদকে প্রদক্ষিণের পাশাপাশি পাঠাবে একের পর এক ছবি। অভিযানটি সফল হলে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তুলনায় ২০ ভাগের এক ভাগ অর্থ বরাদ্দ পাওয়া ইসরোর জন্য এ হবে বিরাট মাইলফলক। এনডিটিভি।
গত ১৫ জুলাই কারিগরি ত্রুটি ধরা পড়ায় উৎক্ষেপণের ৫৬ মিনিট ২৪ সেকেন্ড আগে মিশনটি স্থগিত করা হয়েছিল বলে ভারতের মহাকাশ সংস্থার বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।
স্থানীয় সময় ১৫ জুলাই ভোররাত ২টা ৫১ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ স্টেশন থেকে চন্দ্রযান-২-এর উৎক্ষেপণের কথা ছিল। যাত্রা শুরুর নির্ধারিত সময়ের ২০ ঘণ্টা আগে রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৫১ মিনিট থেকে এ অভিযানের কাউন্টডাউন শুরু হয়েছিল। এ মহাকাশ অভিযান সফল হলে ভারত হবে চন্দ্রজয়ী চতুর্থ দেশ।
মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০১৯ , ৮ শ্রাবন ১৪২৫, ১৯ জিলকদ ১৪৪০
সংবাদ ডেস্ক
প্রযুক্তিগত ত্রুটি কাটিয়ে ভারতীয় ‘চন্দ্রযান-২’ এবার মহাকাশে পাড়ি জমাল। গতকাল স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪৩ মিনিটে (আন্তর্জাতিক মান সময় ৯টা ১৩ মিনিট) এটি সফলভাবে উৎক্ষেপিত হয়। এক সপ্তাহ আগেই ছাড়ার কথা ছিল এ যানটির। তবে সে সময় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে স্থগিত হয়ে যায় এর উড্ডয়ন।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে গবেষণার জন্য সোমবার পুনরায় উৎক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রযান-২। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) বরাতে এ তথ্য জানা যায়। তিন দশমিক আট টনের ভারি মহাকাশযানটিকে বহন করে কক্ষপথে নিয়ে যেতে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট জিএসএলভি এমকে থ্রি ব্যবহার করার প্রস্তুতি নিয়েছিল। সংস্থাটি আরও বলে, ‘এটি এখন আগের থেকেও বেশি শক্তিশালী।’ বিবিসি।
চন্দ্রযান-২ এর অরবিটার, ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ ও রোভার ‘প্রজ্ঞান’ ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি, এ কারণে এ মহাকাশযাত্রার খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক কম পড়ছে। চাঁদের বুকে পা রাখতে চন্দ্রযান-২ কে ৩ দশমিক ৮৪ লাখ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির বিজ্ঞানীরা। রওনা হওয়ার দেড় মাস পর চাঁদের পিঠে ‘বিক্রম’ এর নামার কথা। এরপর এ ল্যান্ডার থেকে বেরিয়ে আসবে ২৭ কিলোগ্রাম ওজনের ‘প্রজ্ঞান’। ল্যান্ডারটি নেমে আসার সময় অরবিটারটি থেকে চন্দ্রপৃষ্ঠের দূরত্ব থাকবে মাত্র ১০০ কিলোমিটার। চাঁদে অনুসন্ধান চালানোর পর রোভার ‘প্রজ্ঞান’ সেখানেই অকেজো হয়ে পড়বে; তবে তার তথ্য চলে যাবে ভারতের মহাকাশ কেন্দ্রে। অরবিটারটি এরপরও মহাকাশে থাকবে; চাঁদকে প্রদক্ষিণের পাশাপাশি পাঠাবে একের পর এক ছবি। অভিযানটি সফল হলে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তুলনায় ২০ ভাগের এক ভাগ অর্থ বরাদ্দ পাওয়া ইসরোর জন্য এ হবে বিরাট মাইলফলক। এনডিটিভি।
গত ১৫ জুলাই কারিগরি ত্রুটি ধরা পড়ায় উৎক্ষেপণের ৫৬ মিনিট ২৪ সেকেন্ড আগে মিশনটি স্থগিত করা হয়েছিল বলে ভারতের মহাকাশ সংস্থার বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।
স্থানীয় সময় ১৫ জুলাই ভোররাত ২টা ৫১ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ স্টেশন থেকে চন্দ্রযান-২-এর উৎক্ষেপণের কথা ছিল। যাত্রা শুরুর নির্ধারিত সময়ের ২০ ঘণ্টা আগে রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৫১ মিনিট থেকে এ অভিযানের কাউন্টডাউন শুরু হয়েছিল। এ মহাকাশ অভিযান সফল হলে ভারত হবে চন্দ্রজয়ী চতুর্থ দেশ।