এফডিসিতে প্রযোজক সমিতির নির্বাচনী আমেজ

২৭ জুলাই চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নির্বাচন। ৭ বছর পর বসতে যাচ্ছে এ নির্বাচনী উৎসব। নির্বাচনের বিস্তারিত লিখেছেন -আশিক বন্ধু

দীর্ঘ ৭ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নির্বাচন। তাই উৎসব ও আনন্দটা দিগুণ। প্রার্থীরা নিয়মিত এফডিসিতে আসছেন, প্রচারণা চালাচ্ছেন। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছেন, প্রতিশ্রুতি শোনাচ্ছেন। সকাল থেকে রাত অবধি প্রযোজক সমিতির অফিসে সিনেমার লোকজনে ভরপুর থাকে। চারিদিকে নির্বাচনী আমেজ। কে হতে পারেন, কারা বিজয়ী হবেন নির্বাচনে এবং কে অতীতে কাজ করেছেন, কাকে এবারও দরকার- এসব কথা আড্ডায় ঘুরেফিরে অনেকের মুখে শোনা যাচ্ছে। এর কারণ সিনেমার অন্যতম বড় সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি। তাই নির্বাচনী উত্তেজনা ও প্রচারণায় এফডিসি এখন রাত-দিন সরগরম। এফডিসিতে এখন প্রায় প্রতিদিনই দেখা মিলছে তারকা প্রযোজক থেকে শুরু করে নতুন প্রজন্মের জনপ্রিয় প্রযোজকদের। প্রযোজকদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা জোগাতে আসছেন নায়ক-নায়িকা এবং পরিচালকরাও। এফডিসি যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে আগের মতো। তবুও সবার কথা একই, সিনেমা হল বাড়াতে হবে, আধুনিকায়ন জরুরি, সিনেমা নির্মাণ বাড়াতে হবে। নির্বাচনে মোট ভোটার হচ্ছেন ১৪০ জন। তার মধ্যে ৪১ জন প্রার্থী, ৯ জন সহযোগী। নির্বাচনে বিজয়ী হবেন ১৯ জন, তার মধ্যে ২ জন সহযোগীসহ ২১ জনের একটি কমিটি গঠিত হবে। প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু বলেন আমরা একতায় থেকে আবার শুরু করতে চাই। কারণ এ জায়গাটা আমাদের কাজের ও উৎসরের আনন্দের। তাই সিনেমাকে পুরনো উদ্যমে ফেরাতে নির্বাচন দরকার ছিল। প্রযোজক সামসুল আলম বলেন, ‘এবার প্রযোজক সমিতি পুরনো জৌলুসে ফিরে যেতে পারে। এখনকার উৎসবমুখরতা এবং সবার অংশগ্রহণে বোঝা যাচ্ছে, প্রযোজকরা নতুন করে সিনেমা নিয়ে ভাবছেন, কাজের জন্য পরিকল্পনা করছেন’। প্রযোজক জাহাঙ্গীর সিকদার বলেন, ‘আমরা চাই ই-টিকেটিং চালু হোক। এখন আধুনিক সময়। দর্শকরা সিনেমা দেখার আগে যেন সহজভাবে ই-টিকেট করে সিনেমাহলে যেতে পারে। আর আমরা প্রযোজকরা অনেক সময় শুটিংয়ে বা টাকা লেনদেনে শিল্পীদের কাছে হয়রানির শিকার হয়। অর্থ লগ্নি করার পরও যে হয়রানিতে পড়ি, তা বন্ধে আইন করা দরকার। অন্যদিকে পরিচালক প্রযোজক শাহ আলম মন্ডল বলেন, ‘আমরা চাই, সবাই একসঙ্গে নতুন করে সিনেমার উন্নয়নে কাজ করে যেতে। সার্বিক সিনেমার বিজয় হোক তা আমরা চাই’। ২০১৯-২০২১ নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম নেয়ার পর থেকে যারা আলোচনায় আছেন তারা হলেন- কামাল মো. কিবরিয়া লিপু, খোরশেদ আলম খসরু, মেহেদী হাসান সিদ্দিকী মনির, শরীফ উদ্দিন খান দিপু, সামসুল আলম, আতিকুর রহমান লিটন, মোজাম্মেল হক খান, হুমায়ুন কবির সুজন, নাদির খান, নাদের চেীধুরী, মোহাম্মদ অলিউল্লাহ, ইস্পাহানী আরিফ জাহান, রশিদুল আমিন হলি, মো. ইকবাল হোসেন জয়, শাহ আলম মন্ডল, ইয়ামিন হক ববি, কামাল হাসান, মোরশেদ খান হিমেল, আরশাদ আদনান, এজে রানা, ড্যানি সিডাক, শরীপ চেীধুরী, মো. রিপন মিয়া, অপূর্ব রায়, মাসুম আজিজ, মো. শহীদুল্লাহ শাহীদ, কাজী মো. ইসলাম মিয়া, আশফাক আলম। ২৭ জুলাই নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে এবারের প্রযোজক সমিতির নির্বাচনে কারা জয়লাভ করছেন।

বুধবার, ২৪ জুলাই ২০১৯ , ৯ শ্রাবন ১৪২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪০

