ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত আরও ৪৭৩ জন

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আরও ৪৭৩ জন আক্রান্ত হয়ে শিশু হাসপাতালসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এভাবে প্রতিদিন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা লাগামহীনভাবে বাড়ছে। অন্যদিকে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরের কীটতত্ত্ব¡ বিশেষজ্ঞরা গতকাল রাজধানীর পুরানা পল্টনে অনুসন্ধান জরিপ চালিয়ে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক অ্যাডিস মশার লার্ভা উদ্ঘাটন করেছেন। তারা মশার লার্ভা সংগ্রহ করেছেন। আর ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাইডলাইন জানিয়ে দিয়েছেন।

কীটতত্ত্ব¡ বিশেষজ্ঞরা জানান, এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ বাড়ে। এ সময় অধিক সতর্ক থাকতে হবে। ডেঙ্গুজ্বরের বাহক অ্যাডিস মশা পরিষ্কার পানিতে বংশবিস্তার করে। অ্যাডিস মশা সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায়। মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য লম্বা পোশাক পরার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। আর দিনে ঘুমানোর ক্ষেত্রেও মশারি ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এরপরও তীব্র জ্বর, মাথা ব্যথা, মাংশপেশিতে ব্যথা, শরীরে লালচে দানা ইত্যাদি ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ হলেও সম্প্রতি এর ব্যতিক্রম পাওয়া যাচ্ছে। জ্বর হলে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকার কথা বলা হয়েছে। রোগীকে বেশি বেশি তরল খাবার খেতে হবে। এছাড়াও জ্বর হলে নিকটস্থ হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ডেঙ্গুজ্বরের পরীক্ষা করার জন্য বলা হয়েছে। জ্বর ভালো হওয়ার পরও ডেঙ্গুজনিত মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই সতর্ক থাকা ও হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার কথা বলা হয়েছে।

মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে ডেঙ্গু ফিভারে ৪৭১, ডেঙ্গু ডেমোরোজিকে ১ জন ও ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়েছেন ১ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৯৯, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৫২, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ১৬, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৪৩, হলিফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ৬০, বারডেম হাসপাতালে ১৫, পুলিশ হাসপাতালে ১৩, মুগদা মেডিকেল ও কলেজ হাসপাতালে ৩৬, পিলখানায় বিজিবি হাসপাতালে ৫, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১, বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে ১২৯ জন রয়েছেন। রাজধানীতে ৪৬৯ জন, ঢাকার বাইরে ২ ও খুলনায় ২ জনসহ গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭৩ জন।

গত জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত মোট ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৭৬৬ জন। সরকারি হিসাবে মৃত্যু ৫ জন। বর্তমানে হাসপাতালগুলোয় ভর্তি আছেন ১ হাজার ৮২৩ জন। ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৫ হাজার ৯৩৮ জনকে। বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই: বিএসএমএমইউয়ের ভিসি

গতকাল দুপুর ২টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সি-ব্লকের পরিচালকের (হাসপাতাল) কনফারেন্স রুমে ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেছেন, ডেঙ্গুজ্বরের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকরা প্রস্তুত রয়েছেন। যদিও ডেঙ্গুজ্বরের কারণে কয়েকটি মৃত্যুর খবর শোনা যাচ্ছে, তবুও অন্যান্য রোগ বা সমস্যা না থাকলে শুধু ডেঙ্গুর কারণে রোগীর মারা যাওয়ার কথা নয়। বর্তমানে জ্বর নিয়ে কোন রোগী চিকিৎসকের কাছে এলে ডেঙ্গু ধরে নিয়ে নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা আগেভাগেই করতে হবে। এরপর চিকিৎসক রোগীকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করবেন। সঠিক সময়ে ডেঙ্গু শনাক্ত হলে এবং রোগীকে অযাচিত ও অযৌক্তিক ওষুধ প্রদান না করলে এবং বিশ্রাম ও প্রয়োজনীয় তরল খাবার, খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ খাবার তথা ফলের রস, লবণ, আইভি ফ্লুয়িড ইত্যাদি সেবন করতে দিলে সাধারণভাবেই সুস্থ হয়ে যাবেন। কোন রোগীর ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার হচ্ছে পরীক্ষার মাধ্যমে আলামত বা লক্ষণ পাওয়া গেলে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা প্রদান করতে হবে। এটা করা হলে শুধু ডেঙ্গুর কারণে রোগীর মৃত্যুর কারণ নেই।

