কাশ্মীর ইস্যু

পাকিস্তানের পাশে চীন-তুরস্ক

কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে চীন ও তুরস্ক। দীর্ঘদিনের বিরোধপূর্ণ কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টার পক্ষে কথা বলেছে দেশ দুটি। পাকিস্তানি গণমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এ খবর দিয়েছে।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে এ সংকট সমাধানে মধ্যস্থতার যে প্রস্তাব দিয়েছেন তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে বেইজিং। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমেরিকাসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যারা আলোচনার মাধ্যমে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক উন্নয়নে গঠনমূলক কাজ করছে তাদেরকে আমরা সমর্থন জানাই। আমরা আশা করি, এ দুই দেশ কাশ্মীর ইস্যু এবং অন্য দ্বিপক্ষীয় বিরোধগুলো আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে পারবে। এর মধ্যদিয়ে তারা দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারে।’

এদিকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে টেলিফোন করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। এ সময় তিনি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরসহ আঞ্চলিক বিষয়গুলো এবং আফগানিস্তানে চলমান শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন। কাশ্মীর ইস্যুতে এরদোগান পাকিস্তানের অবস্থানের প্রতি বরাবরই সমর্থন দিয়ে আসছেন। ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করলেও কার্যত তা আমলে নেয়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ওই সফর শেষে পাকিস্তানকে মার্কিন যুদ্ধ বিমান এফ-সিক্সটিন প্রযুক্তি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ওয়াশিংটন সফররত পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে গত সপ্তাহের সোমবার রাতে হোয়াইট হাউজে সাক্ষাৎ করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ সময় ইমরানের সঙ্গে প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন ট্রাম্প। বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, সম্প্রতি জাপানের ওসাকায় অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে মধ্যস্থতাকারী হতে অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে, ট্রাম্পের এমন দাবি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ধরনের কোন অনুরোধ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে করেননি। কাশ্মীর নিয়ে কোন আলোচনা হলে তা দ্বিপাক্ষিক স্তরেই হবে।’ পরবর্তীতে গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ল্যারি কাডলো একথা বলেছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন। মোদি তাকে অনুরোধ করেছেন বলে ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছেন, তা ‘বানিয়ে বলা’ কি না, ওই সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে কাডলো বলেন, ‘এটি খুব অশোভন প্রশ্ন। প্রেসিডেন্ট বানিয়ে কিছু বলেন না।’

সোমবার, ২৯ জুলাই ২০১৯ , ১৪ শ্রাবন ১৪২৫, ২৫ জিলকদ ১৪৪০

কাশ্মীর ইস্যু

পাকিস্তানের পাশে চীন-তুরস্ক

সংবাদ ডেস্ক

image

কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে চীন ও তুরস্ক। দীর্ঘদিনের বিরোধপূর্ণ কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টার পক্ষে কথা বলেছে দেশ দুটি। পাকিস্তানি গণমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এ খবর দিয়েছে।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে এ সংকট সমাধানে মধ্যস্থতার যে প্রস্তাব দিয়েছেন তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে বেইজিং। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমেরিকাসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যারা আলোচনার মাধ্যমে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক উন্নয়নে গঠনমূলক কাজ করছে তাদেরকে আমরা সমর্থন জানাই। আমরা আশা করি, এ দুই দেশ কাশ্মীর ইস্যু এবং অন্য দ্বিপক্ষীয় বিরোধগুলো আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে পারবে। এর মধ্যদিয়ে তারা দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারে।’

এদিকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে টেলিফোন করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। এ সময় তিনি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরসহ আঞ্চলিক বিষয়গুলো এবং আফগানিস্তানে চলমান শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন। কাশ্মীর ইস্যুতে এরদোগান পাকিস্তানের অবস্থানের প্রতি বরাবরই সমর্থন দিয়ে আসছেন। ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করলেও কার্যত তা আমলে নেয়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ওই সফর শেষে পাকিস্তানকে মার্কিন যুদ্ধ বিমান এফ-সিক্সটিন প্রযুক্তি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ওয়াশিংটন সফররত পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে গত সপ্তাহের সোমবার রাতে হোয়াইট হাউজে সাক্ষাৎ করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ সময় ইমরানের সঙ্গে প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন ট্রাম্প। বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, সম্প্রতি জাপানের ওসাকায় অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে মধ্যস্থতাকারী হতে অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে, ট্রাম্পের এমন দাবি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ধরনের কোন অনুরোধ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে করেননি। কাশ্মীর নিয়ে কোন আলোচনা হলে তা দ্বিপাক্ষিক স্তরেই হবে।’ পরবর্তীতে গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ল্যারি কাডলো একথা বলেছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন। মোদি তাকে অনুরোধ করেছেন বলে ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছেন, তা ‘বানিয়ে বলা’ কি না, ওই সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে কাডলো বলেন, ‘এটি খুব অশোভন প্রশ্ন। প্রেসিডেন্ট বানিয়ে কিছু বলেন না।’