মামলা হয়নি হেলমেটধারী হামলাকারীদের বিরুদ্ধে

নিরাপদ সড়ক আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৪ ও ৫ আগস্ট হেলমেটধারী যুবকদের হামলার শিকার হয়েছিলেন সাংবাদিক এবং আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীরা। দু’দিনে হেলমেটধারীদের হামলায় ১৫-২০ জন সাংবাদিক ও দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।

ঘটনার পর সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছিলেন ডিএমপি কমিশনার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের দায়িত্বশীলরা। তবে ঘটনার এক বছর কেটে গেলেও থানায় কোন মামলা হয়নি। চিহ্নিত হয়নি হেলমেটধারী হামলাকারীরা। ওই হামলার শিকার হওয়া সাংবাদিকরা জানান, আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন থাকায় এবং এর প্রতিবাদে সাংগঠনিকভাবে জোরালো পদক্ষেপ না নেয়ায় এককভাবে কেউ মামলা করতে রাজি হননি। একইভাবে হামলার কয়েক দিনের মাথায় আন্দোলন থেমে যাওয়ায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোন শিক্ষার্থী বা তাদের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়নি। পুলিশও কোন মামলা দায়ের করেনি। মামলা না হওয়ায় এ হামলার ঘটনায় জড়িত কাউকে শনাক্ত করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার। হামলার এক বছরে হেলমেটধারীদের পুলিশ শনাক্ত করেছে কি না জানতে চাইলে গতকাল এ তথ্য জানান তিনি।

এদিকে পুলিশ স্বপ্রণোদিত হয়ে হামলার তদন্ত করে জড়িতদের শনাক্ত না করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীরা। তাদের ভাষ্য, এই হামলার সময় পুলিশ চারপাশেই ছিল। হামলাকারীদের হাত থেকে সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি তারা। উল্টো আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মিছিল ছত্রভঙ্গ করার জন্য টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছিল পুলিশ। আন্দোলন চলাকালে রাজধানীতে বড় হামলার ঘটনা ঘটে ৪ ও ৫ আগস্ট। প্রথম দিন শুধু জিগাতলা এবং দ্বিতীয় দিন সায়েন্সল্যাব ও জিগাতলায় হামলা চালানো হয়। আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা গেছে, আন্দোলন শুরুর পর অন্যান্য দিনের মতো জিগাতলার মোড়ে কিছু শিক্ষার্থী গাড়ির কাগজপত্র চেক করছিল। দুপুরের পর হেলমেটধারী কিছু যুবক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। শুরুতে শিক্ষার্থীরা কিছু সময়ের জন্য সরে গেলেও সংগঠিত হয়ে আবার ফিরে আসে। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। ইটপাটকেল ছোড়া হয় একে অন্যের দিকে। এরই মধ্যে কয়েকজন পিস্তল দিয়ে গুলিও করে। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনায় ২০-২৫ জন আহত হন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছিল।

আরও খবর
ভেঙে পড়ছে হাসপাতালের সেবা ব্যবস্থাপনা
সমন্বিত প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু ও বন্যার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা হবে : কাদের
মায়ানমারকে ২৫ হাজার রোহিঙ্গার নতুন তালিকা দিল বাংলাদেশ
‘ভুল মশার ওপর পরীক্ষায় ওষুধ কার্যকর হচ্ছে না’
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রথম অধিনায়ক শামিম কবির আর নেই
বিভিন্ন সংগঠনের শোক
স্কয়ারসহ তিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তলব
মিল্কভিটা দুধ বিপণনে বাধা নেই
পানির দরে দুধ খামারিরা বিপাকে
বাংলাদেশে সবচেয়ে কম মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত
ডেঙ্গুর ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিতে পদক্ষেপ
২৪ ঘণ্টায় আরও ১০৯৬ জন আক্রান্ত মৃত্যু ৩ মৃত্যু ৩
বিদেশি গুঁড়োদুধ যেন বাজার দখল করতে না পারে
আসেনি শৃঙ্খলা কমেনি দুর্ঘটনা
দুই আসামির যাবজ্জীবন
ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৯ , ১৫ শ্রাবন ১৪২৫, ২৬ জিলকদ ১৪৪০

সড়ক আন্দোলন

মামলা হয়নি হেলমেটধারী হামলাকারীদের বিরুদ্ধে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

নিরাপদ সড়ক আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৪ ও ৫ আগস্ট হেলমেটধারী যুবকদের হামলার শিকার হয়েছিলেন সাংবাদিক এবং আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীরা। দু’দিনে হেলমেটধারীদের হামলায় ১৫-২০ জন সাংবাদিক ও দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।

ঘটনার পর সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছিলেন ডিএমপি কমিশনার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের দায়িত্বশীলরা। তবে ঘটনার এক বছর কেটে গেলেও থানায় কোন মামলা হয়নি। চিহ্নিত হয়নি হেলমেটধারী হামলাকারীরা। ওই হামলার শিকার হওয়া সাংবাদিকরা জানান, আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন থাকায় এবং এর প্রতিবাদে সাংগঠনিকভাবে জোরালো পদক্ষেপ না নেয়ায় এককভাবে কেউ মামলা করতে রাজি হননি। একইভাবে হামলার কয়েক দিনের মাথায় আন্দোলন থেমে যাওয়ায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোন শিক্ষার্থী বা তাদের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়নি। পুলিশও কোন মামলা দায়ের করেনি। মামলা না হওয়ায় এ হামলার ঘটনায় জড়িত কাউকে শনাক্ত করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার। হামলার এক বছরে হেলমেটধারীদের পুলিশ শনাক্ত করেছে কি না জানতে চাইলে গতকাল এ তথ্য জানান তিনি।

এদিকে পুলিশ স্বপ্রণোদিত হয়ে হামলার তদন্ত করে জড়িতদের শনাক্ত না করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীরা। তাদের ভাষ্য, এই হামলার সময় পুলিশ চারপাশেই ছিল। হামলাকারীদের হাত থেকে সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি তারা। উল্টো আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মিছিল ছত্রভঙ্গ করার জন্য টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছিল পুলিশ। আন্দোলন চলাকালে রাজধানীতে বড় হামলার ঘটনা ঘটে ৪ ও ৫ আগস্ট। প্রথম দিন শুধু জিগাতলা এবং দ্বিতীয় দিন সায়েন্সল্যাব ও জিগাতলায় হামলা চালানো হয়। আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা গেছে, আন্দোলন শুরুর পর অন্যান্য দিনের মতো জিগাতলার মোড়ে কিছু শিক্ষার্থী গাড়ির কাগজপত্র চেক করছিল। দুপুরের পর হেলমেটধারী কিছু যুবক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। শুরুতে শিক্ষার্থীরা কিছু সময়ের জন্য সরে গেলেও সংগঠিত হয়ে আবার ফিরে আসে। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। ইটপাটকেল ছোড়া হয় একে অন্যের দিকে। এরই মধ্যে কয়েকজন পিস্তল দিয়ে গুলিও করে। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনায় ২০-২৫ জন আহত হন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছিল।