ছেলেধরা সন্দেহে প্রতিবন্ধীদের হত্যা করা হচ্ছে

আট জেলায় ১৫ জন এর শিকার

ছেলেধরা সন্দেহে ২০ ও ২১ জুলাই দেশের ৮টি জেলায় ১৫ প্রতিবন্ধীকে বর্বরোচিতভাবে মারা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রতিবন্ধী নাগরিক ঐক্য। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে সংগঠনের পক্ষ থেকে এই তথ্য দেয়া হয়। এ সময় গণপিটুনিতে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও প্রতিবন্ধীদের নিরাপত্তায় বিশেষ আইন প্রণয়নের দাবি জানানো হয়। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ১০০ প্রতিবন্ধী ওই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জাতীয় তৃণমূল প্রতিবন্ধী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হালিম হাসান, ওমেন উইথ ডিজঅ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশনের সভানেত্রী শিরিন আক্তার, সিডের সেলফ অ্যাডভোকেট সানজিদ ও জালাল, অ্যাকসেস ফাউন্ডেশনের লিটন বাড়ৈ, শারীরিক প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংঘের সভাপতি বশির আল হোসাইন ও সম্পাদক আবদুল জলিল মন্ডল, আলোর প্রদীপ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি লিয়াকত আলী, প্রতিবন্ধী নারীদের জাতীয় পরিষদের নজরুল ইসলাম, শাপলা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল শেখ, অগ্রপথিক প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সভানেত্রী শ্যামলী রাণী দাস, প্রতিবন্ধী নাগরিক ঐক্যের প্রতিনিধি ডা. এইচএম নূরনবী জান্নাত রুবেল ও জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ লিগ্যালএইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) গবেষক এমএ মোহিত খান হীরক, ডেফোডিল বিশ্বদ্যিালয় প্রতিনিধি ও ডিজঅ্যাবিলিটি ইনক্লুসিভ জাস্টিস অ্যান্ড লিগ্যালএইডের (ডিজলা) সদস্য রাকিব সিদ্দিকী, দৈনিক সংবাদের জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক নাসরিন শওকত। মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করতে মানববন্ধনে আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী, এনজিও প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিরা সমবেত হন।

বক্তারা বলেন, ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, সুনামগঞ্জ, মাদারীপুর, বগুড়া, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, পাবনা, নাটোর ও নেত্রকোনাÑ এই ৮ জেলায় ২০ ও ২১ জুলাই ১৫ জন প্রতিবন্ধীকে বর্বরোচিতভাবে প্রহার করে গুরুতর যখম করা হয়। তাদের মধ্যে ২ জন নিহত হন। হতাহত প্রতিবন্ধীর মধ্যে ৮ পুরুষ ও ৭ নারী রয়েছেন। এই ১৫ জনের ১৪ জনই মানসিক অসুস্থতাজনিত প্রতিবন্ধী ও ১ জন বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী। শুধু নিজেদের প্রতিবন্ধিতার কারণে জানতে পারেননি কেন তারা প্রহৃত হলেন কিংবা নিজের আত্মরক্ষাতেও কিছু বলতে পারেননি নিজ নিজ প্রতিবন্ধিতার কারণে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে যারা হতাহত হয়েছেন, তাদের শতকরা ৬০ ভাগেরও বেশি হলেন মানসিক এবং বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী। গণপিটুনির এই মহাদুর্যোগে প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও প্রতিবন্ধীরা হতাহত হচ্ছেন।

গত জুনে কিশোরগঞ্জে চোর সন্দেহে মানসিক প্রতিবন্ধী এক যুবককে হাত-পা বেঁধে শত শত মানুষের সামনে বর্বর নির্যাতন চালিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। বছরজুড়েই গোটা দেশে এ অত্যাচার ও নির্যাতন চালানো হচ্ছে। কিন্তু আমরা প্রতিবন্ধীরা সুসংগঠিত নই। তাই বিষয়টি প্রকাশ হয় না। আমরা বিষয়টি কর্তৃপক্ষের সামনে যথাযথভাবে তুলে ধরতে পারছি না। মোট জনসংখ্যার ১৬ শতাংশ প্রতিবন্ধী হলেও সুযোগ-সুবিধা লাভের ক্ষেত্রে আমরা দশমিক ১ শতাংশও পাই না। কিন্তু গত কয়েকদিনের গণপিটুনির নামে হতাহত জনসংখ্যার ৬০ শতাংশেরও অধিক ভিকটিম হলাম আমরাই। আমাদের নিরাপত্তার অবস্থা অত্যন্ত করুণ। আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই বলে অত্যাচারটা বেশি হয় বলে আমরা মনে করি।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা এমনিতেই সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় অনেকটা গৃহবন্দী অবস্থায় জীবনযাপন করেন। এ কারণে তারা শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে অনেক পিছিয়ে রয়েছেন। এর মধ্যে যদি সহিংসতার শিকার হওয়ার আতঙ্ক বিরাজ করে, তাহলে তারা মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত ও মর্যাদা হারিয়ে অসম্মানজনকভাবে সমাজের বোঝায় পরিণত হবেন। এ কারণে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী উদ্বিগ্নবোধ করছেন।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা এক ধরনের সুপ্ততাপে সিদ্ধ হচ্ছেন। আগুনে দগ্ধ হলে অন্যরা দেখে সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারেন। তারা সুপ্ততাপে সিদ্ধ হচ্ছেন বলে তাদের দুরবস্থা দৃশ্যমান না। এই নীরব সহিংসতাকে জাতির সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে এবং নীতিনির্ধারকদের কাছে প্রতিবন্ধীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় আইন প্রণয়নের দাবি এবং প্রচলিত আইনের বাস্তবায়নের দাবি জানাতেই ওই মানববন্ধন পালিত হয়।

