জালিয়াতির মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কলেজে শিক্ষক নিয়োগ

জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার দেখিয়ে একটি কলেজে শিক্ষক নিয়োগ করার ঘটনা জানাজানি হওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার শাহ আজগর আলী ডিগ্রি কলেজে। ঘটনার সঙ্গে ওই কলেজের অধ্যক্ষসহ বেশ কয়েকজন জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে উপ-পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর রংপুরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, শাহ আজগর আলী ডিগ্রি কলেজে দর্শন বিষয়ে প্রভাষক পদে ফাতেমাতুজ্জোহরা নামে এক মহিলার কাছে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে ওই পদে নিয়োগ দেয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। এরপর তারা জাতীয় দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তারিখের সংখ্যায় ১৮ পাতার দ্বিতীয় কলামে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা দেখায়। প্রকৃত পক্ষে ওই তারিখে মানবজমিন পত্রিকায় এ ধরনের কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হয়নি। কলেজ কর্তৃপক্ষ জালিয়াতির মাধ্যমে মানবজমিন পত্রিকার ১৮ পাতায় ভুয়া একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা দেখিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে জায়েজ করার চেষ্টা করে। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষক পদে ফাতেমাতুজ্জোহরাকে দর্শন বিভাগের প্রভাষক পদে ভুয়া নিয়োগ দেখিয়ে তার চাকরি এমপিওভুক্ত করানোর জন্য ভুয়া ও জাল কাগজপত্র দেখিয়ে উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে উপ-পরিচালক উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা দফতরে অনলাইনের মাধ্যমে কাগজ প্রেরণ করে। এ বিষয়ে উপ-পরিচালকের দফতর থেকে মূল কাগজপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে বলা হলেও তারা দেখাতে পারেনি। ফলে কয়েকদফা তার এমপিওভুক্তির আবেদন সরাসরি নাকচ হয়ে যায়। তার পরেও আবারও এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইনে কাগজ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে পুরো ঘটনা বর্ণনা করে উপ-পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য আদেশ দেয়া হয়েছে বলে অফিস সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে জাতীয় পত্রিকায় জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা দেখিয়ে দর্শন বিভাগে শিক্ষক নেয়ার ব্যাপারে শাহ আজগর আলী কলেজের অধ্যক্ষ আলেক উদ্দিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন সদুত্তোর দিতে পারেননি।

অভিজ্ঞ মহলের মতে এই জঘন্য জালিয়াতির ঘটনা দুদকের মাধ্যমে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

রবিবার, ২৮ জুলাই ২০১৯ , ১৩ শ্রাবন ১৪২৫, ২৪ জিলকদ ১৪৪০

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে

জালিয়াতির মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কলেজে শিক্ষক নিয়োগ

জেলা বার্তা পরিবেশক, রংপুর

জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার দেখিয়ে একটি কলেজে শিক্ষক নিয়োগ করার ঘটনা জানাজানি হওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার শাহ আজগর আলী ডিগ্রি কলেজে। ঘটনার সঙ্গে ওই কলেজের অধ্যক্ষসহ বেশ কয়েকজন জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে উপ-পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর রংপুরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, শাহ আজগর আলী ডিগ্রি কলেজে দর্শন বিষয়ে প্রভাষক পদে ফাতেমাতুজ্জোহরা নামে এক মহিলার কাছে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে ওই পদে নিয়োগ দেয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। এরপর তারা জাতীয় দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তারিখের সংখ্যায় ১৮ পাতার দ্বিতীয় কলামে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা দেখায়। প্রকৃত পক্ষে ওই তারিখে মানবজমিন পত্রিকায় এ ধরনের কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হয়নি। কলেজ কর্তৃপক্ষ জালিয়াতির মাধ্যমে মানবজমিন পত্রিকার ১৮ পাতায় ভুয়া একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা দেখিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে জায়েজ করার চেষ্টা করে। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষক পদে ফাতেমাতুজ্জোহরাকে দর্শন বিভাগের প্রভাষক পদে ভুয়া নিয়োগ দেখিয়ে তার চাকরি এমপিওভুক্ত করানোর জন্য ভুয়া ও জাল কাগজপত্র দেখিয়ে উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে উপ-পরিচালক উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা দফতরে অনলাইনের মাধ্যমে কাগজ প্রেরণ করে। এ বিষয়ে উপ-পরিচালকের দফতর থেকে মূল কাগজপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে বলা হলেও তারা দেখাতে পারেনি। ফলে কয়েকদফা তার এমপিওভুক্তির আবেদন সরাসরি নাকচ হয়ে যায়। তার পরেও আবারও এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইনে কাগজ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে পুরো ঘটনা বর্ণনা করে উপ-পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য আদেশ দেয়া হয়েছে বলে অফিস সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে জাতীয় পত্রিকায় জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা দেখিয়ে দর্শন বিভাগে শিক্ষক নেয়ার ব্যাপারে শাহ আজগর আলী কলেজের অধ্যক্ষ আলেক উদ্দিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন সদুত্তোর দিতে পারেননি।

অভিজ্ঞ মহলের মতে এই জঘন্য জালিয়াতির ঘটনা দুদকের মাধ্যমে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।