খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগে বদলি আতঙ্ক

১৭ দিনে ৪১ জন বদলি

খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগে বদলি আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিভাগে ১৭ দিনে ৪১ জনের বদলির ঘটনা ঘটেছে। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (চ. দা.) এসএম জাহাতাব হোসেন ও স্টেনো আতোয়ার রহমান এ বদলি বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন। অল্পদিনের ব্যবধানে এ ধরনের বদলির ঘটনা অতীতে ঘটেনি। এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগে বদলি আতঙ্ক বিরাজ করায় স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে।

খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জুনে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেষণে কর্মরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মুন্না খাতুনের প্রেষণাদেশ বাতিল করে মূল কর্মস্থল ডুমুরিয়ার সাহস ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে, মিরেরডাঙ্গা আইডি হাসপাতালের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নাসরিন সুলতানা হোলির প্রেষণাদেশ বাতিল করে ডুমুরিয়ার শোভনা ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে, জেনারেল হাসপাতালের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সুজন বিশ্বাসের প্রেষণাদেশ বাতিল করে ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে, টুটপাড়া আরবান ডিসপেন্সারির উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. আলাউদ্দীন হাওলাদারের প্রেষণাদেশ বাতিল করে ডুমুরিয়ার ধামালিয়া ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অরূপ রতন বিশ্বাসের প্রেষণাদেশ বাতিল করে ডুমুরিয়ার রঘুনাথপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়।

এদিকে ৯ জুলাই এক অফিস আদেশে ১৭ জন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারকে নতুন করে প্রেষণে দেয়া হয়। এরা হলেন ফুলতলার দক্ষিণডিহি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের লিয়া নাছরিনকে খালিশপুর আরবান ডিসপেন্সারিতে, দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মো. হারুন অর রশিদকে টুটপাড়া আরবান ডিসপেন্সারিতে, তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মো. আশরাফুল হককে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে, বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দীপু রানাকে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে, বটিয়াঘাটার সুরখালী ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মুক্তি বিশ্বাসকে খুলনাস্থ পোর্ট হেলথ অফিসে, দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এসএম সাইফুল ইসলামকে বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, দাকোপের লাউডোব ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নুসরাত জাহান শারমিনকে বটিয়াঘাটার গাওঘরা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে, বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মো. শাহাজাহান মিয়াকে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে, মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মো. মশিউর রহমানকে বাগেরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. অফিসে, মোরেলগঞ্জের বহরবুনিয়া ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দীপ্তি রানী মিরবরকে বাগেরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসে, রামপালের রাজনগর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সানোয়ার ইয়াসমিনকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে, চিতলমারী চরবানিয়ারী ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মল্লিক আরাফাতকে শরণখোলার তাফালবাড়ী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে, ফকিরহাটের লখপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের শিউলি আকতারকে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে, সাতক্ষীরার তালা সদর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জোবায়দা খানমকে খুলনা বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে, কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শারমিন আক্তার তাজকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে এবং আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এনামুলকে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেষণে পদায়ন করা হয়।

১৫ জুলাই আরও একটি আদেশে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক এইচএম শামিম আহসানকে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়। একইদিন অপর এক আদেশে নড়াইলের বাঁশগ্রাম ইউনিয়ন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. সাঈদ আরেফিনকে মেহেরপুরের যাদুখালী ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এবং যাদুখালীর মো. হযরত আলীকে নড়াইল সদরের বাঁশগ্রাম কেন্দ্রে বদলি করা হয়। ১৫ জুলাই আরও একটি আদেশে ছয়জনকে বিভিন্নস্থানে বদলি করা হয়। এরা হলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের ক্যাশিয়ার মো. হিটলার হোসেনকে ঝিনাইদহ ম্যাটসে, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের হেড সহকারী কাম অ্যাকাউন্টেন্ট মো. আবদুুস সালামের প্রেষণাদেশ বাতিল, রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ডেন্টাল) সোহেল রানাকে খুলনা জেনারেল হাসপাতাল, বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ডেন্টাল) মো. কামরুল হককে রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মুন্সী সফিকুল ইসলামকে বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং যশোরের মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ক্যাশিয়ার মো. জাকির হোসেনকে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়।

