জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ আসছেন

তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ ঢাকা আসছেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো। এই সফরে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়। সফরকালে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। এছাড়া সফরে দ্বিপক্ষীয় বিষয়াদির পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলো আলোচনায় থাকবে বলে জানা যায়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরটি হচ্ছে মূলত দুটি উদ্দেশ্য সামনে রেখে। প্রথমত, আগামী অক্টোবরে জাপানের নতুন সম্রাট শপথ নেবেন। শপথ অনুষ্ঠানে বিশ্বের ২০০টির মতো দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান অংশ নেবেন বলে টোকিও আশা করছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এতে যোগ দেবেন। দ্বিতীয়ত, জাপান সরকার ২০২০ সালের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টোকিও সফরের আমন্ত্রণ জানাতে চায়।

তিনি বলেন, আগামী বছরের শুরুতে অথবা ৩০-৩১ মার্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের জন্য সময় চেয়েছে জাপান। এ সময়ে সফর করলে জাপানের সম্রাটের সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ আমন্ত্রণ জানাতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছিলেন। তবে প্রধানমন্ত্রী দেশে না থাকায় সেটি হচ্ছে না।

সূত্র জানায়, আগামী মঙ্গলবার জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও বাস্তুচ্যুতদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। ওইদিন ঢাকায় ফিরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন তিনি। বুধবার বাংলাদেশ থেকে তার মায়ানমার যাওয়ার কথা রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনোর বাংলাদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়েছিল জাপানের পক্ষ থেকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ফিরতি সফরে আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জাপান সফরে যাওয়ার প্রস্তাব উঠেছে।

চলতি বছরের মে মাসের শেষের দিকে ‘নিকে’র উদ্যোগে আয়োজিত ‘ফিউচার অব এশিয়া’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় দুই দেশের মধ্যে আড়াই বিলিয়ন ডলারের ৪০তম ওডিএ সহযোগিতা চুক্তি সই হয়। এটি বাংলাদেশের পাওয়া এক বছরে সবচেয়ে বড় সহযোগিতা।

সোমবার, ২৯ জুলাই ২০১৯ , ১৪ শ্রাবন ১৪২৫, ২৫ জিলকদ ১৪৪০

জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ আসছেন

কূটনৈতিক বার্তা পরিবেশক

তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ ঢাকা আসছেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো। এই সফরে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়। সফরকালে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। এছাড়া সফরে দ্বিপক্ষীয় বিষয়াদির পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলো আলোচনায় থাকবে বলে জানা যায়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরটি হচ্ছে মূলত দুটি উদ্দেশ্য সামনে রেখে। প্রথমত, আগামী অক্টোবরে জাপানের নতুন সম্রাট শপথ নেবেন। শপথ অনুষ্ঠানে বিশ্বের ২০০টির মতো দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান অংশ নেবেন বলে টোকিও আশা করছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এতে যোগ দেবেন। দ্বিতীয়ত, জাপান সরকার ২০২০ সালের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টোকিও সফরের আমন্ত্রণ জানাতে চায়।

তিনি বলেন, আগামী বছরের শুরুতে অথবা ৩০-৩১ মার্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের জন্য সময় চেয়েছে জাপান। এ সময়ে সফর করলে জাপানের সম্রাটের সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ আমন্ত্রণ জানাতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছিলেন। তবে প্রধানমন্ত্রী দেশে না থাকায় সেটি হচ্ছে না।

সূত্র জানায়, আগামী মঙ্গলবার জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও বাস্তুচ্যুতদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। ওইদিন ঢাকায় ফিরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন তিনি। বুধবার বাংলাদেশ থেকে তার মায়ানমার যাওয়ার কথা রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনোর বাংলাদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়েছিল জাপানের পক্ষ থেকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ফিরতি সফরে আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জাপান সফরে যাওয়ার প্রস্তাব উঠেছে।

চলতি বছরের মে মাসের শেষের দিকে ‘নিকে’র উদ্যোগে আয়োজিত ‘ফিউচার অব এশিয়া’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় দুই দেশের মধ্যে আড়াই বিলিয়ন ডলারের ৪০তম ওডিএ সহযোগিতা চুক্তি সই হয়। এটি বাংলাদেশের পাওয়া এক বছরে সবচেয়ে বড় সহযোগিতা।