অপরাধীদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করব : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ছেলেধরা সন্দেহে গত কয়েকদিনে সারাদেশে ৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, এতে আহত হয়েছেন ১৫ জন। মামলা হয়েছে ৯টি, জিডি (সাধারণ ডায়েরি) হয়েছে ১৫টি। পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সারাদেশে ৮১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা আরও গ্রেফতার করব। তবে আমরা গণগ্রেফতারে বিশ্বাস করি না। আমরা বিশ্বাস করি যিনি অপরাধ করেছেন তাকে শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করব। সে একজন করুক কিংবা ১০ জন করুক কিংবা আরও বেশি মানুষ সম্পৃক্ত থাকুক। পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে ছেলেধরার গুজব ছড়িয়ে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে ছেলেধরার গুজব ছড়িয়ে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। যারাই এই ঘটনা ঘটাচ্ছেন তাদের শাস্তি পেতেই হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব সৃষ্টির মাধ্যমে কতগুলো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটছে। ঘটনাগুলো কারও কাছে কাম্য নয়। সবগুলো নিছক গুজব, এগুলোর কোন ভিত্তি নেই। আমি এর সঙ্গে জানাতে চাচ্ছি, যারা এই ধরনের গণপিটুনিতে অংশ নেন, একজন যদি এই ধরনের হত্যাকান্ড ঘটান কিংবা ১০০ জনে ঘটনা। শাস্তি কিন্তু একই রকম হবে। এই ধরনের হত্যাকান্ড ঘটালে অবশ্যই আমরা আইনের মুখোমুখি করব। আইন অনুযায়ী তাকে শাস্তি পেতেই হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন- অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, একটা কনফিউশন, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্যই এগুলো। একজন সাধারণ মানুষ, যারা শ্রমিক, অশিক্ষিত লোক তারাও বোঝে ব্রিজ তৈরি করতে মানুষের মাথা লাগে না। তাহলে কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটাবে। এগুলোর নিশ্চয়ই কোন উদ্দেশ্য আছে। আমরা সবগুলো দেখছি। এর সঙ্গে (পিটিয়ে মানুষ হত্যা) যদি কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে কিংবা কোন অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে কিংবা কোন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য- যেটার জন্যই করে থাকুক যে ঘটিয়েছে আমরা তাকে ধরছি, তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। যারা ঘটনার সত্যতা বিচার না করে নিজেরা আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন, তাদের কাছে সবিনয় অনুরোধ করব, আপনারা কোনক্রমেই আইন হাতে তুলে নেবেন না। যদি কারও প্রতি কোন সন্দেহ হয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে সোপর্দ করে দিন। কিংবা ৯৯৯ নম্বরে জানান। কিংবা ওই এলাকার সবাইকে জানান। এরই মধ্যে কয়েকজন এই ধরনের দুঃখজনক ঘটনার শিকার হয়েছেন। আমরা বসে নেই, সবগুলো ঘটনাকে সামনে এনে, ভিডিও ফুটেজ দেখে কারা কারা সম্পৃক্ত হয়েছিলেন, এগুলোর আইনানুগ ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। আমি দেশবাসীর প্রতি আবেদন জানাতে চাচ্ছি কেউ যেন এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা তৈরি না করেন, এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত না হন।

বুধবার, ২৪ জুলাই ২০১৯ , ৯ শ্রাবন ১৪২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪০

গণপিটুনিতে হত্যা

অপরাধীদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করব : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ছেলেধরা সন্দেহে গত কয়েকদিনে সারাদেশে ৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, এতে আহত হয়েছেন ১৫ জন। মামলা হয়েছে ৯টি, জিডি (সাধারণ ডায়েরি) হয়েছে ১৫টি। পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সারাদেশে ৮১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা আরও গ্রেফতার করব। তবে আমরা গণগ্রেফতারে বিশ্বাস করি না। আমরা বিশ্বাস করি যিনি অপরাধ করেছেন তাকে শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করব। সে একজন করুক কিংবা ১০ জন করুক কিংবা আরও বেশি মানুষ সম্পৃক্ত থাকুক। পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে ছেলেধরার গুজব ছড়িয়ে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে ছেলেধরার গুজব ছড়িয়ে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। যারাই এই ঘটনা ঘটাচ্ছেন তাদের শাস্তি পেতেই হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব সৃষ্টির মাধ্যমে কতগুলো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটছে। ঘটনাগুলো কারও কাছে কাম্য নয়। সবগুলো নিছক গুজব, এগুলোর কোন ভিত্তি নেই। আমি এর সঙ্গে জানাতে চাচ্ছি, যারা এই ধরনের গণপিটুনিতে অংশ নেন, একজন যদি এই ধরনের হত্যাকান্ড ঘটান কিংবা ১০০ জনে ঘটনা। শাস্তি কিন্তু একই রকম হবে। এই ধরনের হত্যাকান্ড ঘটালে অবশ্যই আমরা আইনের মুখোমুখি করব। আইন অনুযায়ী তাকে শাস্তি পেতেই হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন- অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, একটা কনফিউশন, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্যই এগুলো। একজন সাধারণ মানুষ, যারা শ্রমিক, অশিক্ষিত লোক তারাও বোঝে ব্রিজ তৈরি করতে মানুষের মাথা লাগে না। তাহলে কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটাবে। এগুলোর নিশ্চয়ই কোন উদ্দেশ্য আছে। আমরা সবগুলো দেখছি। এর সঙ্গে (পিটিয়ে মানুষ হত্যা) যদি কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে কিংবা কোন অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে কিংবা কোন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য- যেটার জন্যই করে থাকুক যে ঘটিয়েছে আমরা তাকে ধরছি, তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। যারা ঘটনার সত্যতা বিচার না করে নিজেরা আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন, তাদের কাছে সবিনয় অনুরোধ করব, আপনারা কোনক্রমেই আইন হাতে তুলে নেবেন না। যদি কারও প্রতি কোন সন্দেহ হয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে সোপর্দ করে দিন। কিংবা ৯৯৯ নম্বরে জানান। কিংবা ওই এলাকার সবাইকে জানান। এরই মধ্যে কয়েকজন এই ধরনের দুঃখজনক ঘটনার শিকার হয়েছেন। আমরা বসে নেই, সবগুলো ঘটনাকে সামনে এনে, ভিডিও ফুটেজ দেখে কারা কারা সম্পৃক্ত হয়েছিলেন, এগুলোর আইনানুগ ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। আমি দেশবাসীর প্রতি আবেদন জানাতে চাচ্ছি কেউ যেন এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা তৈরি না করেন, এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত না হন।