আফগানিস্তানে ছয় মাসে হতাহত চার হাজার : জাতিসংঘ

যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে প্রায় চার হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। গত মঙ্গলবার সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সময়ের মধ্যে দেশটিতে কমপক্ষে তিন হাজার ৮১২ জন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন।

ইসলামপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে সরকারি বাহিনী ও ন্যাটো বাহিনীর অভিযান হতাহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ছয় মাসে সরকার সমর্থিত বাহিনীর হাতে খুন হয়েছেন কমপক্ষে ৭১৭ আফগান নাগরিক। একই সময়ে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬৮০ জন। হতাহতের এ সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের চাইতে ৩১ শতাংশ বেশি। ছয় মাসে তালেবান ও আইএসের হাতে নিহত হয়েছে ৫৩১ আফগান নাগরিক এবং আহত হয়েছে এক হাজার ৪৩৭ জন।

২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুনের মধ্যে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এমন সময়ে জাতিসংঘের এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো যখন আফগান সরকারের সঙ্গে সরাসরি শান্তি আলোচনায় বসার প্রস্তাবে নতুন করে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তালেবান। কাতারে তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন সম্প্রতি বলেছেন, মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহারের পরই শান্তি আলোচনা হতে পারে। এর আগে শনিবার আফগানিস্তানের শান্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আব্দুল সালাম রাহিমি বলেছিলেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সরকারের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল সরাসরি তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় বসবে। প্রায় এক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে তালেবানরা। তবে তারা আফগান সরকারকে পুতুল শাসক আখ্যায়িত করে আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। কাবুল সফররত মার্কিন দূত জালমায় খলিলজাদ টুইটারে জানিয়েছেন, আমাদের নিজেদের সমঝোতা হওয়ার পর শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার, ৩১ জুলাই ২০১৯ , ১৬ শ্রাবন ১৪২৫, ২৭ জিলকদ ১৪৪০

আফগানিস্তানে ছয় মাসে হতাহত চার হাজার : জাতিসংঘ

সংবাদ ডেস্ক

image

যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে প্রায় চার হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। গত মঙ্গলবার সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সময়ের মধ্যে দেশটিতে কমপক্ষে তিন হাজার ৮১২ জন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন।

ইসলামপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে সরকারি বাহিনী ও ন্যাটো বাহিনীর অভিযান হতাহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ছয় মাসে সরকার সমর্থিত বাহিনীর হাতে খুন হয়েছেন কমপক্ষে ৭১৭ আফগান নাগরিক। একই সময়ে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬৮০ জন। হতাহতের এ সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের চাইতে ৩১ শতাংশ বেশি। ছয় মাসে তালেবান ও আইএসের হাতে নিহত হয়েছে ৫৩১ আফগান নাগরিক এবং আহত হয়েছে এক হাজার ৪৩৭ জন।

২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুনের মধ্যে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এমন সময়ে জাতিসংঘের এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো যখন আফগান সরকারের সঙ্গে সরাসরি শান্তি আলোচনায় বসার প্রস্তাবে নতুন করে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তালেবান। কাতারে তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন সম্প্রতি বলেছেন, মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহারের পরই শান্তি আলোচনা হতে পারে। এর আগে শনিবার আফগানিস্তানের শান্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আব্দুল সালাম রাহিমি বলেছিলেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সরকারের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল সরাসরি তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় বসবে। প্রায় এক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে তালেবানরা। তবে তারা আফগান সরকারকে পুতুল শাসক আখ্যায়িত করে আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। কাবুল সফররত মার্কিন দূত জালমায় খলিলজাদ টুইটারে জানিয়েছেন, আমাদের নিজেদের সমঝোতা হওয়ার পর শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।