দশতলা বাড়ির মালিক সাবেক বিচারপতি সিনহা

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ কুমার সিনহার (এসকে সিনহা) মালিকানাধীন ৫ কাঠা প্লটের ওপর ১০তলা একটি বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে রাজধানীর উত্তরায়। ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহার নামে বাড়িটির দলিল করা হলেও এর মূল মালিক এসকে সিনহা। ওই জমি কেনা এবং ১০তলা বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণের যাবতীয় খরচ এসকে সিনহা বহন করেছেন বলে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন নরেন্দ্র সিনহা। দলিল সূত্রে তিনি বাড়ির মালিক হলেও মূল মালিক তার ভাই। তিনি মূলত বাড়িটি দেখভাল করেন বলে এ সময় জানান নরেন্দ্র সিনহা।

সূত্র জানায়, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহাকে গতকাল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।

এদিকে বিকেলে এসকে সিনহার বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে করা মামলার বাদী বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার সঙ্গে কথা বলেছে দুদক। ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা দুদকের কাছে এসকে সিনহার ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি সত্য বলে জানিয়েছেন।

দুদক সূত্র জানায়, সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। দুদকের কাছে তথ্য ছিল রাজধানীর উত্তরায় ৫ কাঠা জায়গার ওপর একটি ১০তলা বিলাসবহুল বাড়িসহ নানাভাবে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছেন এসকে সিনহার ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহা। এসব অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দুদকে নরেন্দ্র কুমার সিনহাকে তলব করেছিলো দুদক। গতকাল জিজ্ঞাসাবাদের দিন ধার্য ছিল। সকাল ৯টায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন নরেন্দ্র কুমার সিনহা। দুদক টিম নরেন্দ্র কুমার সিনহাকে উত্তরার ৫তলা বাড়ি নির্মাণের অর্থের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, বাড়ি নির্মাণে টাকার যে উৎস সেটি কেবল তার ভাই বলতে পারবেন।

এদিকে গতকাল বিকেলে ব্যাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্যরিস্টার নাজমুল হুদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। মূলত এসকে সিনহার বিরুদ্ধে ব্যরিস্টার নাজমুল হুদার করা মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা দুদককে জানিয়েছেন, এসকে সিনহা তার কাছে ২ কোটি টাকা ঘুষ দাবি করেছিল। তিনি যে মামলা করেছেন এবং মামলায় যে অভিযোগ করেছেন এর সত্যতা আছে। এর স্বপক্ষে তার কাছে প্রমাণাদিও রয়েছে।

উল্লেখ্য, ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে ৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই মামলা করে দুদক। দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন মামলার বাদী হয়ে ওই মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলো, ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম শামীম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক ক্রেডিট প্রধান গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মো. জিয়া উদ্দিন আহমেদ, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের স্থায়ী বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান, একই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, সান্ত্রী রায় ওরফে সিমি ও তার স্বামী রনজিৎ চন্দ্র সাহা।

