গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম এলাকায় নিহত তিন সাঁওতাল শ্যামল, মঙ্গল ও রমেশ হত্যা মামলার চূড়ান্ত অভিযোগপত্রে এজাহারভুক্ত আসামি সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ ও সাঁওতালদের বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়া পুলিশকে বাদ দেয়ার প্রতিবাদে আদিবাসী সাঁওতাল ও বাঙালিরা গাইবান্ধা জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম-ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচির পালন করা হয়।
গতকাল বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ফেস্টুন, পতাকা সম্বলিত একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আসাদুজ্জামান স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এসে সমাবেশ করে।
পরে সেখানে সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম-ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা কমিটির সভাপতি মিহির ঘোষ, আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু, বাসদ সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী, সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম-ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাফরুল ইসলাম প্রধান, সাঁওতাল হত্যা মামলার বাদী থমাস হেমব্রম, আদিবাসী নেত্রী রোমেলা কিসকু, ভিজিলিয়াস, ভূমি সংগ্রাম কমিটির নেতা স্বপন শেখ, ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির নেতা ময়নুল হক, মিজান প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার প্রায় তিনবছর পর চূড়ান্ত অভিযোগপত্রে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত এজাহারভুক্ত আসামি গোবিন্দগঞ্জ আসনের সে সময়ের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ ও প্রকাশ্যে সাঁওতালদের বাড়িঘরে অগ্নি সংযোগকারী অতি উৎসাহী পুলিশের নাম বাদ দেয়ায় তারা বিক্ষুদ্ধ হয়েছেন। তারা বলেন, সারা পৃথিবীর গণমাধ্যমে প্রকাশিত আগুন লাগানোর ফুটেজ, ছবি প্রকাশ পেলেও পিআইবির তদন্তকারী কর্মকর্তার চোখে তা পড়ল না। এ থেকে বোঝা যায়, তিনি প্রভাবিত হয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। তারা এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছেন। বক্তারা বলেন, অবিলম্বে আদালতে তারা না-রাজির মাধ্যমে এই ঘটনার আইনগত প্রতিবাদ জানাবেন। পাশাপাশি তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রাখবেন।
এ সময় সভাপতির বক্তব্যে ফিলিমন বাসকে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে সাঁওতাল-বাঙালিরা মিলে এ দেশ স্বাধীন করেছে। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর তারা নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ হয়েছে। সেই ভূমি উদ্ধার করতে গিয়ে জীবন দিয়েছে শ্যামল, মঙ্গল ও রমেশ। এখন তাদের সেই হত্যাকান্ডের ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এ কোন বাংলাদেশে তারা বসবাস করছে। তিনি প্রশ্ন করেন এ জন্যই কি মুক্তিযুদ্ধে তারা অংশ নিয়েছিলেন?
বুধবার, ৩১ জুলাই ২০১৯ , ১৬ শ্রাবন ১৪২৫, ২৭ জিলকদ ১৪৪০
প্রতিনিধি, গাইবান্ধা
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম এলাকায় নিহত তিন সাঁওতাল শ্যামল, মঙ্গল ও রমেশ হত্যা মামলার চূড়ান্ত অভিযোগপত্রে এজাহারভুক্ত আসামি সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ ও সাঁওতালদের বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়া পুলিশকে বাদ দেয়ার প্রতিবাদে আদিবাসী সাঁওতাল ও বাঙালিরা গাইবান্ধা জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম-ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচির পালন করা হয়।
গতকাল বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ফেস্টুন, পতাকা সম্বলিত একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আসাদুজ্জামান স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এসে সমাবেশ করে।
পরে সেখানে সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম-ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা কমিটির সভাপতি মিহির ঘোষ, আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু, বাসদ সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী, সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম-ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাফরুল ইসলাম প্রধান, সাঁওতাল হত্যা মামলার বাদী থমাস হেমব্রম, আদিবাসী নেত্রী রোমেলা কিসকু, ভিজিলিয়াস, ভূমি সংগ্রাম কমিটির নেতা স্বপন শেখ, ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির নেতা ময়নুল হক, মিজান প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার প্রায় তিনবছর পর চূড়ান্ত অভিযোগপত্রে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত এজাহারভুক্ত আসামি গোবিন্দগঞ্জ আসনের সে সময়ের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ ও প্রকাশ্যে সাঁওতালদের বাড়িঘরে অগ্নি সংযোগকারী অতি উৎসাহী পুলিশের নাম বাদ দেয়ায় তারা বিক্ষুদ্ধ হয়েছেন। তারা বলেন, সারা পৃথিবীর গণমাধ্যমে প্রকাশিত আগুন লাগানোর ফুটেজ, ছবি প্রকাশ পেলেও পিআইবির তদন্তকারী কর্মকর্তার চোখে তা পড়ল না। এ থেকে বোঝা যায়, তিনি প্রভাবিত হয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। তারা এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছেন। বক্তারা বলেন, অবিলম্বে আদালতে তারা না-রাজির মাধ্যমে এই ঘটনার আইনগত প্রতিবাদ জানাবেন। পাশাপাশি তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রাখবেন।
এ সময় সভাপতির বক্তব্যে ফিলিমন বাসকে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে সাঁওতাল-বাঙালিরা মিলে এ দেশ স্বাধীন করেছে। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর তারা নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ হয়েছে। সেই ভূমি উদ্ধার করতে গিয়ে জীবন দিয়েছে শ্যামল, মঙ্গল ও রমেশ। এখন তাদের সেই হত্যাকান্ডের ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এ কোন বাংলাদেশে তারা বসবাস করছে। তিনি প্রশ্ন করেন এ জন্যই কি মুক্তিযুদ্ধে তারা অংশ নিয়েছিলেন?