ডা. শহীদুল্লাহ বলেন, মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংসের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশার প্রজনন ক্ষেত্রগুলো ধ্বংস করা জরুরি। ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএসএমএমইউয়ে চলতি মৌসুমে ৪৬ রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। বর্তমানে ১৩ জন আছেন। অন্যরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ডেঙ্গুর কারণে কোন রোগী বিএসএমএমইউয়ে মারা যাননি। বর্তমানে প্রতিদিন কয়েক রোগী বিএসএমএমইউয়ের বহির্বিভাগে সেবা নিচ্ছেন। তিনি জানান, প্রয়োজন হলে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ক্যাবিন ব্লকের নিচতলায় আলাদা ডেঙ্গু কর্নার চালু করা হবে। ডেঙ্গুজ্বরের চিকিৎসায় চিকিৎসকদের আরও সতর্কতা ও সচেতন হওয়া এবং ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের অযাচিত ওষুধ না দেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

বিএসএমএমইউয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন ও মেডিসন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. জিলন মিয়া সরকার বলেন, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ৯৫ শতাংশ রোগীর ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই। জ্বর থাকলে বুঝতে হবে রোগী ততক্ষণ নিরাপদে আছেন। প্রধান সমস্যা দেখা দেয় জ্বর কমে যাওয়ার পর। তখন রক্তচাপ কমে যাওয়াসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। ওই সময় রোগীর যথাযথ চিকিৎসাসেবা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।

বিএসএমএমইউয়ের পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহাবুবুল হক ডেঙ্গু প্রতিরোধে দিনের বেলা মশারি টানিয়ে ঘুমানো ও মশানিধনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

বুধবার, ২৪ জুলাই ২০১৯ , ৯ শ্রাবন ১৪২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪০

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত আরও ৪৭৩ জন

বাকী বিল্লাহ

image

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মশারির ভেতর ডেঙ্গু রোগীরা -সংবাদ

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আরও ৪৭৩ জন আক্রান্ত হয়ে শিশু হাসপাতালসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এভাবে প্রতিদিন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা লাগামহীনভাবে বাড়ছে। অন্যদিকে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরের কীটতত্ত্ব¡ বিশেষজ্ঞরা গতকাল রাজধানীর পুরানা পল্টনে অনুসন্ধান জরিপ চালিয়ে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক অ্যাডিস মশার লার্ভা উদ্ঘাটন করেছেন। তারা মশার লার্ভা সংগ্রহ করেছেন। আর ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাইডলাইন জানিয়ে দিয়েছেন।

কীটতত্ত্ব¡ বিশেষজ্ঞরা জানান, এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ বাড়ে। এ সময় অধিক সতর্ক থাকতে হবে। ডেঙ্গুজ্বরের বাহক অ্যাডিস মশা পরিষ্কার পানিতে বংশবিস্তার করে। অ্যাডিস মশা সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায়। মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য লম্বা পোশাক পরার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। আর দিনে ঘুমানোর ক্ষেত্রেও মশারি ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এরপরও তীব্র জ্বর, মাথা ব্যথা, মাংশপেশিতে ব্যথা, শরীরে লালচে দানা ইত্যাদি ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ হলেও সম্প্রতি এর ব্যতিক্রম পাওয়া যাচ্ছে। জ্বর হলে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকার কথা বলা হয়েছে। রোগীকে বেশি বেশি তরল খাবার খেতে হবে। এছাড়াও জ্বর হলে নিকটস্থ হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ডেঙ্গুজ্বরের পরীক্ষা করার জন্য বলা হয়েছে। জ্বর ভালো হওয়ার পরও ডেঙ্গুজনিত মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই সতর্ক থাকা ও হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার কথা বলা হয়েছে।

মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে ডেঙ্গু ফিভারে ৪৭১, ডেঙ্গু ডেমোরোজিকে ১ জন ও ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়েছেন ১ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৯৯, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৫২, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ১৬, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৪৩, হলিফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ৬০, বারডেম হাসপাতালে ১৫, পুলিশ হাসপাতালে ১৩, মুগদা মেডিকেল ও কলেজ হাসপাতালে ৩৬, পিলখানায় বিজিবি হাসপাতালে ৫, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১, বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে ১২৯ জন রয়েছেন। রাজধানীতে ৪৬৯ জন, ঢাকার বাইরে ২ ও খুলনায় ২ জনসহ গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭৩ জন।

গত জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত মোট ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৭৬৬ জন। সরকারি হিসাবে মৃত্যু ৫ জন। বর্তমানে হাসপাতালগুলোয় ভর্তি আছেন ১ হাজার ৮২৩ জন। ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৫ হাজার ৯৩৮ জনকে। বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই: বিএসএমএমইউয়ের ভিসি

গতকাল দুপুর ২টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সি-ব্লকের পরিচালকের (হাসপাতাল) কনফারেন্স রুমে ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেছেন, ডেঙ্গুজ্বরের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকরা প্রস্তুত রয়েছেন। যদিও ডেঙ্গুজ্বরের কারণে কয়েকটি মৃত্যুর খবর শোনা যাচ্ছে, তবুও অন্যান্য রোগ বা সমস্যা না থাকলে শুধু ডেঙ্গুর কারণে রোগীর মারা যাওয়ার কথা নয়। বর্তমানে জ্বর নিয়ে কোন রোগী চিকিৎসকের কাছে এলে ডেঙ্গু ধরে নিয়ে নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা আগেভাগেই করতে হবে। এরপর চিকিৎসক রোগীকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করবেন। সঠিক সময়ে ডেঙ্গু শনাক্ত হলে এবং রোগীকে অযাচিত ও অযৌক্তিক ওষুধ প্রদান না করলে এবং বিশ্রাম ও প্রয়োজনীয় তরল খাবার, খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ খাবার তথা ফলের রস, লবণ, আইভি ফ্লুয়িড ইত্যাদি সেবন করতে দিলে সাধারণভাবেই সুস্থ হয়ে যাবেন। কোন রোগীর ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার হচ্ছে পরীক্ষার মাধ্যমে আলামত বা লক্ষণ পাওয়া গেলে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা প্রদান করতে হবে। এটা করা হলে শুধু ডেঙ্গুর কারণে রোগীর মৃত্যুর কারণ নেই।

ডা. শহীদুল্লাহ বলেন, মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংসের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশার প্রজনন ক্ষেত্রগুলো ধ্বংস করা জরুরি। ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএসএমএমইউয়ে চলতি মৌসুমে ৪৬ রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। বর্তমানে ১৩ জন আছেন। অন্যরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ডেঙ্গুর কারণে কোন রোগী বিএসএমএমইউয়ে মারা যাননি। বর্তমানে প্রতিদিন কয়েক রোগী বিএসএমএমইউয়ের বহির্বিভাগে সেবা নিচ্ছেন। তিনি জানান, প্রয়োজন হলে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ক্যাবিন ব্লকের নিচতলায় আলাদা ডেঙ্গু কর্নার চালু করা হবে। ডেঙ্গুজ্বরের চিকিৎসায় চিকিৎসকদের আরও সতর্কতা ও সচেতন হওয়া এবং ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের অযাচিত ওষুধ না দেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

বিএসএমএমইউয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন ও মেডিসন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. জিলন মিয়া সরকার বলেন, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ৯৫ শতাংশ রোগীর ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই। জ্বর থাকলে বুঝতে হবে রোগী ততক্ষণ নিরাপদে আছেন। প্রধান সমস্যা দেখা দেয় জ্বর কমে যাওয়ার পর। তখন রক্তচাপ কমে যাওয়াসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। ওই সময় রোগীর যথাযথ চিকিৎসাসেবা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।

বিএসএমএমইউয়ের পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহাবুবুল হক ডেঙ্গু প্রতিরোধে দিনের বেলা মশারি টানিয়ে ঘুমানো ও মশানিধনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।