গত বছর রাষ্ট্রের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির (এসকে সিনহা) ব্যাংক একাউন্টে ৪ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদকের পরিচালক ইকবাল মাহমুদ ও সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বাধীন টিমকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করে কমিশন। তখন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি কে সেটি প্রকাশ করেনি দুদক। পরে নানাভাবে বেরিয়ে আসে সে ব্যক্তি সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ব্যাংক ঋণগ্রহীতা ব্যবসায়ী নিরঞ্জন ও শাজাহানকে তলব করে অনুসন্ধান টিম। এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আফাজ মাহমুদ রুবেল ও নাজমুল আলম নামের দুই আইনজীবী ওই দিন বলেন, দুদকের তলবে হাজির হয়ে তারা ১৭১ পৃষ্ঠার নথিপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের দুই মক্কেল কোন অন্যায় করেননি দাবি করে আইনজীবীরা বলেন, সরল বিশ্বাসে তারা সান্ত্রী রায় ও রঞ্জিত সাহাকে সহায়তা করেছেন। আইনজীবীদের দাবি, এস কে সিনহার উত্তরার ৬নম্বর সেক্টরের ছয়তলা বাড়িটি ২০১৬ সালের শুরুর দিকে টাঙ্গাইলের বাসিন্দা সান্ত্রী রায় ছয় কোটি টাকায় কেনার জন্য বায়না করেন। সান্ত্রী রায় সাবেক প্রধান বিচারপতির ‘কথিত পিএস’ রঞ্জিতের স্ত্রী। বাড়িটি বায়না করার পর হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের ৫৫ লাখ টাকা এবং বাড়ি নির্মাণের সময় নেয়া আরও ১ কোটি ৪০ লাখ টাকাসহ মোট ১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। বাকি চার কোটি টাকা পরিশোধ করা হয় ফারমার্স ব্যাংকের পে-অর্ডারের মাধ্যমে। ফারমার্স ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার জন্য জন্য সান্ত্রী রায় ব্যবহার করেন নিরঞ্জন ও শাহজাহানকে। নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা শাস্ত্রি রায়ের স্বামী রঞ্জিতের ভাতিজা। আর শাহজাহান রঞ্জিতের বন্ধু। ফারমার্স ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার সময় বন্ধক রাখা হয় সান্ত্রী রায়ের মালিকানায় থাকা সাভারের ৩২ শতাংশ জমি। আইনজীবীদের তথ্যানুযায়ী, ২০১৬ সালের মে মাসে জমির বায়না দলিল হয় এবং ওই বছরের ৮ নভেম্বর দুটি পে-অর্ডারের মাধ্যমে এসকে সিনহা সোনালী ব্যাংক সুপ্রিম কোর্ট শাখার মাধ্যমে ৪ কোটি টাকা গ্রহণ করেন। ২৪ নভেম্বর হস্তান্তর দলিলের মাধ্যমে বাড়িটি সান্ত্রী রায় বুঝে নেন।

সোমবার, ২৯ জুলাই ২০১৯ , ১৪ শ্রাবন ১৪২৫, ২৫ জিলকদ ১৪৪০

রাজধানীর উত্তরায়

দশতলা বাড়ির মালিক সাবেক বিচারপতি সিনহা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ কুমার সিনহার (এসকে সিনহা) মালিকানাধীন ৫ কাঠা প্লটের ওপর ১০তলা একটি বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে রাজধানীর উত্তরায়। ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহার নামে বাড়িটির দলিল করা হলেও এর মূল মালিক এসকে সিনহা। ওই জমি কেনা এবং ১০তলা বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণের যাবতীয় খরচ এসকে সিনহা বহন করেছেন বলে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন নরেন্দ্র সিনহা। দলিল সূত্রে তিনি বাড়ির মালিক হলেও মূল মালিক তার ভাই। তিনি মূলত বাড়িটি দেখভাল করেন বলে এ সময় জানান নরেন্দ্র সিনহা।

সূত্র জানায়, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহাকে গতকাল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।

এদিকে বিকেলে এসকে সিনহার বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে করা মামলার বাদী বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার সঙ্গে কথা বলেছে দুদক। ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা দুদকের কাছে এসকে সিনহার ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি সত্য বলে জানিয়েছেন।

দুদক সূত্র জানায়, সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। দুদকের কাছে তথ্য ছিল রাজধানীর উত্তরায় ৫ কাঠা জায়গার ওপর একটি ১০তলা বিলাসবহুল বাড়িসহ নানাভাবে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছেন এসকে সিনহার ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহা। এসব অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দুদকে নরেন্দ্র কুমার সিনহাকে তলব করেছিলো দুদক। গতকাল জিজ্ঞাসাবাদের দিন ধার্য ছিল। সকাল ৯টায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন নরেন্দ্র কুমার সিনহা। দুদক টিম নরেন্দ্র কুমার সিনহাকে উত্তরার ৫তলা বাড়ি নির্মাণের অর্থের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, বাড়ি নির্মাণে টাকার যে উৎস সেটি কেবল তার ভাই বলতে পারবেন।