প্রতিবন্ধী নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম সিদ্দিকী মানববন্ধনে সবার পক্ষ থেকে সরকারের কাছে ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। দাবিগুলো হলো গণপিটুনিতে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান। আহত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চমানের সুচিকিৎসা প্রদান ও তাদের প্রত্যেককে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে; বর্বোরচিত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুয়ায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ ও দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান। প্রয়োজনে বিশেষ সেল গঠন করে গণপিটুনির মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করতে হবে; যেহেতু প্রতিবন্ধীরা সহজেই আক্রমণের শিকার হয়ে থাকেন, সেহেতু তাদের সুরক্ষার জন্য নির্যাতনবিরোধী কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে। আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের, বিশেষ করে মানসিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীদের অবাধ ও স্বাধীন চলাচলের অধিকার রক্ষায় আইন প্রণয়নসহ সচেতনতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে; প্রতিবন্ধীর অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩-এর তফসিলে উল্লিখিত কার্যাদি দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে সব প্রতিবন্ধীর মর্যাদার সঙ্গে নিরাপদে বাঁচার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

বুধবার, ২৪ জুলাই ২০১৯ , ৯ শ্রাবন ১৪২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪০

ছেলেধরা সন্দেহে প্রতিবন্ধীদের হত্যা করা হচ্ছে

আট জেলায় ১৫ জন এর শিকার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

প্রতিবন্ধীদের ওপর নির্যাতন, গণপিটুনি, হত্যার বিচার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবন্ধী নাগরিক ঐক্য মানববন্ধন করে -সংবাদ

ছেলেধরা সন্দেহে ২০ ও ২১ জুলাই দেশের ৮টি জেলায় ১৫ প্রতিবন্ধীকে বর্বরোচিতভাবে মারা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রতিবন্ধী নাগরিক ঐক্য। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে সংগঠনের পক্ষ থেকে এই তথ্য দেয়া হয়। এ সময় গণপিটুনিতে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও প্রতিবন্ধীদের নিরাপত্তায় বিশেষ আইন প্রণয়নের দাবি জানানো হয়। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ১০০ প্রতিবন্ধী ওই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জাতীয় তৃণমূল প্রতিবন্ধী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হালিম হাসান, ওমেন উইথ ডিজঅ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশনের সভানেত্রী শিরিন আক্তার, সিডের সেলফ অ্যাডভোকেট সানজিদ ও জালাল, অ্যাকসেস ফাউন্ডেশনের লিটন বাড়ৈ, শারীরিক প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংঘের সভাপতি বশির আল হোসাইন ও সম্পাদক আবদুল জলিল মন্ডল, আলোর প্রদীপ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি লিয়াকত আলী, প্রতিবন্ধী নারীদের জাতীয় পরিষদের নজরুল ইসলাম, শাপলা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল শেখ, অগ্রপথিক প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সভানেত্রী শ্যামলী রাণী দাস, প্রতিবন্ধী নাগরিক ঐক্যের প্রতিনিধি ডা. এইচএম নূরনবী জান্নাত রুবেল ও জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ লিগ্যালএইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) গবেষক এমএ মোহিত খান হীরক, ডেফোডিল বিশ্বদ্যিালয় প্রতিনিধি ও ডিজঅ্যাবিলিটি ইনক্লুসিভ জাস্টিস অ্যান্ড লিগ্যালএইডের (ডিজলা) সদস্য রাকিব সিদ্দিকী, দৈনিক সংবাদের জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক নাসরিন শওকত। মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করতে মানববন্ধনে আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী, এনজিও প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিরা সমবেত হন।

