গণপিটুনিতে আহত ভ্যানচালকের মৃত্যু

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার আহত ভ্যানচালক মিনু মিয়া (৩০) মারা গেছেন। গতকাল সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ৮ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে তিনি মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন।

এ ব্যাপারে কালিহাতী থানার ওসি হাসান আল মামুন বলেন, গত ২১ জুলাই বিকেলে ভ্যানচালক মিনু মিয়া কালিহাতীর সয়া হাটে মাছ ধরার জাল কিনতে যায়। হঠাৎ ছেলেধরা সন্দেহে তাকে গণপিটুনি দেয় উপস্থিত জনতা। পরে পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় মিনু মিয়ার ভাই রাজিব হোসেন ২২ জুলাই কালিহাতী থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ ওই রাতেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে গ্রেফতার করে। পরে পুলিশ চারজনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম বলেন, নিহত মিনু মিয়া ছেলেধরা ছিলেন না। ভিডিও ফুটেজ দেখে বাকি আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে। আটক হওয়া আসামিরা বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে রয়েছে।

মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৯ , ১৫ শ্রাবন ১৪২৫, ২৬ জিলকদ ১৪৪০

ছেলেধরা সন্দেহে

গণপিটুনিতে আহত ভ্যানচালকের মৃত্যু

জেলা বার্তা পরিবেশক, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার আহত ভ্যানচালক মিনু মিয়া (৩০) মারা গেছেন। গতকাল সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ৮ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে তিনি মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন।

এ ব্যাপারে কালিহাতী থানার ওসি হাসান আল মামুন বলেন, গত ২১ জুলাই বিকেলে ভ্যানচালক মিনু মিয়া কালিহাতীর সয়া হাটে মাছ ধরার জাল কিনতে যায়। হঠাৎ ছেলেধরা সন্দেহে তাকে গণপিটুনি দেয় উপস্থিত জনতা। পরে পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় মিনু মিয়ার ভাই রাজিব হোসেন ২২ জুলাই কালিহাতী থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ ওই রাতেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে গ্রেফতার করে। পরে পুলিশ চারজনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম বলেন, নিহত মিনু মিয়া ছেলেধরা ছিলেন না। ভিডিও ফুটেজ দেখে বাকি আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে। আটক হওয়া আসামিরা বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে রয়েছে।