বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রথম অধিনায়ক শামিম কবির আর নেই

বাংলাদেশে ক্রিকেটের অন্যতম প্রাণপুরুষ, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রথম অধিনায়ক শামিম কবির আর নেই। গতকাল সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি... রাজিউন)। এই কৃতী ক্রীড়াবিদ দীর্ঘদিন ক্যানসারসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, দ্ইু বড় বোনসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আমেরিকা প্রবাসী শামিম কবিরের ছেলে আগামীকাল দেশে আসবেন। আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তার প্রথম জানাজা হবে। বাদ জোহর গুলশান আজাদ মসজিদে দ্বিতীয় জানাজার পর তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর ঘোড়াশালে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তৃতীয় ও শেষ জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। শামিম কবিরের প্রতি সম্মান জানাতে কলম্বোতে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে আজ বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা কালো আর্মব্যান্ড পরবেন। এছাড়া খেলার আগে তারা দুই মিনিট নীরবতা পালন করবেন। শামিম কবির নামে পরিচিতি পেলেও তার আসল নাম আনোয়ারুল কবির। নরসিংদীর ঘোড়াশালে বনেদি জমিদার পরিবারে ১৯৪৫ সালের ৩ মার্চ তার জন্ম। তিনি আবু ইউসুফ লুৎফুল কবির এবং সুফিয়া খাতুনের কনিষ্ঠ ছেলে। চট্টগ্রামে সেন্টপ্লাসিড স্কুলে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয়। পরে সরকারি মুসলিম হাইস্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন, নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি লন্ডন এবং ম্যানচেস্টার থেকে কম্পিউটার বিষয়ে একাধিক কোর্স সম্পন্ন করেন।

বাল্যকাল থেকেই ক্রীড়ার প্রতি ঝোঁক ছিল শামিম কবিরের। স্কুলে পড়ার সময়ই ঢাকা ক্রিকেট লীগের শীর্ষস্থানীয় ক্লাব আজাদ বয়েজের ক্রিকেট দলে খেলেন। তিনি পরে ধীর্ঘ সময় দলটির অধিনায়ক ছিলেন। তিনি এ সময় চাইল্ড অ্যাম্বাসেডর নির্বাচিত হন এবং বিভিন্ন দেশের চাইল্ড অ্যাম্বাসেডরদের সঙ্গে বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দলের হয়ে ক্রিকেট ছাড়াও আরও অনেক ডিসিপ্লিনে খেলেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদানস্বরূপ ‘ব্লু’ লাভ করেন তিনি। তার খেলার সময়ে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে শীর্ষপর্যায়ের ক্রিকেট প্রথম বিভাগ লীগে আজাদ বয়েজ ক্লাব দাপটের সঙ্গে খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়। তার নেতৃত্বেই সৈয়দ আশরাফুল হক, তানভীর মাজহারুল ইসলাম তান্না, কাজী সালাউদ্দিহনের মতো ক্রীড়াবিদরা আজাদ বয়েজে খেলেছেন।

শামিম কবিরের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ১৯৬১ সালে। ওই বছরের নভেম্বরে করাচির (গ্রিন) বিরুদ্ধে তিনি পূর্ব পাকিস্তান দলের পক্ষে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেন। ১৯৬৪ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা স্টেডিয়াম (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম)। শক্তিশালী পিআইএ দলের বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরি ও অর্ধশতক করেন। পূর্ব পাকিস্তান, পূর্ব জোন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৬১-৬৯ সাল পর্যন্ত অসংখ্য ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলেন তিনি।

শামিম কবিরের অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলে এসিসির বিরুদ্ধে, ১৯৭৭ সালের ৭ জানুয়ারি। তিন দিনের বেসরকারি টেস্ট ম্যাচটি মূলত আয়োজিত হয় বাংলাদেশের সামর্থ্য যাচাইয়ের জন্য।

বিসিবির যে দলটি এমসিসির বিপক্ষে তিন দিনের ম্যাচ খেলে, সেটির অধিনায়ক ছিলেন শামিম কবির। এ ম্যাচটিই বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যাচ। শামিম কবিরের নেতৃত্বের সেই ম্যাচের ভিত্তিতেই বাংলাদেশের ক্রিকেট আন্তর্জাতিক মর্যাদা লাভ করে। শামিম কবির প্রথম বাঙালি ক্রিকেটার যিনি পাকিস্তান দলে খেলেছেন। পাকিস্তান অনূর্ধ্ব ২৫ দলে বিখ্যাত ক্রিকেটার আসিফ ইকবালের অধিনায়কত্বে খেলার কৃতিত্ব রয়েছে তার। বাংলাদেশের ক্রিকেট যত দিন থাকবে শামিম কবিরও তত দিন ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবেন।

