উত্তাল ক্যাম্পাস

কর্মচারীদের আন্দোলন পাল্টাপাল্টি মিছিল মানববন্ধন

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন, মৌন মিছিল, বিক্ষোভ মিছিলে উত্তাল হয়ে পড়েছে ক্যাম্পাস। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বরে পাল্টাপাল্টি এসব কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে।

জানা যায়, আন্দোলনরত কর্মচারীদের কয়েকজনকে বিশ্ববিদ্যাল প্রশাসন থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ। মিছিলটি ক্যাম্পাসের রাসেল চত্বরে শেষ করে সেখানেই মানববন্ধনে দাঁড়ান আন্দোলনরত কর্মচারীরা।

এদিকে একই সময়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যানারে কর্মচারীদের আন্দোলনের প্রতিবাদে মৌন মিছিল করার কথা থাকায় সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে উভয় পক্ষের সিনিয়রদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মধ্যস্থতার ভিত্তিতে প্রথমে কর্মচারীরা তাদের তিন নেতা রবিউল ইসলাম, নুর-আলম, ও মালেক মিয়ার বিরুদ্ধে প্রশাসন কর্তৃক অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কারণ দর্শানো নোটিশের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন চলাকালীন সেখান থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যানারে কর্মচারীদের আন্দোলনের প্রতিবাদে একটি মৌন মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। পরে কর্মচারীদের মানববন্ধন শেষ হলে সেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করে, ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল ও শৃঙ্খলা বিনষ্টের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন। টানা ৩৮ দিন ধরে তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছে কর্মচারীরা। তাদের দাবিগুলো হলো ৫৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বকেয়া বেতন পরিশোধ, নীতিমালা প্রনয়ন ও সময় মতো পদোন্নতি। এসব দাবিতে এক মাস ধরে আন্দোলন করলেও কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি বাস্তবায়ন করছেন না বলে কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের মুখপাত্র রবিউল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতেও উপাচার্য-রেজিস্ট্রারসহ ঊর্ধ্বতন দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা ক্যাম্পাসে না আসায় একাডেমিক, প্রশাসনিক কর্মকা- স্থবির হয়ে পড়েছে। বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষার কার্যক্রম।

কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি নুর আলম বলেন, ‘আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে মানবন্ধনে দাঁড়িয়েছিলাম। সেখান থেকে প্রেশার ক্রিয়েট করে আমাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আতিউর রহমানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এই মুহূর্তে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই বলে জানান।

উল্লেখ্য, টানা ৩৮ দিন থেকে ৩ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা, লাগাতার কর্মবিরতি, বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ নামে কর্মচারীদের একটি সংগঠন।

মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৯ , ১৫ শ্রাবন ১৪২৫, ২৬ জিলকদ ১৪৪০

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

উত্তাল ক্যাম্পাস

কর্মচারীদের আন্দোলন পাল্টাপাল্টি মিছিল মানববন্ধন

প্রতিনিধি, বেরোবি (রংপুর)

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন, মৌন মিছিল, বিক্ষোভ মিছিলে উত্তাল হয়ে পড়েছে ক্যাম্পাস। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বরে পাল্টাপাল্টি এসব কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে।

জানা যায়, আন্দোলনরত কর্মচারীদের কয়েকজনকে বিশ্ববিদ্যাল প্রশাসন থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ। মিছিলটি ক্যাম্পাসের রাসেল চত্বরে শেষ করে সেখানেই মানববন্ধনে দাঁড়ান আন্দোলনরত কর্মচারীরা।

এদিকে একই সময়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যানারে কর্মচারীদের আন্দোলনের প্রতিবাদে মৌন মিছিল করার কথা থাকায় সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে উভয় পক্ষের সিনিয়রদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মধ্যস্থতার ভিত্তিতে প্রথমে কর্মচারীরা তাদের তিন নেতা রবিউল ইসলাম, নুর-আলম, ও মালেক মিয়ার বিরুদ্ধে প্রশাসন কর্তৃক অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কারণ দর্শানো নোটিশের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন চলাকালীন সেখান থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যানারে কর্মচারীদের আন্দোলনের প্রতিবাদে একটি মৌন মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। পরে কর্মচারীদের মানববন্ধন শেষ হলে সেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করে, ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল ও শৃঙ্খলা বিনষ্টের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন। টানা ৩৮ দিন ধরে তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছে কর্মচারীরা। তাদের দাবিগুলো হলো ৫৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বকেয়া বেতন পরিশোধ, নীতিমালা প্রনয়ন ও সময় মতো পদোন্নতি। এসব দাবিতে এক মাস ধরে আন্দোলন করলেও কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি বাস্তবায়ন করছেন না বলে কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের মুখপাত্র রবিউল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতেও উপাচার্য-রেজিস্ট্রারসহ ঊর্ধ্বতন দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা ক্যাম্পাসে না আসায় একাডেমিক, প্রশাসনিক কর্মকা- স্থবির হয়ে পড়েছে। বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষার কার্যক্রম।

কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি নুর আলম বলেন, ‘আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে মানবন্ধনে দাঁড়িয়েছিলাম। সেখান থেকে প্রেশার ক্রিয়েট করে আমাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আতিউর রহমানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এই মুহূর্তে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই বলে জানান।

উল্লেখ্য, টানা ৩৮ দিন থেকে ৩ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা, লাগাতার কর্মবিরতি, বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ নামে কর্মচারীদের একটি সংগঠন।