এফডিসিতে প্রযোজক সমিতির নির্বাচনী আমেজ

image

২৭ জুলাই চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নির্বাচন। ৭ বছর পর বসতে যাচ্ছে এ নির্বাচনী উৎসব। নির্বাচনের বিস্তারিত লিখেছেন -আশিক বন্ধু

দীর্ঘ ৭ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নির্বাচন। তাই উৎসব ও আনন্দটা দিগুণ। প্রার্থীরা নিয়মিত এফডিসিতে আসছেন, প্রচারণা চালাচ্ছেন। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছেন, প্রতিশ্রুতি শোনাচ্ছেন। সকাল থেকে রাত অবধি প্রযোজক সমিতির অফিসে সিনেমার লোকজনে ভরপুর থাকে। চারিদিকে নির্বাচনী আমেজ। কে হতে পারেন, কারা বিজয়ী হবেন নির্বাচনে এবং কে অতীতে কাজ করেছেন, কাকে এবারও দরকার- এসব কথা আড্ডায় ঘুরেফিরে অনেকের মুখে শোনা যাচ্ছে। এর কারণ সিনেমার অন্যতম বড় সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি। তাই নির্বাচনী উত্তেজনা ও প্রচারণায় এফডিসি এখন রাত-দিন সরগরম। এফডিসিতে এখন প্রায় প্রতিদিনই দেখা মিলছে তারকা প্রযোজক থেকে শুরু করে নতুন প্রজন্মের জনপ্রিয় প্রযোজকদের। প্রযোজকদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা জোগাতে আসছেন নায়ক-নায়িকা এবং পরিচালকরাও। এফডিসি যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে আগের মতো। তবুও সবার কথা একই, সিনেমা হল বাড়াতে হবে, আধুনিকায়ন জরুরি, সিনেমা নির্মাণ বাড়াতে হবে। নির্বাচনে মোট ভোটার হচ্ছেন ১৪০ জন। তার মধ্যে ৪১ জন প্রার্থী, ৯ জন সহযোগী। নির্বাচনে বিজয়ী হবেন ১৯ জন, তার মধ্যে ২ জন সহযোগীসহ ২১ জনের একটি কমিটি গঠিত হবে। প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু বলেন আমরা একতায় থেকে আবার শুরু করতে চাই। কারণ এ জায়গাটা আমাদের কাজের ও উৎসরের আনন্দের। তাই সিনেমাকে পুরনো উদ্যমে ফেরাতে নির্বাচন দরকার ছিল। প্রযোজক সামসুল আলম বলেন, ‘এবার প্রযোজক সমিতি পুরনো জৌলুসে ফিরে যেতে পারে। এখনকার উৎসবমুখরতা এবং সবার অংশগ্রহণে বোঝা যাচ্ছে, প্রযোজকরা নতুন করে সিনেমা নিয়ে ভাবছেন, কাজের জন্য পরিকল্পনা করছেন’। প্রযোজক জাহাঙ্গীর সিকদার বলেন, ‘আমরা চাই ই-টিকেটিং চালু হোক। এখন আধুনিক সময়। দর্শকরা সিনেমা দেখার আগে যেন সহজভাবে ই-টিকেট করে সিনেমাহলে যেতে পারে। আর আমরা প্রযোজকরা অনেক সময় শুটিংয়ে বা টাকা লেনদেনে শিল্পীদের কাছে হয়রানির শিকার হয়। অর্থ লগ্নি করার পরও যে হয়রানিতে পড়ি, তা বন্ধে আইন করা দরকার। অন্যদিকে পরিচালক প্রযোজক শাহ আলম মন্ডল বলেন, ‘আমরা চাই, সবাই একসঙ্গে নতুন করে সিনেমার উন্নয়নে কাজ করে যেতে। সার্বিক সিনেমার বিজয় হোক তা আমরা চাই’। ২০১৯-২০২১ নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম নেয়ার পর থেকে যারা আলোচনায় আছেন তারা হলেন- কামাল মো. কিবরিয়া লিপু, খোরশেদ আলম খসরু, মেহেদী হাসান সিদ্দিকী মনির, শরীফ উদ্দিন খান দিপু, সামসুল আলম, আতিকুর রহমান লিটন, মোজাম্মেল হক খান, হুমায়ুন কবির সুজন, নাদির খান, নাদের চেীধুরী, মোহাম্মদ অলিউল্লাহ, ইস্পাহানী আরিফ জাহান, রশিদুল আমিন হলি, মো. ইকবাল হোসেন জয়, শাহ আলম মন্ডল, ইয়ামিন হক ববি, কামাল হাসান, মোরশেদ খান হিমেল, আরশাদ আদনান, এজে রানা, ড্যানি সিডাক, শরীপ চেীধুরী, মো. রিপন মিয়া, অপূর্ব রায়, মাসুম আজিজ, মো. শহীদুল্লাহ শাহীদ, কাজী মো. ইসলাম মিয়া, আশফাক আলম। ২৭ জুলাই নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে এবারের প্রযোজক সমিতির নির্বাচনে কারা জয়লাভ করছেন।