শামিম কবির ১৯৭৭ সালের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। অবসর নেয়ার পরেও ক্রিকেটের সঙ্গেই ছিলেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুবার (১৯৮২ ও ৮৬) বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ক্রিকেট বোর্ডের নানা দায়িত্বে ছিলেন। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অবদান রাখার জন্য ১৯৯৯ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পান। এছাড়া ক্রীড়াঙ্গন ও গণমাধ্যমের অনেক সংস্থার নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। ২০১৪ সালে প্রথম আলো এই গুণী ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে আজীবন সম্মাননা জানিয়েছে।

শামিম কবির ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় লন্ডনে বাংলাদেশ মিশনে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

শামিম কবির শুধু কৃতী ক্রীড়াবিদই নন, সফল ব্যবসায়ীও। পাকিস্তান আমল থেকে প্রসিদ্ধ চা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এ.কবির লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরবর্তীতে চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। তিনি অনেক সামাজিক সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ঢাকা ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। দৈনিক সংবাদের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান দি সংবাদ লিমিটেডের পরিচালক ছিলেন তিনি। তার দুই বড় ভাই ছিলেন দৈনিক সংবাদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক খায়রুল কবির এবং দৈনিক সংবাদের প্রধান সম্পাদক আহমদুল কবির।

image
আরও খবর
ভেঙে পড়ছে হাসপাতালের সেবা ব্যবস্থাপনা
সমন্বিত প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু ও বন্যার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা হবে : কাদের
মায়ানমারকে ২৫ হাজার রোহিঙ্গার নতুন তালিকা দিল বাংলাদেশ
‘ভুল মশার ওপর পরীক্ষায় ওষুধ কার্যকর হচ্ছে না’
বিভিন্ন সংগঠনের শোক
স্কয়ারসহ তিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তলব
মিল্কভিটা দুধ বিপণনে বাধা নেই
পানির দরে দুধ খামারিরা বিপাকে
বাংলাদেশে সবচেয়ে কম মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত
ডেঙ্গুর ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিতে পদক্ষেপ
২৪ ঘণ্টায় আরও ১০৯৬ জন আক্রান্ত মৃত্যু ৩ মৃত্যু ৩
বিদেশি গুঁড়োদুধ যেন বাজার দখল করতে না পারে
আসেনি শৃঙ্খলা কমেনি দুর্ঘটনা
দুই আসামির যাবজ্জীবন
ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
মামলা হয়নি হেলমেটধারী হামলাকারীদের বিরুদ্ধে

মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৯ , ১৫ শ্রাবন ১৪২৫, ২৬ জিলকদ ১৪৪০

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রথম অধিনায়ক শামিম কবির আর নেই

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

বাংলাদেশে ক্রিকেটের অন্যতম প্রাণপুরুষ, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রথম অধিনায়ক শামিম কবির আর নেই। গতকাল সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি... রাজিউন)। এই কৃতী ক্রীড়াবিদ দীর্ঘদিন ক্যানসারসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, দ্ইু বড় বোনসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আমেরিকা প্রবাসী শামিম কবিরের ছেলে আগামীকাল দেশে আসবেন। আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তার প্রথম জানাজা হবে। বাদ জোহর গুলশান আজাদ মসজিদে দ্বিতীয় জানাজার পর তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর ঘোড়াশালে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তৃতীয় ও শেষ জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। শামিম কবিরের প্রতি সম্মান জানাতে কলম্বোতে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে আজ বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা কালো আর্মব্যান্ড পরবেন। এছাড়া খেলার আগে তারা দুই মিনিট নীরবতা পালন করবেন। শামিম কবির নামে পরিচিতি পেলেও তার আসল নাম আনোয়ারুল কবির। নরসিংদীর ঘোড়াশালে বনেদি জমিদার পরিবারে ১৯৪৫ সালের ৩ মার্চ তার জন্ম। তিনি আবু ইউসুফ লুৎফুল কবির এবং সুফিয়া খাতুনের কনিষ্ঠ ছেলে। চট্টগ্রামে সেন্টপ্লাসিড স্কুলে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয়। পরে সরকারি মুসলিম হাইস্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন, নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি লন্ডন এবং ম্যানচেস্টার থেকে কম্পিউটার বিষয়ে একাধিক কোর্স সম্পন্ন করেন।

