২৯ জুলাই থেকে রেলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ২৯ জুলাই থেকে শুরু হবে রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। তা চলবে আগামী ২ আগস্ট পর্যন্ত। এছাড়া ঈদ-পরবর্তী ফিরতি টিকিট বিক্রি ৫ আগস্ট শুরু হয়ে চলবে ৯ আগস্ট পর্যন্ত। এ সময় ১৪ থেকে ১৮ আগস্টের টিকিট দেয়া হবে। ৭ আগস্ট থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর অফডে থাকবে না। ২৯ জুলাই ৭ আগস্টের, ৩০ জুলাই ৮ আগস্টের, ৩১ জুলাই ৯ আগস্টের, ১ আগাস্ট ১০ আগস্টের ও ২ আগস্ট ১১ আগস্টের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে এই অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। রোজার ঈদের মতো এবারও কমলাপুরসহ রাজধানীর ৫টি স্থান থেকে এই অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম। গতকাল রেল ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান তিনি। এ সময় রেল সচিব মোফাজ্জেল হোসেন, মহাপরিচালক শামসুজ্জামান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়াজাহানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

রেলমন্ত্রী বলেন, ঈদুল আজহার সম্ভাব্য দিন ১২ আগস্ট ধরে টিকিট বিক্রির দিন ঠিক করা হয়েছে। ২৯ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত ঈদের টিকিট পাওয়া যাবে। অনলাইনে টিকিট না পেলে কেউ কাউন্টারে গিয়ে যাতে কাটতে পারেন, এ জন্য তিন ঘণ্টা আগে অনলাইনে বিক্রি শুরু হবে। কাউন্টারে টিকিট বিক্রি চলবে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। অনলাইনে বিক্রি শুরু হবে সকাল ৬টা থেকে। ঈদের ১০ দিন আগে থেকে অগ্রিম টিকিট ঢাকার ৫টি স্টেশন থেকে বিভিন্ন রুটভিত্তিক বিক্রি করা হবে। এগুলো হচ্ছে কমলাপুর স্টেশন থেকে সব পশ্চিমাঞ্চলগামী ট্রেন ভায়া যমুনা সেতুর যাত্রীদের জন্য, বিমানবন্দর স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেন, তেজগাঁও স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ ও জামালপুরগামী সব আন্তঃনগর ট্রেন, বনানী স্টেশন থেকে নেত্রকোনাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেন, ফুলবাড়িয়া (পুরনো রেলভবন) থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দেয়া হবে। ৫টি স্টেশন কাউন্টার থেকে শিডিউল ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা ২৬ হাজার ৫০০। এর অর্ধেক কাউন্টার ও অর্ধেক অনলাইনে বিক্রি করা হবে। স্পেশাল ট্রেনের কোন টিকিট মোবাইল অ্যাপে পাওয়া যাবে না। শুধু স্টেশন কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হবে।

রেলমন্ত্রী বলেন, ঈদ উপলক্ষে ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। তা হলো দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল (১ জোড়া) ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা, চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (২ জোড়া) চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম, সান্তাহার ঈদ স্পেশাল ঢাকা-সান্তাহার-ঢাকা, লালমনি ঈদ স্পেশাল লালমনিরহাট-ঢাকা-লালমনিরহাট, মৈত্রীর রেক দিয়ে খুলনা ঈদ স্পেশাল খুলনা-ঢাকা-খুলনা, শোলাকিয়া স্পেশাল-১ ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার, শোলাকিয়া স্পেশাল-২ ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ।

নুরুল ইসলাম বলেন, সব সময় একটি অভিযোগ আসে, ভিআইপিদের (গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) যে ট্রিটমেন্ট রেলে করা হয়, এতে সাধারণ যাত্রীরা টিকিট পান না। ভিআইপি বলতে আমরা গতবার ব্যাখ্যা দিয়েছিলাম। ভিআইপি বলতে মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ও সরকারের সচিব পর্যায়ে যারা আছেনÑ তাদের বুঝিয়ে থাকি। তারা (ভিআইপি) যদি কেবল নিজেরা ফ্যামিলি নিয়ে যাত্রা করেন, তা হলেই তাদের টিকিট দেব। এছাড়া তাদের সুপারিশ গ্রহণ করব না।

বুধবার, ২৪ জুলাই ২০১৯ , ৯ শ্রাবন ১৪২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪০

২৯ জুলাই থেকে রেলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ২৯ জুলাই থেকে শুরু হবে রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। তা চলবে আগামী ২ আগস্ট পর্যন্ত। এছাড়া ঈদ-পরবর্তী ফিরতি টিকিট বিক্রি ৫ আগস্ট শুরু হয়ে চলবে ৯ আগস্ট পর্যন্ত। এ সময় ১৪ থেকে ১৮ আগস্টের টিকিট দেয়া হবে। ৭ আগস্ট থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর অফডে থাকবে না। ২৯ জুলাই ৭ আগস্টের, ৩০ জুলাই ৮ আগস্টের, ৩১ জুলাই ৯ আগস্টের, ১ আগাস্ট ১০ আগস্টের ও ২ আগস্ট ১১ আগস্টের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে এই অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। রোজার ঈদের মতো এবারও কমলাপুরসহ রাজধানীর ৫টি স্থান থেকে এই অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম। গতকাল রেল ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান তিনি। এ সময় রেল সচিব মোফাজ্জেল হোসেন, মহাপরিচালক শামসুজ্জামান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়াজাহানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

রেলমন্ত্রী বলেন, ঈদুল আজহার সম্ভাব্য দিন ১২ আগস্ট ধরে টিকিট বিক্রির দিন ঠিক করা হয়েছে। ২৯ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত ঈদের টিকিট পাওয়া যাবে। অনলাইনে টিকিট না পেলে কেউ কাউন্টারে গিয়ে যাতে কাটতে পারেন, এ জন্য তিন ঘণ্টা আগে অনলাইনে বিক্রি শুরু হবে। কাউন্টারে টিকিট বিক্রি চলবে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। অনলাইনে বিক্রি শুরু হবে সকাল ৬টা থেকে। ঈদের ১০ দিন আগে থেকে অগ্রিম টিকিট ঢাকার ৫টি স্টেশন থেকে বিভিন্ন রুটভিত্তিক বিক্রি করা হবে। এগুলো হচ্ছে কমলাপুর স্টেশন থেকে সব পশ্চিমাঞ্চলগামী ট্রেন ভায়া যমুনা সেতুর যাত্রীদের জন্য, বিমানবন্দর স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেন, তেজগাঁও স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ ও জামালপুরগামী সব আন্তঃনগর ট্রেন, বনানী স্টেশন থেকে নেত্রকোনাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেন, ফুলবাড়িয়া (পুরনো রেলভবন) থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দেয়া হবে। ৫টি স্টেশন কাউন্টার থেকে শিডিউল ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা ২৬ হাজার ৫০০। এর অর্ধেক কাউন্টার ও অর্ধেক অনলাইনে বিক্রি করা হবে। স্পেশাল ট্রেনের কোন টিকিট মোবাইল অ্যাপে পাওয়া যাবে না। শুধু স্টেশন কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হবে।

রেলমন্ত্রী বলেন, ঈদ উপলক্ষে ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। তা হলো দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল (১ জোড়া) ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা, চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (২ জোড়া) চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম, সান্তাহার ঈদ স্পেশাল ঢাকা-সান্তাহার-ঢাকা, লালমনি ঈদ স্পেশাল লালমনিরহাট-ঢাকা-লালমনিরহাট, মৈত্রীর রেক দিয়ে খুলনা ঈদ স্পেশাল খুলনা-ঢাকা-খুলনা, শোলাকিয়া স্পেশাল-১ ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার, শোলাকিয়া স্পেশাল-২ ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ।

নুরুল ইসলাম বলেন, সব সময় একটি অভিযোগ আসে, ভিআইপিদের (গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) যে ট্রিটমেন্ট রেলে করা হয়, এতে সাধারণ যাত্রীরা টিকিট পান না। ভিআইপি বলতে আমরা গতবার ব্যাখ্যা দিয়েছিলাম। ভিআইপি বলতে মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ও সরকারের সচিব পর্যায়ে যারা আছেনÑ তাদের বুঝিয়ে থাকি। তারা (ভিআইপি) যদি কেবল নিজেরা ফ্যামিলি নিয়ে যাত্রা করেন, তা হলেই তাদের টিকিট দেব। এছাড়া তাদের সুপারিশ গ্রহণ করব না।