সাঈদীসহ ১০৪ আসামির বিচার শুরু

দীর্ঘ সাত বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন হত্যাকা-ে জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ১০৪ আসামির বিচার শুরু হয়েছে। গতকাল রাজশাহীর অতিরিক্ত মহানগর ও দায়রা জজ আদালতে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক এনায়েত কবির সরকার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের নির্দেশ জারি করেন। সাঈদীকে আদালতে আনার আগেই আদালত প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আদালত চত্বরের কয়েকটি স্থানে তল্লাশি চালায় পুলিশ ও ডিবি পুলিশ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শিরাজী শওকত সালেহীন এলেন বলেন, ফারুক হত্যা মামলায় ১১০ জনের মধ্যে ৬ জন মারা গেছেন। আদালতে ৬০ জন উপস্থিত ছিলেন। ১০৪ জনের নামে অভিযোগ গঠন করা হলো। মামলার পরবর্তী তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। আদালত পরবর্তী তারিখ নির্ধারণের পর বিচারকার্য শুরু হবে।

জানতে চাইলে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবু মো. সেলিম বলেন, ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়েছিল। সে হিসেবে আসামি হওয়ার কথা ছিল ৫৫ জন। সর্বোচ্চ ৬০ জন। কিন্তু এ মামলায় ১১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। জামায়াত শিবিরের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ মিথ্যা ও বানোয়াটভাবে এই মামলা করেছে। দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ওই মাসের ৭ তারিখে রাজশাহীতে অবস্থান করছিলেন। তিনি ৭ তারিখেই রাজশাহী ত্যাগ করেন। অথচ ঘটনাটি ৯ তারিখে ঘটেছে। দেলোয়ার হোসেন সাঈদী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন যে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাবিতে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক নিহত হন। এ ঘটনায় রাবি ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপু বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় মামলা করেন। এতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মো. মুজাহিদ ও দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকেও আসামি করা হয়। ২০১২ সালের জুলাই মাসে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০১৯ , ১১ শ্রাবন ১৪২৫, ২২ জিলকদ ১৪৪০

রাবি ছাত্র ফারুক হত্যা

সাঈদীসহ ১০৪ আসামির বিচার শুরু

প্রতিনিধি, রাবি (রাজশাহী)

দীর্ঘ সাত বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন হত্যাকা-ে জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ১০৪ আসামির বিচার শুরু হয়েছে। গতকাল রাজশাহীর অতিরিক্ত মহানগর ও দায়রা জজ আদালতে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক এনায়েত কবির সরকার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের নির্দেশ জারি করেন। সাঈদীকে আদালতে আনার আগেই আদালত প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আদালত চত্বরের কয়েকটি স্থানে তল্লাশি চালায় পুলিশ ও ডিবি পুলিশ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শিরাজী শওকত সালেহীন এলেন বলেন, ফারুক হত্যা মামলায় ১১০ জনের মধ্যে ৬ জন মারা গেছেন। আদালতে ৬০ জন উপস্থিত ছিলেন। ১০৪ জনের নামে অভিযোগ গঠন করা হলো। মামলার পরবর্তী তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। আদালত পরবর্তী তারিখ নির্ধারণের পর বিচারকার্য শুরু হবে।

জানতে চাইলে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবু মো. সেলিম বলেন, ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়েছিল। সে হিসেবে আসামি হওয়ার কথা ছিল ৫৫ জন। সর্বোচ্চ ৬০ জন। কিন্তু এ মামলায় ১১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। জামায়াত শিবিরের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ মিথ্যা ও বানোয়াটভাবে এই মামলা করেছে। দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ওই মাসের ৭ তারিখে রাজশাহীতে অবস্থান করছিলেন। তিনি ৭ তারিখেই রাজশাহী ত্যাগ করেন। অথচ ঘটনাটি ৯ তারিখে ঘটেছে। দেলোয়ার হোসেন সাঈদী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন যে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাবিতে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক নিহত হন। এ ঘটনায় রাবি ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপু বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় মামলা করেন। এতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মো. মুজাহিদ ও দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকেও আসামি করা হয়। ২০১২ সালের জুলাই মাসে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।