বাল্যকাল থেকেই ক্রীড়ার প্রতি ঝোঁক ছিল শামিম কবিরের। স্কুলে পড়ার সময়ই ঢাকা ক্রিকেট লীগের শীর্ষস্থানীয় ক্লাব আজাদ বয়েজের ক্রিকেট দলে খেলেন। তিনি পরে ধীর্ঘ সময় দলটির অধিনায়ক ছিলেন। তিনি এ সময় চাইল্ড অ্যাম্বাসেডর নির্বাচিত হন এবং বিভিন্ন দেশের চাইল্ড অ্যাম্বাসেডরদের সঙ্গে বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দলের হয়ে ক্রিকেট ছাড়াও আরও অনেক ডিসিপ্লিনে খেলেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদানস্বরূপ ‘ব্লু’ লাভ করেন তিনি। তার খেলার সময়ে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে শীর্ষপর্যায়ের ক্রিকেট প্রথম বিভাগ লীগে আজাদ বয়েজ ক্লাব দাপটের সঙ্গে খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়। তার নেতৃত্বেই সৈয়দ আশরাফুল হক, তানভীর মাজহারুল ইসলাম তান্না, কাজী সালাউদ্দিহনের মতো ক্রীড়াবিদরা আজাদ বয়েজে খেলেছেন।

শামিম কবিরের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ১৯৬১ সালে। ওই বছরের নভেম্বরে করাচির (গ্রিন) বিরুদ্ধে তিনি পূর্ব পাকিস্তান দলের পক্ষে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেন। ১৯৬৪ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা স্টেডিয়াম (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম)। শক্তিশালী পিআইএ দলের বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরি ও অর্ধশতক করেন। পূর্ব পাকিস্তান, পূর্ব জোন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৬১-৬৯ সাল পর্যন্ত অসংখ্য ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলেন তিনি।

শামিম কবিরের অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলে এসিসির বিরুদ্ধে, ১৯৭৭ সালের ৭ জানুয়ারি। তিন দিনের বেসরকারি টেস্ট ম্যাচটি মূলত আয়োজিত হয় বাংলাদেশের সামর্থ্য যাচাইয়ের জন্য।

বিসিবির যে দলটি এমসিসির বিপক্ষে তিন দিনের ম্যাচ খেলে, সেটির অধিনায়ক ছিলেন শামিম কবির। এ ম্যাচটিই বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যাচ। শামিম কবিরের নেতৃত্বের সেই ম্যাচের ভিত্তিতেই বাংলাদেশের ক্রিকেট আন্তর্জাতিক মর্যাদা লাভ করে। শামিম কবির প্রথম বাঙালি ক্রিকেটার যিনি পাকিস্তান দলে খেলেছেন। পাকিস্তান অনূর্ধ্ব ২৫ দলে বিখ্যাত ক্রিকেটার আসিফ ইকবালের অধিনায়কত্বে খেলার কৃতিত্ব রয়েছে তার। বাংলাদেশের ক্রিকেট যত দিন থাকবে শামিম কবিরও তত দিন ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবেন।

শামিম কবির ১৯৭৭ সালের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। অবসর নেয়ার পরেও ক্রিকেটের সঙ্গেই ছিলেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুবার (১৯৮২ ও ৮৬) বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ক্রিকেট বোর্ডের নানা দায়িত্বে ছিলেন। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অবদান রাখার জন্য ১৯৯৯ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পান। এছাড়া ক্রীড়াঙ্গন ও গণমাধ্যমের অনেক সংস্থার নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। ২০১৪ সালে প্রথম আলো এই গুণী ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে আজীবন সম্মাননা জানিয়েছে।

শামিম কবির ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় লন্ডনে বাংলাদেশ মিশনে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

শামিম কবির শুধু কৃতী ক্রীড়াবিদই নন, সফল ব্যবসায়ীও। পাকিস্তান আমল থেকে প্রসিদ্ধ চা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এ.কবির লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরবর্তীতে চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। তিনি অনেক সামাজিক সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ঢাকা ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। দৈনিক সংবাদের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান দি সংবাদ লিমিটেডের পরিচালক ছিলেন তিনি। তার দুই বড় ভাই ছিলেন দৈনিক সংবাদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক খায়রুল কবির এবং দৈনিক সংবাদের প্রধান সম্পাদক আহমদুল কবির।