অ্যাডিস মশার প্রজনন রোহিঙ্গাদের মতো : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীও ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ নিয়ে কনসার্ন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) লন্ডন সফরে থাকলেও নিয়মিত যোগাযোগ করে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিচ্ছেন। তার নেতৃত্বে স্বাস্থ্যসেবায় এগিয়ে চলছে। গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজে ‘ডেঙ্গু: চেঞ্জিং ট্রেন্ডস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন এবং ঢামেক মেডিসিন বিভাগ আয়োজিত সেমিনারে সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. বিল্লাল আলমের সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অ্যাডিস মশার প্রজননক্ষমতা রোহিঙ্গাদের মতো, যে কারণে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বাংলাদেশে ডেঙ্গু হঠাৎ করেই বেশি হওয়ার কারণ অ্যাডিস মশা বেশি বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, মশা বেশি। অ্যাডিস মশা বেশি। মশাগুলো অনেক হেলদি মশা, সফিস্টিকেটেড মশা, তারা শহরে থাকে, বাড়িতে থাকে। রোহিঙ্গাদের মতো মশার প্রোডাকশন বেশি। আমরা রোহিঙ্গাদের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে যেমন সক্ষম হয়েছি, তেমনি মশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণেও সক্ষম হব।

তিনি বলেন, মশানিয়ন্ত্রণ বা নিধনের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। অ্যাডিস মশার কামড়ে আক্রান্ত হয়ে ডেঙ্গুজ্বরে যারা হাসপাতালে আসবেন তাদের চিকিৎসা প্রদানের দায়িত্ব স্বাস্থ্য বিভাগের। এ সময় সিটি করপোরেশনকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে মশার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সমস্যা, ঘাটতি বা অন্যান্য বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা চলছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকদের সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তিনি বলেন, দেশের হাসপাতালে চিকিৎসার কোন অভাব নেই, একজন রোগীও চিকিৎসার বাইরে নেই, বিনা চিকিৎসায় ফেরত যায়নি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সারাদেশের চিকিৎসক-নার্সসহ সংশ্লিষ্টরা ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত। চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০১৯ , ১১ শ্রাবন ১৪২৫, ২২ জিলকদ ১৪৪০

অ্যাডিস মশার প্রজনন রোহিঙ্গাদের মতো : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীও ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ নিয়ে কনসার্ন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) লন্ডন সফরে থাকলেও নিয়মিত যোগাযোগ করে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিচ্ছেন। তার নেতৃত্বে স্বাস্থ্যসেবায় এগিয়ে চলছে। গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজে ‘ডেঙ্গু: চেঞ্জিং ট্রেন্ডস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন এবং ঢামেক মেডিসিন বিভাগ আয়োজিত সেমিনারে সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. বিল্লাল আলমের সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অ্যাডিস মশার প্রজননক্ষমতা রোহিঙ্গাদের মতো, যে কারণে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বাংলাদেশে ডেঙ্গু হঠাৎ করেই বেশি হওয়ার কারণ অ্যাডিস মশা বেশি বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, মশা বেশি। অ্যাডিস মশা বেশি। মশাগুলো অনেক হেলদি মশা, সফিস্টিকেটেড মশা, তারা শহরে থাকে, বাড়িতে থাকে। রোহিঙ্গাদের মতো মশার প্রোডাকশন বেশি। আমরা রোহিঙ্গাদের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে যেমন সক্ষম হয়েছি, তেমনি মশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণেও সক্ষম হব।

তিনি বলেন, মশানিয়ন্ত্রণ বা নিধনের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। অ্যাডিস মশার কামড়ে আক্রান্ত হয়ে ডেঙ্গুজ্বরে যারা হাসপাতালে আসবেন তাদের চিকিৎসা প্রদানের দায়িত্ব স্বাস্থ্য বিভাগের। এ সময় সিটি করপোরেশনকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে মশার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সমস্যা, ঘাটতি বা অন্যান্য বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা চলছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকদের সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তিনি বলেন, দেশের হাসপাতালে চিকিৎসার কোন অভাব নেই, একজন রোগীও চিকিৎসার বাইরে নেই, বিনা চিকিৎসায় ফেরত যায়নি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সারাদেশের চিকিৎসক-নার্সসহ সংশ্লিষ্টরা ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত। চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।