অর্ধশত বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রউফ (৭৫) ও মলাই মিয়া (৪৫)। সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বিলকেন্দুয়াই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গত সোমবার রাতে ঢাকায় নেয়ার পথে মলাই মিয়া ও গতকাল সকাল ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আবদুর রউফ মারা যান।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বিলকেন্দুয়াই গ্রামে আনোয়ার হোসেন ও নসু মিয়ার মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেই বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। ৮-৯ দিন আগে বিলকেন্দুয়াই বাজারে আনোয়ারের পক্ষের মলাই মিয়ার মুদি দোকান থেকে সিগারেট কেনেন নসুর পক্ষের কামাল মিয়া (২৫)। সিগারেটের দাম চাইলে দোকানে থাকা মলাই মিয়ার ছেলে ইমনকে মারধর করে কামাল। এ নিয়ে আনোয়ার ও নসুর সমর্থকরা সোমবার সন্ধ্যায় রামদা, বল্লম, ছুরি, এককাইট্টাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। নসুর সমর্থক ইউপি সদস্য মোজাম্মেলকে মারধর করে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং বাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়। উভয়পক্ষের শতাধিক বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। অন্তত ২০-২৫ জনের বাড়ি থেকে গবাদিপশু লুট করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত মলাই মিয়া, আবদুর রউফ, ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক (৪৮) ও ইয়ামিন মিয়াকে (২২) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অন্যদের জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। গুরুতর আহত মলাই মিয়াকে ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যান। আর আবদুর রউফ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
গ্রামের মহিলারা জানান, প্রতিপক্ষের লোকজন তারা মুন্সীর বাড়ির জাকির মিয়ার তিনটি গরু, সোহরাব মিয়ার তিনটি গাভী ও একটি ষাঁড়, জসিম মিয়ার একটি গাভী লুট করে নিয়ে গেছে।
নসুর পক্ষের আলী হোসেন, মানিক মিয়া, কামাল মিয়া, ফেরদৌসা বেগম. নুরুল হক, কামাল মিয়া, আয়না বেগম, শাহ আলম, শামসু মিয়া, ইয়াকুব মিয়া, কতুব মিয়া, আরশ মিয়া, মিজান মিয়া, সেলিম মিয়ার বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাটের চিহ্ন দেখা গেছে। একইদিকে আনোয়ারের পক্ষের আলী হোসেন, আমজাদ খাঁ, তৈয়ব খাঁ, শফি খাঁ, লোকমান খাঁ, আক্তার খাঁ, লিয়াকত আলী, রফিক খাঁ, কালাম খাঁ, সরল খাঁ, বিল্লাল খাঁ, সরল খাঁ, মোজাম্মেল খাঁ ও ইকবাল খাঁর বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে দেখা গেছে।
বুধবার, ৩১ জুলাই ২০১৯ , ১৬ শ্রাবন ১৪২৫, ২৭ জিলকদ ১৪৪০
অর্ধশত বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট
প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রউফ (৭৫) ও মলাই মিয়া (৪৫)। সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বিলকেন্দুয়াই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গত সোমবার রাতে ঢাকায় নেয়ার পথে মলাই মিয়া ও গতকাল সকাল ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আবদুর রউফ মারা যান।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বিলকেন্দুয়াই গ্রামে আনোয়ার হোসেন ও নসু মিয়ার মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেই বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। ৮-৯ দিন আগে বিলকেন্দুয়াই বাজারে আনোয়ারের পক্ষের মলাই মিয়ার মুদি দোকান থেকে সিগারেট কেনেন নসুর পক্ষের কামাল মিয়া (২৫)। সিগারেটের দাম চাইলে দোকানে থাকা মলাই মিয়ার ছেলে ইমনকে মারধর করে কামাল। এ নিয়ে আনোয়ার ও নসুর সমর্থকরা সোমবার সন্ধ্যায় রামদা, বল্লম, ছুরি, এককাইট্টাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। নসুর সমর্থক ইউপি সদস্য মোজাম্মেলকে মারধর করে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং বাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়। উভয়পক্ষের শতাধিক বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। অন্তত ২০-২৫ জনের বাড়ি থেকে গবাদিপশু লুট করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত মলাই মিয়া, আবদুর রউফ, ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক (৪৮) ও ইয়ামিন মিয়াকে (২২) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অন্যদের জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। গুরুতর আহত মলাই মিয়াকে ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যান। আর আবদুর রউফ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
গ্রামের মহিলারা জানান, প্রতিপক্ষের লোকজন তারা মুন্সীর বাড়ির জাকির মিয়ার তিনটি গরু, সোহরাব মিয়ার তিনটি গাভী ও একটি ষাঁড়, জসিম মিয়ার একটি গাভী লুট করে নিয়ে গেছে।
নসুর পক্ষের আলী হোসেন, মানিক মিয়া, কামাল মিয়া, ফেরদৌসা বেগম. নুরুল হক, কামাল মিয়া, আয়না বেগম, শাহ আলম, শামসু মিয়া, ইয়াকুব মিয়া, কতুব মিয়া, আরশ মিয়া, মিজান মিয়া, সেলিম মিয়ার বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাটের চিহ্ন দেখা গেছে। একইদিকে আনোয়ারের পক্ষের আলী হোসেন, আমজাদ খাঁ, তৈয়ব খাঁ, শফি খাঁ, লোকমান খাঁ, আক্তার খাঁ, লিয়াকত আলী, রফিক খাঁ, কালাম খাঁ, সরল খাঁ, বিল্লাল খাঁ, সরল খাঁ, মোজাম্মেল খাঁ ও ইকবাল খাঁর বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে দেখা গেছে।