গোবিন্দগঞ্জ সাঁওতাল হত্যা

পিবিআইয়ের চার্জশিট প্রত্যাখ্যান, সড়ক অবরোধ

গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল পল্লীতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার ঘটনার মামলায় ৯০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চার্জশিট প্রত্যাখ্যান করে গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেছে সাহেবগঞ্জ আদিবাসী ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি। গত রোববার বিকেল ৩টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম এলাকায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ ও বিক্ষোভ করে আদিবাসী ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি।

সাহেবগঞ্জ আদিবাসী ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাফুরুল ইসলাম বলেন, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর বাপ-দাদার জমি থেকে উচ্ছেদ অভিযানের নামে ৩ জন সাঁওতালকে হত্যা ও বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগসহ লুটতরাজ করে। এর বিরুদ্ধে মহামান্য হাইর্কোটের আদেশে গোবিন্দগঞ্জ থানায় এজাহার নামীয় আসামিসহ অজ্ঞাত ৬ থেকে ৭ শত ব্যাক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় দীর্ঘদিন পর তদন্ত করে গাইবান্ধা পিবিআই ৯০ জনকে অভিযুক্ত করে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। তারা এই চার্জশিট প্রত্যাখ্যান করে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন। এতে বক্তব্য রাখেন, ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন মরমূসহ আদিবাসী নেতারা। উল্লেখ্য, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল হাই সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সাঁওতাল পল্লীতে হামলার মামলা তদন্ত শেষে ৯০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। ঘটনার রহস্য উন্মোচন ও সঠিক তদন্ত শেষ করতে সময় লাগে প্রায় আড়াই বছর। সঠিক তদন্ত ও মূল আসামিদের আইনের আওতায় আনতেই চার্জশিট দাখিলে কিছুটা সময় লেগেছে। এর আগে মামলাটি তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহতের পাশাপাশি অভিযুক্তদের মধ্যে ২৫ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া লুটপাট হওয়া বেশ কিছু মালামালও উদ্ধার করা হয়। চার্জশিটে অভিযুক্ত ৯০ আসামির মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, মহিমাগঞ্জ সুগার মিলের (জিএম-অর্থ) নাজমুল হুদা, সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাকিল আহম্মেদ বুলবুল, ইউপি সদস্য শাহ আলম ও আইয়ুব আলী। অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে এ পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠালেও তারা সবাই জামিনে আছেন।

মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৯ , ১৫ শ্রাবন ১৪২৫, ২৬ জিলকদ ১৪৪০

গোবিন্দগঞ্জ সাঁওতাল হত্যা

পিবিআইয়ের চার্জশিট প্রত্যাখ্যান, সড়ক অবরোধ

প্রতিনিধি, গোবিন্দগঞ্জ, (গাইবান্ধা)

image

গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল পল্লীতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার ঘটনার মামলায় ৯০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চার্জশিট প্রত্যাখ্যান করে গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেছে সাহেবগঞ্জ আদিবাসী ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি। গত রোববার বিকেল ৩টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম এলাকায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ ও বিক্ষোভ করে আদিবাসী ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি।

সাহেবগঞ্জ আদিবাসী ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাফুরুল ইসলাম বলেন, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর বাপ-দাদার জমি থেকে উচ্ছেদ অভিযানের নামে ৩ জন সাঁওতালকে হত্যা ও বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগসহ লুটতরাজ করে। এর বিরুদ্ধে মহামান্য হাইর্কোটের আদেশে গোবিন্দগঞ্জ থানায় এজাহার নামীয় আসামিসহ অজ্ঞাত ৬ থেকে ৭ শত ব্যাক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় দীর্ঘদিন পর তদন্ত করে গাইবান্ধা পিবিআই ৯০ জনকে অভিযুক্ত করে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। তারা এই চার্জশিট প্রত্যাখ্যান করে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন। এতে বক্তব্য রাখেন, ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন মরমূসহ আদিবাসী নেতারা। উল্লেখ্য, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল হাই সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সাঁওতাল পল্লীতে হামলার মামলা তদন্ত শেষে ৯০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। ঘটনার রহস্য উন্মোচন ও সঠিক তদন্ত শেষ করতে সময় লাগে প্রায় আড়াই বছর। সঠিক তদন্ত ও মূল আসামিদের আইনের আওতায় আনতেই চার্জশিট দাখিলে কিছুটা সময় লেগেছে। এর আগে মামলাটি তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহতের পাশাপাশি অভিযুক্তদের মধ্যে ২৫ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া লুটপাট হওয়া বেশ কিছু মালামালও উদ্ধার করা হয়। চার্জশিটে অভিযুক্ত ৯০ আসামির মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, মহিমাগঞ্জ সুগার মিলের (জিএম-অর্থ) নাজমুল হুদা, সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাকিল আহম্মেদ বুলবুল, ইউপি সদস্য শাহ আলম ও আইয়ুব আলী। অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে এ পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠালেও তারা সবাই জামিনে আছেন।