রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে সহায়তা করবে চীন

রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মায়ানমারে নিরাপদ ও সম্মানের সঙ্গে প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব সহযোগিতা চীন করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুয়ো। গত বুধবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গিয়ে তিনি একথা বলেন। ঝ্যাং জুয়ো বলেন, ‘আমি নিজে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছি। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিকদের দুর্দশা দেখেছি। তাদের নিরাপদে ফেরার জন্য চীন প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে।’ বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বাংলাদেশে নিজের মেয়াদ সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করায় চীনা রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক খুবই চমৎকার এবং তা ধীরে ধীরে বাড়ছে। স¤প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর এবং ২০১৬ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের ঢাকা সফরের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, এসব সফর ব্যবসায় ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্ককে শক্তিশালী করেছে। বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীন সরকারের সহযোগিতা স্মরণ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘এখানে চীনের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে, যা জাতীয় উন্নয়নে বৃহত্তরভাবে অবদান রাখছে।’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীন সরকারের দেয়া সহযোগিতার আশ্বাস উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিকরা যত দ্রুত সম্ভব নিজ দেশে নিরাপদ ও সম্মানের সঙ্গে ফিরে যেতে পারবেন।

চীনা রাষ্ট্রদূত তার বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনে আন্তরিক সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান। রাষ্ট্রপতির সচিব সম্পদ বড়ুয়া ও সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম শামিম উজ জামান এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০১৯ , ১১ শ্রাবন ১৪২৫, ২২ জিলকদ ১৪৪০

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে সহায়তা করবে চীন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মায়ানমারে নিরাপদ ও সম্মানের সঙ্গে প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব সহযোগিতা চীন করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুয়ো। গত বুধবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গিয়ে তিনি একথা বলেন। ঝ্যাং জুয়ো বলেন, ‘আমি নিজে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছি। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিকদের দুর্দশা দেখেছি। তাদের নিরাপদে ফেরার জন্য চীন প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে।’ বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বাংলাদেশে নিজের মেয়াদ সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করায় চীনা রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক খুবই চমৎকার এবং তা ধীরে ধীরে বাড়ছে। স¤প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর এবং ২০১৬ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের ঢাকা সফরের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, এসব সফর ব্যবসায় ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্ককে শক্তিশালী করেছে। বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীন সরকারের সহযোগিতা স্মরণ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘এখানে চীনের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে, যা জাতীয় উন্নয়নে বৃহত্তরভাবে অবদান রাখছে।’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীন সরকারের দেয়া সহযোগিতার আশ্বাস উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিকরা যত দ্রুত সম্ভব নিজ দেশে নিরাপদ ও সম্মানের সঙ্গে ফিরে যেতে পারবেন।

চীনা রাষ্ট্রদূত তার বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনে আন্তরিক সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান। রাষ্ট্রপতির সচিব সম্পদ বড়ুয়া ও সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম শামিম উজ জামান এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।