১৬ জুলাই নড়াইল সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ক্যাশিয়ার জাহান আরা খানমকে নড়াইল সদর হাসপাতাল এবং নড়াইল সদর হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মো. শামীমুল পারভেজকে নড়াইল সিভিল সার্জন অফিসে বদলি করা হয়। একইদিন আরও দুটি বদলি আদেশে বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার দিপু রানাকে দাকোপের লাউডোব ইউনিয়ন সেন্টারে এবং লাউডোবের নুসরাত জাহান শারমীনকে বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়। ১৭ জুলাই খুলনা বক্ষব্যাধি হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মো. শাহিন মোল্লাকে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে, জেনারেল হাসপাতালের হেড সহকারী কাম অ্যাকাউন্টেন্ট মো. নূর আলমকে শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে, মেডিকেল সাব-ডিপোর প্রধান সহকারী গাজী তরিকুল ইসলামকে খুলনা বক্ষব্যাধি হাসপাতালে এবং ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী সেলিনা খাতুনকে খুলনা মেডিকেল সাব-ডিপোতে বদলি করা হয়।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেন্টাল বিভাগের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মুন্সী শফিকুল ইসলামকে কথিত অভিযোগ দিয়ে গেল বছর ১৫ জুলাই রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়। সেখান থেকে আবার ২৬ মে খুমেক হাসপাতালে আনার পর মাত্র দুই দিনের মাথায় ২৮ মে তাকে বদলি করা হয় খুলনা জেনারেল হাসপাতালে। দুই মাস হওয়ার আগেই আবারও ১৭ জুলাই তাকে খুলনা জেনারেল হাসপাতাল থেকে বদলি করা হয় বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (চ. দা.) এসএম জাহাতাব হোসেন ও স্টেনো আতোয়ার রহমান অর্থের বিনিময়ে বদলি প্রত্যাশীদের সুবিধাজনক স্থানে বদলি করাচ্ছেন।

সোমবার, ২৯ জুলাই ২০১৯ , ১৪ শ্রাবন ১৪২৫, ২৫ জিলকদ ১৪৪০

খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগে বদলি আতঙ্ক

১৭ দিনে ৪১ জন বদলি

শুভ্র শচীন, খুলনা

খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগে বদলি আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিভাগে ১৭ দিনে ৪১ জনের বদলির ঘটনা ঘটেছে। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (চ. দা.) এসএম জাহাতাব হোসেন ও স্টেনো আতোয়ার রহমান এ বদলি বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন। অল্পদিনের ব্যবধানে এ ধরনের বদলির ঘটনা অতীতে ঘটেনি। এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগে বদলি আতঙ্ক বিরাজ করায় স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে।

খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জুনে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেষণে কর্মরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মুন্না খাতুনের প্রেষণাদেশ বাতিল করে মূল কর্মস্থল ডুমুরিয়ার সাহস ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে, মিরেরডাঙ্গা আইডি হাসপাতালের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নাসরিন সুলতানা হোলির প্রেষণাদেশ বাতিল করে ডুমুরিয়ার শোভনা ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে, জেনারেল হাসপাতালের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সুজন বিশ্বাসের প্রেষণাদেশ বাতিল করে ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে, টুটপাড়া আরবান ডিসপেন্সারির উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. আলাউদ্দীন হাওলাদারের প্রেষণাদেশ বাতিল করে ডুমুরিয়ার ধামালিয়া ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অরূপ রতন বিশ্বাসের প্রেষণাদেশ বাতিল করে ডুমুরিয়ার রঘুনাথপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়।