এদিকে গতকাল বিকেলে ব্যাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্যরিস্টার নাজমুল হুদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। মূলত এসকে সিনহার বিরুদ্ধে ব্যরিস্টার নাজমুল হুদার করা মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা দুদককে জানিয়েছেন, এসকে সিনহা তার কাছে ২ কোটি টাকা ঘুষ দাবি করেছিল। তিনি যে মামলা করেছেন এবং মামলায় যে অভিযোগ করেছেন এর সত্যতা আছে। এর স্বপক্ষে তার কাছে প্রমাণাদিও রয়েছে।

উল্লেখ্য, ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে ৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই মামলা করে দুদক। দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন মামলার বাদী হয়ে ওই মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলো, ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম শামীম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক ক্রেডিট প্রধান গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মো. জিয়া উদ্দিন আহমেদ, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের স্থায়ী বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান, একই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, সান্ত্রী রায় ওরফে সিমি ও তার স্বামী রনজিৎ চন্দ্র সাহা।

গত বছর রাষ্ট্রের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির (এসকে সিনহা) ব্যাংক একাউন্টে ৪ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদকের পরিচালক ইকবাল মাহমুদ ও সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বাধীন টিমকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করে কমিশন। তখন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি কে সেটি প্রকাশ করেনি দুদক। পরে নানাভাবে বেরিয়ে আসে সে ব্যক্তি সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ব্যাংক ঋণগ্রহীতা ব্যবসায়ী নিরঞ্জন ও শাজাহানকে তলব করে অনুসন্ধান টিম। এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আফাজ মাহমুদ রুবেল ও নাজমুল আলম নামের দুই আইনজীবী ওই দিন বলেন, দুদকের তলবে হাজির হয়ে তারা ১৭১ পৃষ্ঠার নথিপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের দুই মক্কেল কোন অন্যায় করেননি দাবি করে আইনজীবীরা বলেন, সরল বিশ্বাসে তারা সান্ত্রী রায় ও রঞ্জিত সাহাকে সহায়তা করেছেন। আইনজীবীদের দাবি, এস কে সিনহার উত্তরার ৬নম্বর সেক্টরের ছয়তলা বাড়িটি ২০১৬ সালের শুরুর দিকে টাঙ্গাইলের বাসিন্দা সান্ত্রী রায় ছয় কোটি টাকায় কেনার জন্য বায়না করেন। সান্ত্রী রায় সাবেক প্রধান বিচারপতির ‘কথিত পিএস’ রঞ্জিতের স্ত্রী। বাড়িটি বায়না করার পর হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের ৫৫ লাখ টাকা এবং বাড়ি নির্মাণের সময় নেয়া আরও ১ কোটি ৪০ লাখ টাকাসহ মোট ১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। বাকি চার কোটি টাকা পরিশোধ করা হয় ফারমার্স ব্যাংকের পে-অর্ডারের মাধ্যমে। ফারমার্স ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার জন্য জন্য সান্ত্রী রায় ব্যবহার করেন নিরঞ্জন ও শাহজাহানকে। নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা শাস্ত্রি রায়ের স্বামী রঞ্জিতের ভাতিজা। আর শাহজাহান রঞ্জিতের বন্ধু। ফারমার্স ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার সময় বন্ধক রাখা হয় সান্ত্রী রায়ের মালিকানায় থাকা সাভারের ৩২ শতাংশ জমি। আইনজীবীদের তথ্যানুযায়ী, ২০১৬ সালের মে মাসে জমির বায়না দলিল হয় এবং ওই বছরের ৮ নভেম্বর দুটি পে-অর্ডারের মাধ্যমে এসকে সিনহা সোনালী ব্যাংক সুপ্রিম কোর্ট শাখার মাধ্যমে ৪ কোটি টাকা গ্রহণ করেন। ২৪ নভেম্বর হস্তান্তর দলিলের মাধ্যমে বাড়িটি সান্ত্রী রায় বুঝে নেন।