লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি

৫৫ মরদেহ উদ্ধার

প্রায় ৩০০ শরণার্থী নিয়ে লিবিয়া উপকূলে ডুবে যাওয়া একটি কাঠের নৌকার ৫৫ যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। গত শনিবার লিবিয়া রেডক্রিসেন্টের এক কর্মী টেলিফোনে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার ইউরোপ গমন প্রত্যাশীদের বহনকারী ওই কাঠের নৌকাটি ডুবে যায়। এ নৌকাডুবিকে চলতি বছরে ‘ভূমধ্যসাগরের সবচেয়ে শোচনীয় ঘটনা’ বলে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। ওই নৌকাটিতে মোট কতজন লোক ছিলেন, কতজন ডুবে গেছেন এবং কতজন নিখোঁজ রয়েছেন তা পরিষ্কার হয়নি। রেডক্রিসেন্টের সদস্য আবদুলমেনাম আবু সাবায় জানিয়েছেন, ত্রিপোলি থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার পূর্বে কোমাসের কাছে ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে ৩৫০ জন লোক ছিলেন, যাদের অধিকাংশই সাহারা মরুভূমির দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার লিবিয়ার নৌবাহিনী নৌকাটিতে থাকা শরণার্থীর সংখ্যা ২৫০ জনের মতো বলে জানিয়েছিল। তাদের মধ্যে দেড় শতাধিক ডুবে মারা গেছেন, এমন আশাঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিল ইউএনএইচসিআর। ঘটনার পরপরই লিবিয়ার কোস্টগার্ড ও স্থানীয় জেলেরা ১৩৪ জনকে উদ্ধার করেছিল। নিখোঁজ অন্যান্যদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে বলে লিবীয় রেডক্রিসেন্টের আবু সাবায় জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এককভাবে উদ্ধার অভিযান চালানোর মতো যথেষ্ট সক্ষমতা আমাদের নেই। স্থানীয়রা তাদের নিজেদের জলযান নিয়ে উদ্ধার অভিযানে আমাদের সহায়তা করছে। ব্যাগের ভেতরে ভরা লাশগুলো একটি হ্যাঙ্গারে রাখা হয়েছে। নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষগুলোর অনুমতি পেলেই আমরা তাদের কবর দেব।’ ওই হ্যাঙ্গারটি অবৈধ শরণার্থী সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তৈরি করা একটি বিভাগের মালিকানাধীন বলে জানিয়েছেন তিনি। এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত হলে চলতি বছরে এটিই হবে ভূমধ্যসাগরে শরণার্থী নৌকাডুবিতে সবচেয়ে বেশি লোকের মৃত্যুর ঘটনা। চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে ভূমধ্যসাগরের এই রুটে প্রায় ১৬৪ শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গত মে মাসে তিউনিসিয়া উপকূলে শরণার্থীবাহী আরেকটি নৌকা উল্টে কমপক্ষে ৬৫ জনের মৃত্যু হয়। লিবিয়া থেকে ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে প্রতিবছরই শত শত শরণার্থী এমন দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা যাচ্ছেন।

সোমবার, ২৯ জুলাই ২০১৯ , ১৪ শ্রাবন ১৪২৫, ২৫ জিলকদ ১৪৪০

লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি

৫৫ মরদেহ উদ্ধার

সংবাদ ডেস্ক

প্রায় ৩০০ শরণার্থী নিয়ে লিবিয়া উপকূলে ডুবে যাওয়া একটি কাঠের নৌকার ৫৫ যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। গত শনিবার লিবিয়া রেডক্রিসেন্টের এক কর্মী টেলিফোনে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার ইউরোপ গমন প্রত্যাশীদের বহনকারী ওই কাঠের নৌকাটি ডুবে যায়। এ নৌকাডুবিকে চলতি বছরে ‘ভূমধ্যসাগরের সবচেয়ে শোচনীয় ঘটনা’ বলে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। ওই নৌকাটিতে মোট কতজন লোক ছিলেন, কতজন ডুবে গেছেন এবং কতজন নিখোঁজ রয়েছেন তা পরিষ্কার হয়নি। রেডক্রিসেন্টের সদস্য আবদুলমেনাম আবু সাবায় জানিয়েছেন, ত্রিপোলি থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার পূর্বে কোমাসের কাছে ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে ৩৫০ জন লোক ছিলেন, যাদের অধিকাংশই সাহারা মরুভূমির দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার লিবিয়ার নৌবাহিনী নৌকাটিতে থাকা শরণার্থীর সংখ্যা ২৫০ জনের মতো বলে জানিয়েছিল। তাদের মধ্যে দেড় শতাধিক ডুবে মারা গেছেন, এমন আশাঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিল ইউএনএইচসিআর। ঘটনার পরপরই লিবিয়ার কোস্টগার্ড ও স্থানীয় জেলেরা ১৩৪ জনকে উদ্ধার করেছিল। নিখোঁজ অন্যান্যদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে বলে লিবীয় রেডক্রিসেন্টের আবু সাবায় জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এককভাবে উদ্ধার অভিযান চালানোর মতো যথেষ্ট সক্ষমতা আমাদের নেই। স্থানীয়রা তাদের নিজেদের জলযান নিয়ে উদ্ধার অভিযানে আমাদের সহায়তা করছে। ব্যাগের ভেতরে ভরা লাশগুলো একটি হ্যাঙ্গারে রাখা হয়েছে। নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষগুলোর অনুমতি পেলেই আমরা তাদের কবর দেব।’ ওই হ্যাঙ্গারটি অবৈধ শরণার্থী সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তৈরি করা একটি বিভাগের মালিকানাধীন বলে জানিয়েছেন তিনি। এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত হলে চলতি বছরে এটিই হবে ভূমধ্যসাগরে শরণার্থী নৌকাডুবিতে সবচেয়ে বেশি লোকের মৃত্যুর ঘটনা। চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে ভূমধ্যসাগরের এই রুটে প্রায় ১৬৪ শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গত মে মাসে তিউনিসিয়া উপকূলে শরণার্থীবাহী আরেকটি নৌকা উল্টে কমপক্ষে ৬৫ জনের মৃত্যু হয়। লিবিয়া থেকে ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে প্রতিবছরই শত শত শরণার্থী এমন দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা যাচ্ছেন।