এদিকে ৯ জুলাই এক অফিস আদেশে ১৭ জন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারকে নতুন করে প্রেষণে দেয়া হয়। এরা হলেন ফুলতলার দক্ষিণডিহি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের লিয়া নাছরিনকে খালিশপুর আরবান ডিসপেন্সারিতে, দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মো. হারুন অর রশিদকে টুটপাড়া আরবান ডিসপেন্সারিতে, তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মো. আশরাফুল হককে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে, বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দীপু রানাকে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে, বটিয়াঘাটার সুরখালী ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মুক্তি বিশ্বাসকে খুলনাস্থ পোর্ট হেলথ অফিসে, দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এসএম সাইফুল ইসলামকে বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, দাকোপের লাউডোব ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নুসরাত জাহান শারমিনকে বটিয়াঘাটার গাওঘরা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে, বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মো. শাহাজাহান মিয়াকে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে, মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মো. মশিউর রহমানকে বাগেরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. অফিসে, মোরেলগঞ্জের বহরবুনিয়া ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দীপ্তি রানী মিরবরকে বাগেরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসে, রামপালের রাজনগর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সানোয়ার ইয়াসমিনকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে, চিতলমারী চরবানিয়ারী ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মল্লিক আরাফাতকে শরণখোলার তাফালবাড়ী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে, ফকিরহাটের লখপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের শিউলি আকতারকে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে, সাতক্ষীরার তালা সদর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জোবায়দা খানমকে খুলনা বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে, কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শারমিন আক্তার তাজকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে এবং আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এনামুলকে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেষণে পদায়ন করা হয়।

১৫ জুলাই আরও একটি আদেশে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক এইচএম শামিম আহসানকে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়। একইদিন অপর এক আদেশে নড়াইলের বাঁশগ্রাম ইউনিয়ন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. সাঈদ আরেফিনকে মেহেরপুরের যাদুখালী ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এবং যাদুখালীর মো. হযরত আলীকে নড়াইল সদরের বাঁশগ্রাম কেন্দ্রে বদলি করা হয়। ১৫ জুলাই আরও একটি আদেশে ছয়জনকে বিভিন্নস্থানে বদলি করা হয়। এরা হলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের ক্যাশিয়ার মো. হিটলার হোসেনকে ঝিনাইদহ ম্যাটসে, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের হেড সহকারী কাম অ্যাকাউন্টেন্ট মো. আবদুুস সালামের প্রেষণাদেশ বাতিল, রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ডেন্টাল) সোহেল রানাকে খুলনা জেনারেল হাসপাতাল, বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ডেন্টাল) মো. কামরুল হককে রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মুন্সী সফিকুল ইসলামকে বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং যশোরের মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ক্যাশিয়ার মো. জাকির হোসেনকে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়।

১৬ জুলাই নড়াইল সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ক্যাশিয়ার জাহান আরা খানমকে নড়াইল সদর হাসপাতাল এবং নড়াইল সদর হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মো. শামীমুল পারভেজকে নড়াইল সিভিল সার্জন অফিসে বদলি করা হয়। একইদিন আরও দুটি বদলি আদেশে বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার দিপু রানাকে দাকোপের লাউডোব ইউনিয়ন সেন্টারে এবং লাউডোবের নুসরাত জাহান শারমীনকে বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়। ১৭ জুলাই খুলনা বক্ষব্যাধি হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মো. শাহিন মোল্লাকে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে, জেনারেল হাসপাতালের হেড সহকারী কাম অ্যাকাউন্টেন্ট মো. নূর আলমকে শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে, মেডিকেল সাব-ডিপোর প্রধান সহকারী গাজী তরিকুল ইসলামকে খুলনা বক্ষব্যাধি হাসপাতালে এবং ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী সেলিনা খাতুনকে খুলনা মেডিকেল সাব-ডিপোতে বদলি করা হয়।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেন্টাল বিভাগের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মুন্সী শফিকুল ইসলামকে কথিত অভিযোগ দিয়ে গেল বছর ১৫ জুলাই রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়। সেখান থেকে আবার ২৬ মে খুমেক হাসপাতালে আনার পর মাত্র দুই দিনের মাথায় ২৮ মে তাকে বদলি করা হয় খুলনা জেনারেল হাসপাতালে। দুই মাস হওয়ার আগেই আবারও ১৭ জুলাই তাকে খুলনা জেনারেল হাসপাতাল থেকে বদলি করা হয় বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (চ. দা.) এসএম জাহাতাব হোসেন ও স্টেনো আতোয়ার রহমান অর্থের বিনিময়ে বদলি প্রত্যাশীদের সুবিধাজনক স্থানে বদলি করাচ্ছেন।