অপারেশন থিয়েটার থেকে এসএসসি পাস ডাক্তার গ্রেফতার

রাজধানীর ধোলাইপাড়ে কিউর জেনারেল হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে এক রোগীর অপারেশন করার সময় এসএসসি এবং এইচএসসি পাস করা ভুয়া ২ চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গত বুধবার রাত ৩টার দিকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে আল মাহমুদ এইচএসসি আর ওই হাসপাতালের মালিক রহিমা এসএসসি পাস। দু’জনই নিজেদের ডাক্তার বলে পরিচয় দিত।

ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। তিনি বলেন, আল মাহমুদ মাত্র এইচএসসি পাস। কিন্তু সে নিজেকে এমবিবিএস (এফসিপিএস পার্ট-টু) বলে পরিচয় দেয়। ওই দু’জন ইতোমধ্যে অনেকের অপারেশন করেছে। বুধবার রাতে কিউর হাসপাতালের সাত রোগীর মধ্যে পাঁচজনের অপারেশন করেছিল তারা। তিনজনের সিজার আর দু’জনের জরায়ু অপসারণ। অভিযানের সময় দেখা গেছে, কোন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের মতামত ছাড়াই রোগী শাবানার জরায়ু কেটে ফেলে দেয় তারা। অপারেশনের সময়ও থিয়েটারে কোন বিশেষজ্ঞ ছিলেন না। ভুয়া ওই দু’ডাক্তারই অপারেশন করে। তিনি বলেন, হাসপাতালের মালিক রহিমা এসএসসি পাস। সেও নিজেকে চিকিৎসক দাবি করে অপারেশন করে। ১০ জুলাই এক রোগীর সিজার করার সময় তার হাতে এক নবজাতক মারা যায়। অভিযানে ওই দু’জনকে তাদের অভিজ্ঞতা ও কোথায় পড়াশোনা করেছে জানতে চাইলে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। তাই তাদের দুই বছর করে কারাদ- ও ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়েছে।

অভিযানে র‌্যাবের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০১৯ , ১১ শ্রাবন ১৪২৫, ২২ জিলকদ ১৪৪০

অপারেশন থিয়েটার থেকে এসএসসি পাস ডাক্তার গ্রেফতার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

রাজধানীর ধোলাইপাড়ে কিউর জেনারেল হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে এক রোগীর অপারেশন করার সময় এসএসসি এবং এইচএসসি পাস করা ভুয়া ২ চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গত বুধবার রাত ৩টার দিকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে আল মাহমুদ এইচএসসি আর ওই হাসপাতালের মালিক রহিমা এসএসসি পাস। দু’জনই নিজেদের ডাক্তার বলে পরিচয় দিত।

ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। তিনি বলেন, আল মাহমুদ মাত্র এইচএসসি পাস। কিন্তু সে নিজেকে এমবিবিএস (এফসিপিএস পার্ট-টু) বলে পরিচয় দেয়। ওই দু’জন ইতোমধ্যে অনেকের অপারেশন করেছে। বুধবার রাতে কিউর হাসপাতালের সাত রোগীর মধ্যে পাঁচজনের অপারেশন করেছিল তারা। তিনজনের সিজার আর দু’জনের জরায়ু অপসারণ। অভিযানের সময় দেখা গেছে, কোন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের মতামত ছাড়াই রোগী শাবানার জরায়ু কেটে ফেলে দেয় তারা। অপারেশনের সময়ও থিয়েটারে কোন বিশেষজ্ঞ ছিলেন না। ভুয়া ওই দু’ডাক্তারই অপারেশন করে। তিনি বলেন, হাসপাতালের মালিক রহিমা এসএসসি পাস। সেও নিজেকে চিকিৎসক দাবি করে অপারেশন করে। ১০ জুলাই এক রোগীর সিজার করার সময় তার হাতে এক নবজাতক মারা যায়। অভিযানে ওই দু’জনকে তাদের অভিজ্ঞতা ও কোথায় পড়াশোনা করেছে জানতে চাইলে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। তাই তাদের দুই বছর করে কারাদ- ও ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়েছে।

অভিযানে র‌্যাবের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।