বক্তারা বলেন, ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, সুনামগঞ্জ, মাদারীপুর, বগুড়া, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, পাবনা, নাটোর ও নেত্রকোনাÑ এই ৮ জেলায় ২০ ও ২১ জুলাই ১৫ জন প্রতিবন্ধীকে বর্বরোচিতভাবে প্রহার করে গুরুতর যখম করা হয়। তাদের মধ্যে ২ জন নিহত হন। হতাহত প্রতিবন্ধীর মধ্যে ৮ পুরুষ ও ৭ নারী রয়েছেন। এই ১৫ জনের ১৪ জনই মানসিক অসুস্থতাজনিত প্রতিবন্ধী ও ১ জন বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী। শুধু নিজেদের প্রতিবন্ধিতার কারণে জানতে পারেননি কেন তারা প্রহৃত হলেন কিংবা নিজের আত্মরক্ষাতেও কিছু বলতে পারেননি নিজ নিজ প্রতিবন্ধিতার কারণে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে যারা হতাহত হয়েছেন, তাদের শতকরা ৬০ ভাগেরও বেশি হলেন মানসিক এবং বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী। গণপিটুনির এই মহাদুর্যোগে প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও প্রতিবন্ধীরা হতাহত হচ্ছেন।

গত জুনে কিশোরগঞ্জে চোর সন্দেহে মানসিক প্রতিবন্ধী এক যুবককে হাত-পা বেঁধে শত শত মানুষের সামনে বর্বর নির্যাতন চালিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। বছরজুড়েই গোটা দেশে এ অত্যাচার ও নির্যাতন চালানো হচ্ছে। কিন্তু আমরা প্রতিবন্ধীরা সুসংগঠিত নই। তাই বিষয়টি প্রকাশ হয় না। আমরা বিষয়টি কর্তৃপক্ষের সামনে যথাযথভাবে তুলে ধরতে পারছি না। মোট জনসংখ্যার ১৬ শতাংশ প্রতিবন্ধী হলেও সুযোগ-সুবিধা লাভের ক্ষেত্রে আমরা দশমিক ১ শতাংশও পাই না। কিন্তু গত কয়েকদিনের গণপিটুনির নামে হতাহত জনসংখ্যার ৬০ শতাংশেরও অধিক ভিকটিম হলাম আমরাই। আমাদের নিরাপত্তার অবস্থা অত্যন্ত করুণ। আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই বলে অত্যাচারটা বেশি হয় বলে আমরা মনে করি।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা এমনিতেই সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় অনেকটা গৃহবন্দী অবস্থায় জীবনযাপন করেন। এ কারণে তারা শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে অনেক পিছিয়ে রয়েছেন। এর মধ্যে যদি সহিংসতার শিকার হওয়ার আতঙ্ক বিরাজ করে, তাহলে তারা মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত ও মর্যাদা হারিয়ে অসম্মানজনকভাবে সমাজের বোঝায় পরিণত হবেন। এ কারণে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী উদ্বিগ্নবোধ করছেন।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা এক ধরনের সুপ্ততাপে সিদ্ধ হচ্ছেন। আগুনে দগ্ধ হলে অন্যরা দেখে সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারেন। তারা সুপ্ততাপে সিদ্ধ হচ্ছেন বলে তাদের দুরবস্থা দৃশ্যমান না। এই নীরব সহিংসতাকে জাতির সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে এবং নীতিনির্ধারকদের কাছে প্রতিবন্ধীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় আইন প্রণয়নের দাবি এবং প্রচলিত আইনের বাস্তবায়নের দাবি জানাতেই ওই মানববন্ধন পালিত হয়।

প্রতিবন্ধী নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম সিদ্দিকী মানববন্ধনে সবার পক্ষ থেকে সরকারের কাছে ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। দাবিগুলো হলো গণপিটুনিতে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান। আহত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চমানের সুচিকিৎসা প্রদান ও তাদের প্রত্যেককে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে; বর্বোরচিত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুয়ায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ ও দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান। প্রয়োজনে বিশেষ সেল গঠন করে গণপিটুনির মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করতে হবে; যেহেতু প্রতিবন্ধীরা সহজেই আক্রমণের শিকার হয়ে থাকেন, সেহেতু তাদের সুরক্ষার জন্য নির্যাতনবিরোধী কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে। আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের, বিশেষ করে মানসিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীদের অবাধ ও স্বাধীন চলাচলের অধিকার রক্ষায় আইন প্রণয়নসহ সচেতনতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে; প্রতিবন্ধীর অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩-এর তফসিলে উল্লিখিত কার্যাদি দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে সব প্রতিবন্ধীর মর্যাদার সঙ্গে নিরাপদে বাঁচার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।